https://bookkeepingnexus.com/Fraud_Anwar_Parvez/FraudBangladesh.html
বাংলাদেশে কে জন্মাচ্ছে আর কে মরছে এই হিসাব রাখা হয়না। দেশে যে আদমসুমারী হয়না তা নয় কিন্তু সেখানেও দুর্নীতি আর খামখেয়ালীপনা রয়েছে । করোনার ব্যাপারে সঠিক গণনার ধার ধারেনি তথাকথিত কর্তৃপক্ষ তাদের রাজনৈতিক কারণে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মৃতের তালিকা রয়েছে। ইতালী এবং অন্যান্য সব দেশে মৃত, আক্রান্ত ও সুস্থ হয়ে ফিরে যাওয়া মানুষের নামের তালিকা রয়েছে এবং সেখান থেকেই সঠিক সংখ্যা জানা যায়।
ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)দ্বারা আজ পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশী নির্যাতিত ও নিহত হয়েছে তার খবর বাংলাদেশ সরকার রাখেনা কারণ এই হত্যাকান্ড হলো ভারতের উপহার। বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের মানুষের জীবন বাঁচালো কি মরলো সেটা জানা বা জানাবার জন্য সরকার হয়নি। সরকার হয়েছে নিজেদের টাকা কামায়, ভোগ, পাচার ও ভারতের সেবা করার জন্য। বাংলাদেশে ভারতের রাজ্যসরকার নিজেই একটি ভাইরাস। করোনা দ্বারা মরা আর পুলিশ বা র্যাবের দ্বারা মরার ভেতর পার্থক্য হলো করোনা টাকাপয়সা কিছুই চাইছেনা।
বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত যতগুলো ক্রসফায়ার হয়েছে সবগুলোই হয়েছে নিম্নলিখিত কোন না কোন কারনেঃ
ব্যক্তিগত শত্রুতাকে রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে – একজন মানুষ যদি বিরোধীদল করে তাহলে পুলিশ বা র্যাব তার বাসায় যেয়ে তাকে মেরে ছাদ থেকে ফেলে দিতে পারেনা বা তাকে উঠিয়ে নিয়ে যেয়ে হাত পা বেছে ২২ – ৩২ টা গুলি বুকে বিধিয়ে ক্রসফায়ার নাম দিতে পারেনা। একজন নিরস্ত্র মানুষকে নির্যাতন আর গুলি করে হত্যা করাকে “ক্রসফায়ার” বলা যায়না। তবু বলছে এবং সবাই সেটাকে মেনেও নিয়েছে। প্রথমে বিরোধিদলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারপরও যদি কেউ এই নিষিদ্ধ দলে কাজ চালিয়ে যায় তাহলে তাকে গ্রেফতার করে আইন অনুসারে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। বিএনপি বা জামাতে ইসলাম করার কারণে পুলিশ র্যাব প্রায় প্রতিদিন বাংলাদেশে মানুষ হত্যা করেছে – করোনা আসার আগে।
এইসব হত্যার কারণ ছিল ক্ষমতা, টাকা, সম্পদ দখল – দেশপ্রেম নয়। একজন বিচারপতি যদি মিথ্যা মামলাতে স্বাক্ষর করে তাহলে সে অপরাধি, মিথ্যা মামলাতে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ভুয়া সাক্ষ্যপ্রমাণে কারুকে মৃত্যুদ্বন্ড দেয় তাহলে সেই বিচারপতি নিজেই অপরাধি এবং মৃত্যুদ্বন্ড তারই আগে পাওয়া উচিৎ । তথাকথিত যুদ্ধপরাধীদের বিচার ছিল ভুয়া এবং ১০০% মিথ্যা সাক্ষ্যপ্রমানের ভিত্তিতে – সেটা সবাই জানে। কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি। জামাতে ইসলাম, বিএনপি এবং সাধারণ পাবলিক যারা জামাত নেতাদের জানাজাতে গেছে তারা ঠিক একইভাবে সবাই মিলে এই ভুয়া মামলা আর মিথ্যা সাক্ষ্যপ্রমানের ভিত্তিতে ফাঁসীর রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আসেনি। সাড়া দেশের সব পুলিশের চাইতে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামের সদস্যদের সংখ্যা বেশী। অনেক জামাত নেতাকর্মিকে হত্যা করা হয়েছে। অনেক বিএনপীর নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। যার জীবন গেছে তার পরিবার মাবাবার গেছে। বাকীরা সবাই প্রস্তুত ছিল আছে এবং থাকবে আওয়ামীলীগ চাটার জন্য। আওয়ামীলীগের নেতা মরলেই জামাত নেতাকর্মীরা ইন্নালিল্লাহ পড়তে পড়তে মুখে ফেনা তুলে ফ্যালে। আওয়ামীলীগের নেতা মরলে বেগম খালেদা জিয়া ফুলের মালা নিয়া দৌড়াইতে দেখা গেছে। উনাদের রাজনৈতিক শিষ্টাচার অতিরিক্ত এবং সীমা ছাড়িয়ে গেছে। শিষ্টাচার মানুষের সাথে দেখাতে হয় – খুনীর সাথে শিষ্টাচার তারা দেখায় যারা নিজেরা খুন করতে পারেনা কিন্তু খুনীকে সহযোগীতা করে।
ক্ষমতা, টাকা, সম্পদ আরাম আয়েসের লোভ নেতানেত্রী রাজনৈতিক কর্মী সাধারন মানুষ সবার আছে। এই লোভ কেউ টুপির নীচে লুকিয়ে রাখে কেউ পেটিকোটের নীচে কেউ বা তাদের অবশ নিম্নঙ্গ আর ঝুলে থাকা বিচির অন্তঃরালে লুকিয়ে রাখে। আজকে বাংলাদেশের এই অবস্থা হবার জন্য দায়ী এইসব রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা যাদের ফাঁসী হয়েছে, যারা জেলে থেকেছে, যে এখন গৃহবন্দী । এর জন্য দায়ী দেশের সকল নারীপুরুষ শিক্ষক ছাত্র বুদ্ধিজীবি লেখক কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক ডাক্তার আইনজীবি বিচারপতি – সবাই যার যার স্বার্থে খুনীদের সাথে থেকেছে – কেউ দেশ এবং দেশের জনগণের স্বার্থে বা বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভাবেনি।
অকসাৎ করোনার আক্রমণে অনেকেই মরছে আর এই মৃতের মধ্য তারাও রয়েছে যাদের টাকা, ক্ষমতা, সম্পদ এবং সর্বপরি যেকোন রকমের চিকিৎসা কেনার সংগতি আছে।
বাংলাদেশের মত দেশের জন্য এটা বিস্ময়। বাংলাদেশের ক্ষমতাশালী বিত্তশালী যারা তাদেরকে ইশ্বর মানা হয়। তারা যদি রাস্তায় কারুকে গাড়ী চাপা দিয়ে মেরে ফ্যালে বা ধর্ষন করে বা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুট পাচার করে বা যেকোন ব্যংকের পূঁজি লুট ও পাচার করে দেশে বিদেশে বাড়িগাড়ি ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বানায় অথবা যেকোন মানুষের সম্পত্তি বা ব্যবসা দখল করে নেয় তাহলে মামলা জেল ফাঁসী এসব কিছুই হয়না বরং তাদের সন্মান করা হয়। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়না। বরং যদি কেউ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে আসে তাদেরকে গ্রেফতার নির্যাতন করে অথবা ভয় দেখায় তাদের থেকে মোটা অংকের টাকা চায় । আর সেইসব ক্ষমতাশালীদের এখন মরতে হচ্ছে করোনার আক্রমনে ?????????????????????????????????? অন্যসব বেওয়ারিশ লাশের মত?????????????????? বাংলাদেশের ইতিহাসে এর চাইতে বিস্ময়কর ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এরা কি ভেবেছিল ? অন্যের রক্ত ঘাম জমি সম্পদ হাতের মুঠোতে আছে তাই করোনার মত সামান্য ভাইরাস ওদের কিছুই করতে পারবেনা? হাসপাতালগুলোতে লাইসেন্স ক্রয় করা ভুয়া ডাক্তারেরা তাদের বাঁচিয়ে রাখবে ?
মজার ব্যাপার হলো বাংলাদেশে সব ধরণের ডিগ্রী কিনতে পাওয়া যায়। একজন খুনীকে বিচারপতি বানানো হয়। হাসপাতালে অপারেশন করে লাইসেন্স কেনা ডাক্তারেরা। কানাডাতে ধাত্রী আছে কিন্তু বাংলাদেশে এখন আর ধাত্রী নাই। সব প্রসূতি হাঁসপাতালে আসে সি-সেকশন করে আধুনিক লাইসেন্স কেনা ডাক্তারের চাকুর নীচে। তাদের মহল্লাতে ছাত্রলীগের কোপের নীচে তাদের ছেলেমেয়েরা ভাইবোনেরা থাকে আর তাঁরা থাকে হাঁসপাতালে লাইসেন্স কেনা ডাক্তারের চাকুর নীচে। সবার মাথার উপরে একজন মৃত্যুদূত দাঁড়িয়ে থাকে। খুনীর হাতে শিশু জন্ম নেয়। প্রতিটি জীবনের শুরু হয় খুনীদের হাতে আর বিশ বাইশ বছর পরে সেই জীবন শেষ হয় খুনীদের হাতে। হয় ধর্ষিত হয়ে না হয় ক্রসফায়ারে না হয় নির্যাতিত হয়ে। সেই দেশে সেইসব খুনীদের নাকের ডগার উপরে বসে করোনা নিয়ে চলেছে একে একে খুনীদের জীবন ?????????????? এর চাইতে বিস্ময়কর আর কি হতে পারে???
আমি স্তম্ভিত!!! বুঝতে পারছি না কি লিখবো – কি নামে ডাকবো করোনাকে? অভিশাপ নাকি আশীর্বাদ।
আগামীকাল আমারও করোনা হতে পারে। সমস্যা নেই। জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে। আমি মৃত্যুর জন্য তৈরি আছি সেই কবে থেকে । তবে ভাবিনি করোনাকে এভাবে দেখে যাবো। কি আশ্চর্য!
আজ মঙ্গলবার, ১৬ই জুন ২০২০ – নীচে দেখুন সাড়া বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি – এখানে বাংলাদেশ নেই কারণ বাংলাদেশ সাড়া বিশ্বের থেকে আলাদা – মঙ্গলগ্রহে। এই বাংলাদেশ মঙ্গলগ্রহে অবস্থিত হবার ফলে এখানে করোনার চাইতে আরো বিষাক্ত এবং জীবন ধংবসকারী ভাইরাস শেখ মুজিবের মেয়ে শেখ হাসিনা আগে থেকেই আছে যার জন্য করোনা ভয় পাবে এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা