https://bookkeepingnexus.com/Fraud_Anwar_Parvez/FraudBangladesh.html
এই লেখা শুরু
করার আগে আমি কিছু বিশেষ ব্যাপারে আলোকপাত করবো
১ – ১৯৪৭ সালের আগে অবিভক্ত ছিল উপমহাদেশের তিনটি দেশঃ পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশ।
২ –বিদেশে সৈন্যসামন্ত লোকজন পাঠিয়ে উপনিবেশ রাখা ইংরেজের জন্য লাভজনক ছিলনা বরং দেশীয়
দালাল শ্রেনীর লোকেদের মধ্য ক্ষমতা বন্টিত করে দিলে তাঁরা দেশীয় প্রতিনিধিদের চাইতে
ভাল সেবা প্রদান করবে এই প্রমাণিত সত্যকে ভিত্তি করেই বিভাগীকরণ এবং শাসন (Divide
n Rule) এর ব্যবস্থা চালু করে ইংরেজরা এই উপমহাদেশ ত্যাগ করে।
৩ – ইংরেজরা বিদায় নেবার আয়োজন করার সাথে সাথেই আরো একটা কাজ করে তাহলো মানুষের সুপ্ত আদিম প্রবৃত্তি ঘৃণা, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদিকে জাগ্রত করে যায়। আনুমানিক দুই কোটি মানুষ গৃহহারা হয়, মারা যায়, সাথে ছিল লুট, অগ্নীসংযোগ, ধর্ষন – যারা বেঁচে যায় তারা এইসব ভয় বুকে নিয়ে ভারত থেকে দলে দলে এসে আশ্রয় নেয় পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে (ইস্ট বেংগল বা পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানে যা এখন বাংলাদেশ নামে পরিচিত)
৪- সাম্প্রদায়িকতা ঘৃণা অপরাধ অগ্নীসংযোগ লুট বসত থেকে বিতারিত হবার দুর্বিসহ স্মৃতি নিয়ে নতুন দেশে এসে রিফুইজি বা মোহাজেররা কেউই চায়নি সেই একই ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি ঘটুক। সবাই চেয়েছে নতুন দেশে এসে পরিবার পরিজন নিয়ে পরিশ্রম করে তারা শান্তিতে বসবাস করবে
৫ – মনে রাখতে হবে দেশ ত্যাগ এবং বিভাগের আগে ইংরেজরা তিন দেশের ক্ষমতা দিয়ে গেছিল ইংরেজদের মনোনিত ব্যক্তিদের হাতে । সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এরাই সৃষ্টি করেছিল মানুষকে তাদের বসত থেকে বিতারিত করার জন্য। আগুন না লাগালে, হত্যা ধর্ষন না করলে কেউ তাদের বাড়ী ছেড়ে দিবেনা। আর হত্যা, অগ্নীসংযোগ করার জন্য একটি অজুহাত দরকার – তাহলো হিন্দু আর মুসলমান
৬- উপমহাদেশে দুইটি দেশ সৃষ্টি হলো – পাকিস্তান এবং ভারত। পাকিস্তানের দুইটি বিভাগ – পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান। এখানে বসবাস করে ভীত সন্ত্রস্থ্য কোটি কোটি রিফুজী যাদের ভয়কে পন্য করে ডিফেন্সের নামে তৈরি করা হলো আর্মী। পাকিস্তান আর্মী আর ভারতের আর্মী – দুই আর্মীকেই অনুদান দিল, প্রশিক্ষণ দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর এই দুই আর্মী একে অপরের সাথে যুদ্ধ করতে লাগলো দিনের পর দিন। ভারতের আর্মীকে শক্তিশালী করার অজুহাত ছিল চীনের থেকে ডিফেন্ড করা আর পাকিস্তান আর্মীকে শক্তিশালী করার অজুহাত ছিল ভারত থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখা।
৭- ১৯৭০ সালে পাকিস্তান আওয়ামীলীগ পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক সরকারের অধীনে ভোটে জয়লাভ করে ভারত থেকে আসা পূর্ব পাকিস্তানের রিফুজীদের ভোটে কারণ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন চেয়েছিল। ১৯৭১ সালে যখন ইয়াহিয়া গণহত্যা শুরু করে তখন পূর্ব পাকিস্তানের সন্তানেরা যারা পাকিস্তান আর্মীতে যোগ দিয়েছিল তারাই মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। কেনো ? বছরের পর বছর যারা ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান আর্মীতে থেকে যুদ্ধ করলো তারাই কেন পাকিস্তান আর্মীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করলো?
এই প্রশ্নের উত্তর তারাই দিতে পারবে যারা দেশকে ভালবাসে। ওরা পাকিস্তান আর্মীতে কেনো যোগ দিয়েছিল? পাকিস্তানকে বাঁচাতে। ওরা মুক্তিযুদ্ধ কেন শুরু করেছিল ? দেশের মানুষকে বাঁচাতে ।
মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই শহীদ হয়েছেন। যারা বেঁচে ছিলেন পরবর্তীকালে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল নানা সময়ে যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ ব্যর্থ হয়েছিল। দেশের মানুষকে বাঁচাতে যেয়ে দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন বাজী রেখেছিল ঠিক আর যাদের জন্য এরা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল সেইসব মানুষেরাই বিদেশীদের দালালকে নেতা মেনে নিয়ে নিজেদের সাথে বেইমানী করেছিল। একারণেই পরাধিনতা ও দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে পূর্ব বাংলা এবং পূর্ব বাঙলার মানুষকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।
মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা কেউ হাতে তুলে দেয়না। অর্জন করতে হয়। বাংলাদেশীরা অকৃতজ্ঞ জাতী বেইমান তাই চিরকাল বিদেশীদের পদলেহন করে কুকুরের মত বাঁচে কুকুরের মত মরে।
এবারে আমি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি দেবো যারা বাংলাদেশীদের জন্য জীবন বাজী রেখে লড়াই করেছিল বিনিময়ে বেইমান বাংলাদেশীরা যাদের নির্মমভাবে হত্যা করে ।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে আরাম আয়েশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত ছিলেন। অনেক সিনিয়র বাঙ্গালী অফিসাররা ভোগ বিলাস ছেড়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কিন্তু ছবির দামাল ছেলেরা প্রায় সবাই একাত্তর সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র জনগণের উপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়লে বীরের দল ঘৃণা ভরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিশ্চিত চাকুরী ছুড়ে ফেলে দেশ মাতৃকার ডাকে অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জীবনবাজী রেখে পালিয়ে চলে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের রণাঙ্গনের সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা !!!!
তারপর আমি বেইমানদের বিবৃতিগুলোর স্নাপশট দেবো।
আজকের বাংলাদেশ জাহান্নাম হবার কারন এটাই – যে দেশে বীর দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয় সেদেশের বেইমান মানুষেরা একেঅন্যের সাথে হানাহানি করে নিজেদের রক্তে নিজেরাই ভাসে। বিদেশীরা দূরে বসে হাসে। উপনিবেশ করার দরকার নেই। লর্ড ক্লাইভেরা এখন যার যার পার্লামেন্টে বসেই কোথায় মানবাধিকার আছে কি নেই তা নির্ণয় করে দূরে বসে। দালালেরা যুগ যুগ ধরে বিদেশীদের সেবা করে আর নিজের মানুষের উপর চালায় গুলি, জেল, জুলুম, অগ্নীসংযোগ, লুট, ধর্ষন, ধ্বংস, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ পাচার, সুন্দরবন ধ্বংস ইত্যাদি করে উৎসবমুখর থাকে বছরে তিনশত পয়ষট্টি দিন।
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা
দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তোমাদের ধারণ করার ক্ষমতা বাংলার মীরজাফরদের ছিলনা । আজ বাংলা অরক্ষিত, আজ বাংলার মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে এখন আর বাংলাদেশের মায়েরা বীর প্রসব করেনা সেজন্য। ওরা তার বীর সন্তানকে যদি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয় সেই ভয়ে আজ আর বাংলার মায়েরা বীর প্রসব করেনা। এখন বাংলার মায়েরা কাপুরুষ প্রসব করে। ধর্ষক প্রসব করে। খুনী প্রসব করে। মীরজাফর প্রসব করে। বিদেশীদের পদলেহনকারী হুজুর হুজুর করা চাটুকার কুকুর প্রসব করে। দুর্নীতিবাজ প্রসব করে। তবুও সন্তানের লাশ খালেবিলে ভাসে। তবুও সন্তানকে বেঁধে নিয়ে যায়, ভুয়া মামলাতে আটকে রাখে জেলে। নির্যাতন করে ক্রসফায়ারে হত্যা করে, মর্গে লাশ পচে। বাসে ধর্ষন করে ছুঁড়ে ফেলে দেয় পথে। বাংলা এখন শকুনের দখলে।

১৯৭১ সালের রণাঙ্গনের লড়াকু মুক্তিযোদ্ধা, একজন সামরিক অফিসার যিনি নিজ প্রানের মায়া তুচ্ছ করে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে জীবন বাজী রেখে পালিয়ে এসেছিলেন
এমন সময় যখন নয় মাসে পাকিস্তানে বসে বাংলাদেশ প্রসব করবে বলে মহান স্থপতি শেখ মুজিব–কাপুরুষের মত তার আইনী উপদেষ্টা ডঃ কামাল হোসেনের আঙ্গুল ধরে নিজের জীবন বাঁচাতে সুটকেস নিয়ে পাকিস্তানে রওনা হয়েছিলেন।
বীরসেনানী জানতেন পাকিস্তান থেকে পালাতে যেয়ে ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু তবু প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার চেয়ে বড়ো কিছুই ছিলোনা তাঁর কাছে। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসার, সফল কূটনীতিবিদ, বুদ্ধিদীপ্ত অসাধারণ সুবক্তা একজন সংসদ সদস্য। বীরসেনানীর এই পরিচয় নপুংশুক বিএনপি সরকারের কাছে যথেষ্ট ছিল না। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বিএনপি জেল এর মধ্যে ” ডিভিশন” দিতে অস্বীকার করে বসলো। সুদীর্ঘ পাঁচটি বছর তৃতীয় শ্রেণীর কয়েদী হিসাবে রেখে দিলো ” কন্ডেম সেলে”। বীরসেনানীর অবর্ণনীয় অসহ্য অবস্থা সহ্য করতে না পেরে বীরের ছোটভাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর দুইপা চেপে ধরলেন কিন্তু তিনি একশত মানুষের চোখের সামনে ছোটভাইকে ” GET OUT’ বলে চরম ভাবে অপমান করে তাড়িয়ে দিলেন।
এখন ও এমন অনেক ঘটনা ঘটে যা ব্যাখ্যার অতীত। সম্পূর্ণ পঙ্গু কর্নেল মহিউদ্দিন কে নির্মম ভাবে হত্যা করার কয়েকদিন পর ফোনে কথা হচ্ছিল উনার ওয়াইফ এর সাথে। ভাবী খুব নির্লিপ্ত কণ্ঠে কথা বলছিলেন। বললেন, ” আমি তো আর মানুষ নই তাই সব বলতে পারছি আপনাকে। মানুষ থাকলে পারতাম না”। কর্নেল মহিউদ্দিনের ফাসীর পর যে ভাবে উনার হাত পা নিচের দিকে ঝুলে পড়ে ঠিক একই ভাবে উনার নিজ হাতে লাগানো নারিকেল গাছটার সব ডগা ডালপালা সেই একই রাতে মরে নীচের দিকে ঝুলে পড়ে। ভাবী আমাকে অনুরধ করছিলেন উনার বাসায় যেয়ে নারকেল গাছটা দেখে আসতে কিন্তু তখন আমার ও কঠিন মুমুরশ অবস্থা তাই যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এমন অনেক ঘটনা ঘটে যা ব্যাখ্যা করে বোঝানো যায় না !!
আদালতের রায়ের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল জামায়াত
স্টাফ রিপোর্টার
স্বাধীনতার স্থপতি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আইনের শাসনে বিশ্বাসী। দীর্ঘ শুনানির পর সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন তার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। গতকাল বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা স্বাধীনতার স্থপতি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের রায় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনাব মুজাহিদ এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।






Perfect piece of work you have done, this website is really cool with fantastic info .
Woah! I’m really loving the template/theme of this site. It’s simple, yet effective. A lot of times it’s tough to get that “perfect balance” between user friendliness and appearance. I must say that you’ve done a great job with this. Additionally, the blog loads very fast for me on Firefox. Excellent Blog!
fantastic post, very informative. I’m wondering why the other specialists of this sector do not notice this. You should proceed your writing. I’m sure, you’ve a huge readers’ base already!
After study a few of the blog posts on your website now, and I truly like your way of blogging. I bookmarked it to my bookmark website list and will be checking back soon. Pls check out my web site as well and let me know what you think.