১৯৭১-২০১৮ – রাজাকারদের ফাঁসী হয়েছে কিন্তু ধর্ষন অব্যাহত রয়েছে ।

বাংলাদেশে ধর্ষিতা শিশু, কিশোরী, যুবতীর লাশ দেখে দেখে শক্তি হারিয়ে ফেলছি লেখার। শৈশব  থেকেই লাশ দেখেই বড় হয়েছি,। না আমি কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজে নিযুক্ত ছিলাম না। সারাদেশই ছিল কবরস্থান। আজও দেখছি কোন পরিবর্তন হয়নি। বৃদ্ধি পেয়েছে মানুষ। সংকুচিত হয়েছে মন। নষ্ট হয়ে গেছে সমাজ। সব চাইতে নষ্ট তারা যারা চুপচাপ বসে বসে দ্যাখে আর নিজেদের চামড়া বাঁচিয়ে চলে। সব চাইতে নষ্ট তারা যারা টাকা খেয়ে বিচারব্যবস্থাকে ধর্ষন করার দাবী করে। ধর্ষকের চাইতেও বড় ধর্ষক তারা যারা ধর্ষকদের আশ্রয় দেয়, রক্ষা করে আর ক্রমাগত ধর্ষন করতে প্রেরণা যোগায়।

প্রতিদিন আমি দেখি একদল মানুষ উৎযাপনে লেগে থাকে। রং লাগিয়ে মুখে উৎসব করে। উৎসব করে ভালবাসা দিবসে, স্বাধীনতা দিবসে, পানি দিবসে, আলো দিবসে, প্রতিদিন এক একটি দিবস কোন সন্দেহ নাই – অন্যের রক্ত চুষে আনা টাকা হাতের মুঠোতে থাকলে উৎসব করার কোন সমস্যা হবার কথা নয়।

দেশের সবগুলো জেলভর্তি নিরীহ মানুষ আর সাড়া দেশ ভর্তি দুর্নীতিবাজ, খুনী, ধর্ষক, মিথ্যুক আর প্রতারক। অপরাধীদের সাজা হয়না । নিরাপরাধেরা শাস্তি পায়, হাত পা বাঁধা ভাইয়ের লাশ, ধর্ষিতা সন্তানের লাশ পাওয়া যায় শপিং ব্যাগের ভেতর। বাসে ধর্ষন, ট্রেনে ধর্ষন, মাঠে ঘাটে, ঘরের আগল ভেঙ্গে ধর্ষন। বিচারব্যবস্থাকে ধর্ষন করার পরে চলছে গণধর্ষণ।

ফেসবুকের দেওয়ালে দেওয়ালে ধর্ষনের প্রতিবাদ হচ্ছে, রক্তাক্ত ছবি পোষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন তারপর সে ঘটনা হারিয়ে যাচ্ছে সাকিবের সেঞ্চুরীতে । হারিয়ে যাচ্ছে জেলাগুলোর ইংরেজী বানান আর উচ্চারণ পরিবর্তনের যোয়ারে। প্রতিদিন নতুন নতুন পাশবিক খেলায় মেতে উঠছে শিশুরা আর  নিরপরাধের নিজেরই রক্তের বন্যায় ভেসে যায়, ধুয়ে মুছে যায় সব অপরাধ আর অন্যায়।

আমি এখানে কোন শিশুর রক্তাক্ত লাশের ছবি পোষ্ট করছিনা। আমি এখনো এত সাহসী হতে পারিনি।

১৯ বছর বয়েসী তনু কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে চাকরিরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ২০শে মার্চ তনুর মৃতদেহ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে পাওয়া যায়। প্রাইভেট টিউটরের কাছে এক বাসায় পড়তে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন।

তনুর লাশ পাওয়া যায় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে???????????????? যতদুর জানি ক্যান্টনমেন্টে খুনীরা বাস করেনা। ক্যান্টনমেন্টে ধর্ষকেরা বাস করেনা। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সেখানে বাস করে। সেখানে একটি ধর্ষিতা মেয়ের লাশ পাওয়া গেলে ধর্ষককে খুঁজে পাওয়া যায়না। কেউ গ্রেফতার হয়না। উলটা ধর্ষিতার পরিবার প্রানভয়ে উধাও হয়ে যায়। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের জন্য বা বাংলাদেশের জনগণের জন্য কোন কাজ করে কিনা আমার জানা নেই তবে শুনেছি ওরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা করে। দেশে নিজের ঘরের সামনে ধর্ষিতা কিশোরীর লাশ পাওয়া গেলে খুনীকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শান্তি রক্ষা করার সিদ্ধন্তেই ওরা অটল আছে । একাজে টাকা বেশী। আরাম বেশী। ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করতে পারে। দেশ বা জনগনের জন্য বাংলাদেশ আর্মী কিছুই করেনা।

তনু ধর্ষনের আগে আরো অনেক অনেক অনেক ধর্ষনের খবর ক্রিকেটের সেঞ্চুরীর নীচে হারিয়ে গেছে। টাইগার্সরা ঝুঁকিহীন সর্প হয়ে নেচেনেচে এক সময়ে ভারতের পদচরণে এসে কেচোঁ হয়ে নুইয়ে গেছে।  শেয়ালকে ব্যঘ্র ভেবে ধরে ফেলে দেশ ও সমাজকে রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছে দেশের বীর আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেরা কিন্তু কোন ধর্ষক কে গ্রেফতার করতে পারেনি। করলেও তাদের বাপের ধ্মকের ভয়ে ইজ্বতের সাথে মুক্ত করে পায়ে হাত দিয়ে মাফ চেয়েছে। কোথাও কোন থানাতে ধর্ষনের জেনারেল ডায়েরি লেখা হয়নি কারণ ধর্ষিতার পরিবার দরিদ্র আর ধর্ষকেরা প্রভাবশালী। ধর্ষনের  রিপোর্ট লেখার চাইতে বাঘ ভেবে শেয়াল ধরে ফেসবুকে সেলফি দেওয়া নিরাপদ। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেরা নিজেরাই নিরাপত্তার অভাবে ভয়ে ভয়ে জীবনযাপন করছে সুতারাং  জনগনকে নিরাপত্তা দেবার প্রশ্ন অবান্তর।

ঈশারাত জাহান ইভা। ছয় বছরের স্কুলছাত্রী। কোরবানির ঈদের ছুটিতে মামার বাসায় বেড়াতে এসেছিল অবুঝ শিশুটি। ঈদের আগের রাতে টেলিভিশনে কার্টুন দেখার সময় পাশের বাসার ভাড়াটে জাকির শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। ধর্ষণ করে শিশুটিকে। তার পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে জাকির। এমনকি লাশের পরিচয় নিশ্চিহ্ন করতে ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয় তার শরীরে। ঈদের দিন সকালে বাড়ির পাশের ডোবায় ইভার মৃত দেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকায়।

রাতারাতি শিশু ধর্ষন বৃদ্ধি পায়নি। শিশুধর্ষন চলছে সাংবাদিকেরা ব্যস্ত ছিল ধামাচাপা দেবার কাজে। সংবাদপত্রগুলো তখনই একটি সংবাদের উপরে জোড় দেয় যখন আরো কিছু সংবাদ ধামাচাপা দেবার দরকার হয়। শিশু ধর্ষনের হার বৃদ্ধির সংবাদ ধামাচাপা দেওয়াটাও সময়ের ব্যাপার। সামনে আসছে খালেদা জিয়া হত্যা, জানাজা, শোক এবং বিএনপির সমাধি রচনা সেজন্য বাংলাদেশের সাংবাদপত্রগুলো খবর সাজাচ্ছে – কোন খবর দিয়া কোন খবর চাপা দিবে সেই পরিকল্পনার নীল নকশা আকতে সর্বদা ব্যস্ত তারা ।

ঈদুল আজহার আগের রাতে নগরীর হাজারীবাগ এলাকায় সাত বছরের একটি শিশুকে সুলতানগঞ্জ এলাকার এক যুবক ধর্ষণ করে। এ কথা কাউকে বললে হত্যারও হুমকি দেয়া হয়। পরে বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় থানায় মামলা হয় এবং শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

ঢাকা সিটি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শামীমা নাসরিন সুইটিকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।এ ঘটনায় নিহত ছাত্রীর বাবা আলাউদ্দিন খন্দকার মেয়ের কথিত মামাবেশী প্রেমিক সাইফুল ইসলাম রনিসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোকন নামে একজনকে আটক করে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, সুইটিকে ৪-৫ জন মিলে ধর্ষণ করে। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। খিলক্ষেত থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, নিহত ছাত্রীর সঙ্গে আসামি সাইফুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

গত ৩১ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড়ের সি-ব্লকের ১২/৬ বাড়ির চতুর্থ তলায় মডেল আদৃতাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তার প্রেমিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আশিষ কর্মকারকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

গত সেপ্টেম্বরে রাজধানীর আদাবর মাঠখোলা মহল্লায় এক কিশোরী (১৫) গণধর্ষণের শিকার হয়। ওই কিশোরীর মা আমেলা বেগম অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ৮টায় তার মেয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে আদাবরে বাসায় ফিরছিল। ওই সময় স্থানীয় বখাটে শুকুর আলী তিন সহযোগীসহ মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তারা সবাই মিলে মাঠখোলার ফাঁকা একটি স্থানে তার ওপর নির্যাতন চালায়। আশপাশের লোকজন টের পেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এরপর কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গভীর রাতে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।

কিছুদিন পরই মোহাম্মদপুরে পুলপার বটতলার একটি বাসায় অপর কিশোরী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়।

গত ২ জুন গাজীপুরের টঙ্গীতে এক তরুণী রাতে ঘরের বাইরে গেলে বাড়িওয়ালার ছেলে মইনুদ্দিন ও তার কয়েক সহযোগী তাকে ধর্ষণ করে এবং পরে তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুরুতর অবস্থায় মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৫ জুন মারা যায়।

এছাড়া বাগেরহাটে প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী।

অপরদিকে, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ভাবনপাড়া প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভজন কুমার শিকদার ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।  গত শবেবরাত রাতে গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার ৬ বছরের এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

গত ১৬ অক্টোবর রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় শারমীন (১০) নামের স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আগের দিন সকাল থেকে সে নিখোঁজ ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বলছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর এক কলেজ ছাত্রী সাতক্ষীরা শহরে বেড়াতে আসেন। বিকালে বাড়ি ফেরার সময় তার সঙ্গে দেখা হয় তাদের পারিবারিকভাবে পরিচিত দেবাহাটা থানার পুলিশ কনস্টেবল সালাউদ্দিনের সঙ্গে। সালাউদ্দিন কলেজ ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে সাতক্ষীরা শহরের শাপলা হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জে এক গৃহবধূকে ঋণ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ঘরে আটকে রেখে পাশবিক অত্যাচার চালায় ও তার নগ্ন ছবি তুলে তা প্রচার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন স্থানীয় নেতা

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলের দিকে নিজ বাড়ির পাশে খেলা করছিল পাঁচ বছর বয়সী শিশুটি। খেলায় মত্ত শিশুটিকে পাশের বাড়ির নাঈম হোসেন (১৮) কৌশলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এবং শোবার ঘরে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। একপর্য়ায়ে মেয়েটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পরপরই নাঈম ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায় গেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭

রাজধানীর ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের ধানতারা গ্রামে ৭ বছর বয়সী একটি মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনার দিন বুধবার (১৪ র্মাচ) বিকেলে বাড়ির পাশের বংশী নদীর ধারে মেয়েটি খেলা করছিল। এ সময় শুকুর আলী তাকে ধর্ষণ করে।

 

বড় বড় গবেষকেরা ভাবছেন ধর্ষন কেম্নে বন্ধ করা যায়। কুল কিনাড়া না পেয়ে ধর্ষকের বাপের সাথে বসে তাস পিটিয়ে, গঞ্জিকা সেবন করে ঘরে যেয়ে সম্ভবত নিজের অপরাগতার গ্লানি লুকাতে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষন করছেন।

যেকোন অপরাধ বন্ধ করার জন্য
– আইন প্রনয়ণ করতে হয়।
– সেই আইনে সেই অপরাধের বিচার করার জন্য দেশে একটি নিরপেক্ষ বিচারবিভাগ থাকা আবশ্যক।
– সেই বিচার কার্যকর করার জন্য দেশে একটি আইনশৃংখলারক্ষাকারীবাহিনী থাকা দরকার।

সে আইন হবে ন্যায় বিচার পাবার সহায়ক।
সে আইন হবে নিরপেক্ষ।
সে আইন জনগণকে রক্ষা করবে।

কোন অপরাধের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশে কোন আইন নাই।
বাংলাদেশে কোন বিচারবিভাগ নাই।
বাংলাদেশে কোন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী নাই।

বাংলাদেশে যা আছে তা হলো জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবার এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্যেরা। তারাই বাংলাদেশের আইন তারাই বাংলাদেশের আদালত তারাই পুলিশ তারাই র‍্যাব। তারাই সাংবাদিক। তারাই ডাক্তার। তারাই উকিল। তারাই বিচারপতি। তারাই বিচার বিভাগ। তারাই ধর্ষক । তারাই মন্ত্রী। তারাই ডাকাত। তারাই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বিদেশে পাচার করে। তারাই খোলা আকাশের নীচে ক্যামেরার সামনে মানুষ জবাই করে, পিটিয়ে হত্যা করে বা গুলি করে হত্যা করে। তারাই মিছিলে গুলি করে। তারাই মানবাধিকার । তারাই ধর্ম।  নীতি তারাই আদর্শ। দেশের সতেরো কোটি জনগন তাদের কথাই উঠেবসে। নাহলে জেলে যায় বা খুন হয় বা গুম হয়। সবাই ভয়ে ভয়ে থরহরিকম্পমান। তাদের তুষ্ট করার জন্য ব্যস্ত সবাই।

বাংলাদেশীদের প্রথম ও শেষ প্রেম “ভয়” — আমি দুঃখিত ভয়ের কোন সেলফি নাই সেজন্য এখানে পোষ্ট করা গেলোনা।

যতদিন  বাংলাদেশ “ভয়ের” নিয়ন্ত্রনে থাকবে ততদিন অপরাধ চলবে। বাংলাদেশের শিশু, কিশোরী, যুবতিরাই শুধু ধর্ষিতা হচ্ছেনা। ভয়ের দ্বারা প্রতি মুহুর্তে ধর্ষিত হচ্ছে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষ।  ভয়ের একটা ইংরেজী আছে –  ফিয়ার – ফিয়ার যখন ফ্রিকিং বৃদ্ধি পায় তখন সেটা হয়ে যায় ত্রাস আর ত্রাস যখন জাতীয় খেলাধুলা হয় তখন সেটাকে বলে টেরোরিজম — বাংলাদেশীরা টেরোরিস্ট পূজারী। ভারত যাকেই বাংলাদেশে তাদের রাজ্যসরকার হিসাবে নিয়োগ দিবে সেই হচ্ছে মুকাদ্দার কি সিকান্দার। আর ধর্ষকেরা যদি তাদের আত্মীয়স্বজন হয় তাহলে ধর্ষিতাদের চরিত্র খারাপ । কি করবেন বলেন? আসেন কুমিল্লার ইংরেজী নামের উচ্চারণ বদলে ফেলি!!!!

আয়শা মেহের।
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *