“রাতের ফাঁকা সড়কে এমপি একরাম পুত্রের বেপরোয়া গতির গাড়ি কেড়ে নিলো নিরীহ পথচারীর প্রান”

বিলাসবহুল ‘অডি’কার নিয়ে বনানী থেকে মহাখালি ফ্লাইওভারে উঠতে গিয়েই চাপা দিলেন এমপি পুত্র এক পথচারীকে। ধাক্কা খেয়ে ওই পথচারী ২০ থেকে ৩০ ফুট দূরে ছিটকে গিয়ে প্রাণ হারান। সংসদ সদস্যের স্টিকার যুক্ত ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন সাবাব চৌধুরী। তিনি নোয়াখালি-৪-এর সংসদ সদস্য একরামুল হকের ছেলে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত সোয়া ১১ টার দিকে বনানী এলাকায় গাড়ি চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান সাবাব চৌধুরী। নিহত পথচারীর রক্তাক্ত দেহের পাশে গাড়ির নাম্বার প্লেট (ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৩-৭৬৫৫) পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া অডি গাড়ির লগোটিও ঘটনাস্থলে পড়ে ছিলো। ….

ঘটনা দেখে সঙ্গে সঙ্গে একজন মোটরসাইকেল আরোহী এমপি পুত্রের প্রাইভেট কারের পিছু নেন। তাকে অনুসরণ করে ধানমন্ডি পর্যন্ত আসেন ওই মোটরসাইকেল চালক। এরপর ধানমন্ডিতে মোটরসাইকেল চালকের চিৎকার শুনে আরেকজন তরুণ প্রাইভেট কার চালক এমপি পূত্রকে অনুসরণ করতে থাকেন।

এ সময় মহাখালির দুর্ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে ক্ষেপে গিয়ে উদ্যত আচরণ শুরু করেন সাবাব। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল চালকের মোবাইলে দুর্ঘটনা দৃশ্য আছে জানালে মোবাইল কেড়ে নেয় সাবাব।

এ সময় সাবাব তাদের জানায়, ‘বাসের সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছি, কেউ মারা গেছে কি-না জানি না’। … থানা পুলিশ বার্তা২৪.কমকে জানায়, প্রাইভেটকার চালক সাবাবের বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন। সাবাবকে প্রায়ই গুলশান বনানীতে গাড়িসহ আড্ডা দিতে দেখা যায়।

এদিকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা গাড়ি নাম্বারটি বিআরটিএতে তাৎক্ষণিক যাচাই করে দেখা যায়, গাড়ির মালিকের নাম কামরুন নাহার শিউলি। তিনি সাবাবের মা। নোয়াখালি সদরের উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি। আর তার স্বামী সংসদ সদস্য একরামুল হক চৌধুরী। গাড়ির রেজিস্ট্রেশনেও স্বামীর নাম হিসেবেও একরামুলের নাম রয়েছে।

সাবাব চৌধুরী ফেসবুক আইডি ঘুরে দেখা গেছে, দেশে-বিদেশের সড়কে বিলাসবহুল গাড়ি চালানো তার সখ। নিউজিল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে এমন তথ্য রয়েছে তার ফেসবুক প্রোফাইলে। এদিকে দুর্ঘটনার বিষয়ে সাবাবের বাবা সংসদ সদস্য একরামুল হক ও মা কামরুন নাহার শিউলীকে বারবার ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *