Srf Khan (Sharif Khan Shuvro – শরীফ খান শুভ্র) uses his FACEBOOK account to steal money from other FACEBOOK users. His sister Munny Khan is also doing the same thing. His brother Hafij Khan is a hacker, who steals password from the facebook users. Srf Khan and Munny Khan seduce facebook users psychologically using information supplied by Hafij Khan. They mingle with people from higher middle class and wealthy family or somehow known by the media or somehow celebrities so that nobody suspect them as a fraud.
Srf Khan শরীফ খান আর তার বোন মুন্নি খান দুইজনেই ফেসবুক ব্যবহার করে দেশে বিদেশে বাংলাদেশী নারীপুরুষের থেকে নানা অজুহাতে টাকা নিয়ে ক্ষুধা নিবারণের জন্য। শরীফ খানের ভাই হাফিজ খান ফেসবুক বন্ধুদের পাসওয়ার্ড চুরি করে এবং বিভিন্ন ফেসবুক একাউন্ট থেকে তথ্য চুরি করে শরীফ ও মুন্নিকে তা সরবরাহ করে যা ব্যবহৃত হয় তাদের মিথ্যাচার ও মানুষ ঠগিয়ে খাবার পায়তারার কাজে। শরীফ, মুন্নি এবং হাফিজ এই তিন ভাইবোন সারাদিন বাসাতে শুয়ে বসে হাতে আইফোন নিয়ে বিশাল টেলিভিশনে নেটফ্লিক্সে মুভি দ্যাখে, খায় আর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মানুষদের সাথে মিথ্যাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে। বয়স অনুসারে শরীফ খান কারুকে মা কারুকে খালা কারুকে প্রেমিকা হিসাবে সম্পর্ক স্থাপন করে তারপর তাকে তার দুর্ভাগ্যের কথা বলে ফেসবুক বন্ধু শ্রোতার সহানুভুতি আদায় করে তারপর তার কাছে ঋন চায় এবং সেই ঋন পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আর পরিশোধ করেনা। Srf Khan এর বন্ধুরা যখন জানতে পারে যে শরীফ খান , মুন্নি খান, হাফিজ খানেরা প্রতারণা করে মিথ্যাচার করে খায় তখন তারা বলেঃ
“আপনি ওদের বিশ্বাস করলেন কেন?”
“দোষ আপনার”
ওরা এভাবেই টিকে যায় মিত্যাচার ও প্রতারণা চলতে থাকে। বিভিন্ন মানুষের আর্থিক ক্ষতি হতেই থাকে। বন্ধুরা সহযোগীতা করে। শরীফ খান, মুন্নি খান এবং হাফিজ খান তাদের প্রতারণা ও মিথ্যাচার করে মানুষের থেকে টাকা নিয়ে খাওয়াদাওয়া আরাম আয়েশ করা অব্যহত রাখে।
ফেসবুকের বন্ধুরা যাতে ওদের সন্দেহ না করে সেজন্য এই পরিবারটি বিভিন্ন পরিচিত মুখের সাথে মেলামেশা করে। যেমন মেহরিন মাহমুদ নামের একজন সংগীত শিল্পীকে শরীফ খানের সাথে প্রায়ই দেখা যায়। শরীফ খানের বাসা সাভারে। Srf Khan শরীফ খানের মামা রব, শাহজাহান ও টিটো সাভারে ইয়াবার ব্যবসা করে। Srf Khan শরীফ খানের বোনের জন্মদিনে ইয়াবা ব্যবসায়ী রব ও শরীফ খানের বোন মুন্নির সাথে সংগীত শিল্পী মেহরিনকে দেখা যায়। এইসব ছবি পোষ্ট করে শরীফ খান তার বন্ধুদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপির একটি কলেজের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা শায়লা খানের সাথে । শায়লা খানের বাসাতে শরীফ খান দলবল নিয়ে খাবার খাচ্ছে। Srf Khan শরীফ খানের ফেসবুকের বন্ধুরা এটা দেখে ধরেই নিতে পারে যে Srf Khan শরীফ খান একজন স্বাভাবিক ভাল মানুষ যে কবিতা লেখে, ফটো উঠায়, গান গায়, ভদ্র, নম্র, সবাইকে আপু, খালা, ছোটদের বন্ধু তুই করে ডাকাডাকি করে।
ইদানিং বাংলাদেশে এক পাল মানুষকে দেখা যায় ক্যামেরা কাঁধে নিয়া বা ঘাড়ে নিয়া ফটো তুলে বেড়াচ্ছে। ফুল, পাখী, সূর্য, মরা নদী (উপায় নেই – নদীর পানি তো ভারত নিয়ে গেছে তাই মরা নদীর ছবি উঠিয়েই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছে), ইত্যাদির ছবি উঠিয়ে এক্সিবিশন করা। Srf Khan শরীফ খানের একটা গ্রুপ আছে নাম ডিফোটকাফে (DPhotoCafe) । গ্রুপের সবাইকে শরীফ খান মগজ ধোলাই করেছে তার সুকৌশল চাপাবাজীর মাধ্যমে। সবাইকে তার মা, বোন ও ভাইয়ের সাথে পরিচিত করেছে। সাভারের R. S Tower এ আমার থেকে ডলার নিয়া একটি কফিশপ ও দুইটি দোকান করেছে Srf Khan যার একটির নাম One Stop Electronics । সেখানে Srf Khan শরীফ খান তার দলের সবাইকে এনে দেখিয়েছে যে সে একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী। সেদিন লিনেক্সের সাথে Srf Khan শরীফ খান একটি চুক্তি করেছে। আমার পাঠানো ৩৫০০০ ডলার দেখিয়েই Srf Khan শরীফ খান লিনেক্স থেকে ডিলারশীপ নিয়েছে। সেখানেও লিনেক্সের শাহরিয়ার কবীরের সাথে মেহরীন মাহমুদকেও দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্টানে Srf Khan শরীফ খানের সাথে মেহরীণ মাহমুদ থাকার ফলে মিথ্যাবাদী ও প্রতারক হিসাবে Srf Khan শরীফ খানকে কেউ সন্দেহ করেনা। মেহরীণ মাহমুদ আর শায়লা খানেরা যখন Srf Khan শরীফ খানের নতুন কেনা ফার্নিচারে (আমার ডলারে) সাজানো বাসাতে মুন্নি খানের জন্মদিনে মুন্নি খানের নাক ফুটিয়ে দিয়ে ভিডিও করে তা ফেসবুকে পোষ্ট করে তখন দেশ বিদেশের ছেলেদের প্রতারণা করে তাদের থেকে টাকা নিয়া খাইতে মুন্নি খানের আর কোন সমস্যা হয়না। এভাবে চলছে শরীফ খান, মুন্নি খান ও হাফিজ খানের মিথ্যাচার ও প্রতারণার ব্যবসা।
বাংলাদেশের অনেকেই Srf Khan ও তার পরিবারকে প্রতারণা ও মিথ্যাচার করে জীবিকা নির্বাহ করতে সাহায্য ও সহযোগীতা করছে ।
বাংলাদেশের যেকোন অপরাধ আদরণীয়। হত্যা, ধর্ষন, বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক থেকে রিজার্ভ লুট, বাংলাদেশের সরকারী বেসরকারী ব্যাংকগুলো থেকে সঞ্চয়কারীদের টাকা লুট, ক্রসফায়ারে হত্যা, গুম, মিছিলে গুলি, বাসা থেকে উঠিয়ে থানায় নিয়ে নখ উঠিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করে বা চোখ উঠিয়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়াটা মজার খেলা, খোলা আকাশের নীচে ক্যামেরার সামনে মেয়েদের কাপড় খুলে নেওয়া, সব কিছুই সুন্দর এবং জনগন চুপচাপ তাকিয়ে তাকিয়ে দ্যাখে। এগুলা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। যে খুন হয়ে গেছে তার ভুল । যে ধর্ষিতা হয়েছে তার ভুল। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুলে। বাবাকে না পেয়ে মায়ের সামনে ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বাবার দোষে। সে কেনো তখন উপস্থিত ছিলনা ? যার চুরি গেছে দোষ তার। সে কেনো চুরি হতে দিলো? যে পথে ছিল তার ভুল । যে ঘরে ছিল তার ভুল। যে ঘরে ছিলনা তার দোষ। যে গুলি করেছে সে নির্দোষ। যে চা বিক্রেতাকে দেহে আগুন ঢেলে জীবন্ত হত্যা করেছে সে নির্দোষ। চা বিক্রেতার উচিৎ ছিল চাহিবা মাত্র চান্দা প্রদান করা। বাংলাদেশের সমাজে অপরাধ ও অপরাধীকে ভালবাসা হয় আশ্রয় দেওয়া হয়। আদোর করে পাশে বসিয়ে রসের পিঠা খাওয়ানো হয় তারপর অপরাধীর সাথে ফটো উঠিয়ে তা ফেসবুকে পোষ্ট করা হয়। আর সেই ফটো থেকে কেউ যদি কোন অপরাধীকে চিহ্নিত করে ফেসবুকে তা নিয়ে লেখালেখি করে তাহলে সেই শিকারের পিছে সবাই লেগে যায়। যার আর্থিক, মানসিক ক্ষতি হয় অপরাধ তার।
যে ক্ষতি করেছে যে অপরাধী তার সাথে সবাই সেলফি নিতে ব্যস্ত হয়ে যায়।
সেজন্য Srf Khan, Munny Khan, Hafij Khan দের ফেসবুকের ভুয়া আইডি, বিভিন্ন মানুষের সাথে মিথ্যাচার করে টাকা আদায় ও প্রতারণা করাটা ক্রিকেট খেলা দেখার মত উপভোগ্য। সেজন্য শায়লা খান, মেহরীণ মাহমুদেরা Srf Khan, Munny Khan এর সাথে আছে।
বাংলাদেশ অপরাধের একটি স্বর্গ। আইন আদালত এবং আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যেরা হয় অপরাধ করে নাহয় অপরাধ ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত থাকে। মিথ্যাচার ও প্রতারণা করে Srf Khan একদিন সুপ্রতিষ্টিত হবে। শায়লা খানের বাসার পাশের বাড়িতে থাকবে, প্রাইভেট সুইমিং পুলে শুয়ে ইয়াবা নেবার সেলফি পোষ্ট করবে। অপেক্ষায়ই রইলাম।
জেনেশুনে যারা অপরাধীদের সাথে থাকে তারাও অপরাধী। সাড়া বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষ যদি চুপ থাকে এবং সকল অপরাধকর্মকে যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে এড়িয়ে যায় তবুও আমার ঋন পরিশোধ না করা পর্যন্ত আমি Srf Khan কে একজন মিথ্যাবাদী, প্রতারক এবং অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করবো ।
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা।