গাড়িতে পিষ্ট হয়ে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের মৃত্যুর পরে ছাত্রসমাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এই বিক্ষোভ একটু ভিন্নধর্মী। আইনহীনতা ও অপরাধে অসুস্থ রাষ্ট্রের চিকিৎসাই নেমে গেছে শিশুকিশোরেরা। ইমান, একতা, শৃংখলার এক অনবদ্য উদাহরণ বাস্তবায়ন করেছে স্কুল কলেজের শিশুকিশোরেরা। এই আন্দোলন ন্যায় বিচার পাবার আন্দোলন। এই আন্দোলন অন্যায় অপরাধে অসুস্থ্য একটি রাস্ট্রকে আইন শৃঙ্খলার ভেতর নিয়ে আসার অসাধরণ প্রচেষ্টা। বড় বড় নেতারা আজীবন রাজনীতি করে জনগণকে ঠেলে দিয়েছে অপরিসীম অনিশ্চয়তা, অপরাধ আর মৃত্যুর দিকে। এইসব শিশুকিশোরেরা ফিরিয়ে আনছে শৃঙ্খলা। ফিরিয়ে আনছে আইন। পথে গাড়ী ড্রাইভ করতে গেলে লাইসেন্স থাকতে হবে। শিশুকিশোরেরা জব্দ করছে লাইসেন্স বিহীন চালক আর ইয়াবা গ্যাঞ্জাসহ পুলিশ আর ভুয়া ডিবি পলিশের পরিচয়ে অপরাধী। বিচারপতির গাড়িতে চালকের লাইসেন্স নেই। পুলিশের গাড়িতে চালকের লাইসেন্স নেই। আসুন আমরা শিশুকিশোরের কাছ থেকে শিক্ষা নিই কিভাবে পথে চলতে হয়। কিভাবে নিরাপদ থাকতে হয়। নীচের সব ছবি ফেসবুকের বিভিন্ন পোষ্ট থেকে নেওয়া। যারা এইসব ছবি শেয়ার করেছেন তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে এমন একটি সুন্দর আন্দোলনের কথা লিখতে আমি গর্ববোধ করছি। এবং ওদের সাথে থাকতে না পারার জন্য কষ্ট অনুভব করছি। সাড়া ঢাকার সব মাবাবাভাইবোনদের কাছে অনুরোধ রইল বাচ্চাদের পাশে যেয়ে দাঁড়াবার জন্য। আমরা যা করতে পারিনি ওরা তা করে দেখাচ্ছে তাই ওদের নিরাপদ রাখার দায়িত্ব আমাদের। চারিপাশে রক্তখেকো হায়েনারা ঘুরছে। বাচ্চাদের বুক দিয়ে আগলে রাখুন । সবাই নেমে যান রাস্তায়। দাবী না মানা পর্যন্ত সব স্কুল, সব কলেজ, সব অফিস, সব আদালাত, বন্ধ থাক। ন্যায় বিচারের দাবী মানবাধিকার। নিরাপদ সড়কের দাবী নাগরিকের মৌলিক অধিকার।
যুগ যুগ ধরে বেচে থাক তোমাদের কীর্তি।
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা।