https://bookkeepingnexus.com/Fraud_Anwar_Parvez/FraudBangladesh.html
প্রিয়তম তুমি
অনেকদিন ধরে ভাবছি তোমাকে লিখবো। হয়ে উঠেনা। মূলত সাহসের অভাবের কারণে। হেসোনা। আমি তোমাকে হারাবার ভয়ের কথা বলছিনা। তোমাকে তো আমি পাইনি কোন দিন তাই হারাবার ভয় কাকে বলে এখনো জানিনি। আমি যে ভয়ের কথা বলছি তা হলো আমাকে ভুল বুঝে মনে কষ্ট পেলে আমিও কষ্ট পাবো সেই ভয়ের কথা বলছি। আচ্ছা যারা সত্যি সত্যি ভালবাসে তারা কি করে ভুল বুঝতে পারে? তুমি আমাকে ভুল বুঝবে কেনো? তুমি তো আমাকে ভালবাসো। তুমি আমার ভাল জানো । তুমি আমার মন্দ জানো। তুমি আমার কষ্ট জানো। তুমি আমার সুখ জানো। তুমি আমার হতাশা জানো, ব্যর্থতা জানো, না পাওয়া জানো তুমি আমার আকাশ পাতাল নদী মাঠ সাগর হাওয়া উড়ে যাও চড়ূই পাখীর দিকে তাকিয়ে উড়ে যেতে চাওয়ার ইচ্ছা জানো। তুমি আমার সব জানো। তবে ভুল কেন বুঝবে?
তাহলে কি তুমি আমাকে ভালবাসোনা?
হাজার বছরের শ্রেষ্ট প্রশ্ন করলাম। হেসোনা। তবে হাঁসলে তোমাকে সুন্দর দেখায়। ছোট করে যখন হাসো তখন তোমার চোখে ঝিলিক থাকে সেই হাসির। খুশী হতে যেয়ে তুমি থমকে যাও । ভয় পাও। ভাবো এই খুশী যদি দ্রুত তোমার চোখ থেকে হারিয়ে যায়! গেলে যাবে! কি আছে তাতে ! যা যাবার তা কেউ ধরে রাখতে পেরেছে কখনো, বলো? প্রস্থানের মানে জানো ? প্রস্থানের অর্থ হলো অন্য একটি সুখ প্রবেশের পথ খুলে যাওয়া । দুঃখ চলে গেলে যাক। সুখ চলে গেলে যাক। সুখ আর দুঃখ বুঝে একটা মধ্যস্থতা করার ইচ্ছাটুকু বেঁচে থাক। ভারসাম্য থাক ভালবাসাতে। স্বপ্ন এসে ছিনিয়ে নিয়ে না যাক কঠিন বাস্তবতা। এইখানেই আমি থামি । ভাবি। তুমি হারিয়েছো ঢের আমিও হারিয়েছি অঢেল তবু দিতে কার্পন্য করিনি কখনো । না অভিমান না ভালবাসা।
জানো আমি কি ভাবি ? আমি ভাবি তুমি পরিত্রাণ চাও। আমা থেকে আর তোমার বর্তমান পরিবেশ থেকে। তারপর তুমি ভাবো বর্তমান পরিবেশ থেকে পরিত্রাণ পেতে গেলে আমাকে সহ্য করতে হবে কিছুকাল। তারপর তুমি আমা হতে পরিত্রাণের পথ খুঁজে নেবে। কথাটি খুব কষ্টের ? অইযে বললাম – এসো স্বপ্নকে বেঁধে রাখি দূরে কোথাও বাস্তবের কাছে যেন সে আসতে না পারে । কারফিউ দিয়ে রাখি বাস্তবের চারিপাশে। বাস্তব অনেকটা বাংলাদেশের জনসম্পদের মত। বাংলাদেশের জনসম্পদকে কেউ চায়না। সেজন্য ওদেরকে কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। অতিরিক্ত হলেই সবাই ছেটে ফ্যালে। কেটে ফ্যালে। আবার কেউ কেউ রেখেও দেয় যখন নিজের সুবিধার জন্য রাখার দরকার হয়।
প্রকৃতিকেই দ্যাখো – রেগে গেলে আমার মত ঝড় হয়ে যায় আর খুশী হলে ভালবাসে । আমাদের মত স্বার্থপর আল্লাহ্র কোন সৃষ্টিই নয়। আল্লাহ্র সব সৃষ্টির ভেতর মানবই দানব। নিঃস্বার্থভাবে আমরা কিছুই করিনা । আর যদি কেউ করে তাকে আমরা বাঁচতে দেইনা। তাকে আমরা আঘাত করি এই ভেবে যে সেও যদি নিঃস্বার্থ প্রেম চেয়ে বসে !!! কি প্রলয় কান্ড হবে ভেবে দ্যাখো। তোমার সব ভালবাসা দর কষা বাধাছাদা সেখান থেকে এক রদ্দি খুচড়ো কিছুই নেই যা নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দেওয়া যাবে আর এই কারনেই যারা নিঃস্বার্থ তারা অগ্রহনযোগ্য!
আচ্ছা যেকারণে এই খোলা চিঠি লিখছি সেই কারনে আসি। মূল কথায় আসি। তুমি ত মূল কথা ভালবাসো। গোরপ্যাচ এগল্প সে গল্প শাখা প্রশাখা এসব তুমি ভালবাসোনা। মূল কথা বলে শেষ করে চলে যাও যার যার পথে। অথচ সব মূল কথাই আসে অনেক শাখাপ্রশাখা থেকে। মূল কথা একাকী দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা। অনেক শেকড়বাকড়ের উপরে মূল কথা দাঁড়িয়ে থাকে, জানো তুমি ? অনেক ভাবনা আকাশপাতাল ছেনে ভূমধ্যসাগর সেচে মূল কথায় এসে আমি থমকে যাই
ভাবি বলেই ফেলি
তারপর ভাবি — যদি বলে ফেলি তোমার চোখে বিষন্নতাই ভরে যাবে
তোমার ভাষা আমি বুঝে ফেলেছি সেই অপরাধে তুমি আমাকে শাস্তি দেবে
তোমার শাস্তি দেবার স্টাইল আমি অপছন্দ করি।
ওটা কোন শাস্তি নয়।
যাক যা বলছিলাম । আমি বলতে চেয়েছিলাম যে পৃথিবীতে আমরা সবাই খুব একা। যারা বিবাহিত যারা প্রেম করে যারা সারাদিন একসাথে থাকে ওরাও একা যাদের অনেক বন্ধুবান্ধব অনেক আড্ডা অনেক সখাঁ অনেক সখি তারাও অনেক একা। হাতের তালুর আঁকিবুঁকি দুর্বোধ্য দাখের মত প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্বই ভিন্ন তাই কেউ কারু সাথে একমত নয় সেজন্য বুকের খুব গভীরে সবাই খুব একা।
তোমার চোখের ভেতর আমি দেখি সেই একাকীত্ব
আর আমার বুকের ভেতর সারাক্ষণ ভায়োলিন বাজায় সেই একাকীত্ব
এইসব একা একা সত্বাগুলো সাথী খুঁজে অথচ সাখীর সাথে নির্দিষ্ট কিছু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া কিছু মুনাফার জন্য লেনদেন বাণিজ্য করে আর বলে তুমি আমার চিরজনমের সাথী
কি বিশাল শূন্যতা বলো তো !!
একা একা আমি জীবনের কতকাল পেড়িয়ে এলাম। হাসিখুশী। অথচ যারা অনেকের সাথে থাকে তারাও কত একা। আমি বুঝি তুমিও একা। আমি যতই বলি আমি আছি। মূল কথা – তুমি আমাকে চাওনা । চাওনা জীবনে বা মরনে তুমি চাও আমি থাকি যেমন আছি। সব সময় । খুঁজি তোমাকে। তুমিও খুঁজো আমাকে। এভাবেই থাকি স্বল্প সময়ে। বেশীক্ষণ নয়। বেশীক্ষণ আমাকে দেখলেই তোমার বিরক্ত লাগে। এই বিশ্বের যতজন মানুষকে তুমি প্রশ্ন করবে ওরা সব একই কথা বলবে – আমি একজন বিরক্তিকর এবং বোরিং প্রানী । এই ভাবনা দোষের কিছু নয়।
সেজন্যই আমি কারু সাথী নই। সেই চড়ুই পাখীর মত। প্রাকৃতিক প্রয়োজনে যে তার সাথির সাথে সঙ্গম করে তারপর মা হয় তারপর উড়তে যেয়ে বিদ্যুতের প্লাস্টিক ছেড়া তারে নখ লেগে মরে যায় ।
আমাকে তুমি চাও – কিছুক্ষণের জন্য
তারপর বিরক্ত হয়ে যাও । যখন তুমি বিরক্ত হও তখন তোমার চোখে আমি পড়ে ফেলি সেই সংকেত। তখন আমার বুকের ভেতর একাকীত্বের ভায়োলিন বাজে করুণ সুরে। প্রতি মিনিটে আমি সামলে উঠি। আকাশের পানে চায় – আকাশ কি বিশাল। তোমাকে আমাকে আমাদের সবাইকে ছাদ দিয়েছে তারপর মাটির দিকে দেখি। মাটির সহ্য ক্ষমতা কি সীমাহীন। তুমি আমি আমরা সবাই কি প্রচন্ড অত্যাচার করছি অবিচার করছি মাটির প্রতি তবু দেখো মাটি আমাদের সুযোগ দিচ্ছে বারে বারে, জন্মের পরে হাটার মৃত্যুর পরে ঘুমাবার।
আজ রাখি । আর একদিন কথা হবে। এর পরে আমি তোমাকে একটা মিষ্টি চিঠি লিখবো। কোন বাস্তবতা থাকবেনা। কোন মিথ্যাও থাকবেনা। কোন স্বপ্নও থাকবেনা। শুধু আমি থাকবো আর আমার ভালবাসা।
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা
You are my intake, I have few blogs and rarely run out from brand :). “Yet do I fear thy nature It is too full o’ the milk of human kindness.” by William Shakespeare.