হস্তমৈথুন শিল্প

সুন্দর আর কুৎসিত জিনিষগুলোকে কিভাবে আলাদা করা যায়?
লজ্বার ব্যাপার কোনগুলা?
গর্বের ব্যাপার কোনগুলা?
সমাজের প্রচলিত লজ্বা, গর্ব, সুন্দর, কুৎসিত, ভাল, মন্দ কি কি ?
যারা এইসব কিছুর পরিমাপ, প্রচলন, প্রতিষ্টা করেছে, সমাজে তারা কারা?
তারা যদি সভ্য হয়ে থাকে তাহলে সমাজের সকল মানুষ মোটামুটি এইসব প্রচলিত প্রথা মেনে চলার পরেও সমাজে সভ্যতা পরিলক্ষিত কেনো হয়না?

এসব লেখাতে আমি কোন আনন্দ পাচ্ছিনা। এই সমাজে আমরা যারা কুৎসিত লুকিয়ে রেখে সুন্দর দেখিয়ে নিজেকে সভ্য বলে দাবী করি তারা কতটুকু সুন্দর বা সভ্য আমি জানিনা।
বহুদিন আগে আমার জন্ম হয়েছে।
আমি বহু অসভ্য মানুষের সাথে মিশেছি। এইসব অসভ্য মানুষেরা সব সময় নিজেদের সভ্য বলে দাবী করে থাকে।

সবাই তাদের সভ্য বলে মেনেও নেয়।
কারণ কি?

উপরোক্ত কোন কিছুর কারণ খোঁজার ইচ্ছা নেই আমার। অন্তত আজ নয়। আজকে আমি একটি সুন্দর গল্প বলবো। যা আমার কাছে সুন্দর লেগেছে। পাঠকের কাছে তা কুৎসিত কদাকার নোংরা মনে হতে পারে। আর সেটা মনে হলেও আমার কিছু করার নেই। তার অর্থ আমি দায়িত্বজ্ঞানহীন লেখিকা নই তার প্রমানও আমি আমার লেখার প্রতিটি অক্ষরে রেখে যাবো।

গল্পটা আমার নিজের জীবনের। গল্পটা সেক্স বা যৌনতা সম্পর্কে। বলাই বাহুল্য বিবি মরিয়াম বাদে প্রতিটি মানুষেরই জন্ম হয়েছে যৌনমিলনের ফলে। সুতারাং যৌনমিলন কোন কুৎসিত কাজ নয়। যৌন মিলন প্রত্যাশী কোটি কোটি ফেসবুক একাউন্টের নারীপুরুষেরা সাড়া রাত জেগে প্রেম করে, কবিতা, গল্প লেখে, প্রেমিক প্রেমিকার ছবি আঁকে, আলোকচিত্র সাজিয়ে রাখে, কত স্টাটাস কত ভাল মন্দ কথা – সব কিছুই এক্ সময় বিছানায় যেয়ে শেষ হয় যৌন মিলনে আর সেটাই মূল উদ্দেশ্য । খুব খারাপ লাগছে পড়তে?

স্বাভাবিক। খারাপ লাগা স্বাভাবিক।
একটি মেয়ে বা ছেলে কেনো অন্য একটি ছেলে বা মেয়েকে খোঁজে ? মিলাদ পড়ার জন্য। ভাল লাগছে পড়তে? দুইজনে মিলে মিলাদ পড়বে, নামায পড়বে, কোরাআন তেলাওয়াত করবে একারণেই ছেলেরা তাদের নানা স্টাইলে ছবি পোষ্ট করে মেয়েদের জানায় আমি অমুক সমূক আমার কাছে এসো , এসো আমরা হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করি।

ইনবক্সে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে – কি করেন?
আমার খুব ইচ্ছা করে বলতে  – হস্ত মৈথুন করি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় সেসময় হয়তো আমি বাসে অথবা অফিসে কাজ করছি অথবা দুঃশ্চিন্তা করছি কোন কারণে তাই এই সুভ সংবাদ দিতে পারিনা। আমি দুঃখিত।
বহু বছর আমি একাকী । আমার কোন পুরুষ সংগী নেই । সুতারাং আমি হস্তমৈথুন করবো সেটাই স্বাভাবিক। তবে যখন আমি হস্তমৈথুন করি তখন আমার মোবাইল কোথায় থাকে সেটা আমার মনে থাকেনা বা মনে থাকার কথা নয়। যেকোন কাজই আমি খুব নিষ্টার সাথে করি মানুষকে বিশ্বাস করা ছাড়া।

এখন কি পাঠকেরা আমার লেখাতে তাসলিমা নাসরিনের সুবাস পাচ্ছে?
স্বাভাবিক। তবে আমি এখানে ধর্মকে টানিনি। হস্তমৈথুণ একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।
পাঁচ দশ লাখ টাকা খরচা করে যখন অনেকেই মেয়ের বিয়ে দেয়, জামাইকে অনেক উপহার দেয় তখন তাঁরা সবাই আশা করেন জামাই এইসব উপহার আর এত জাকজমকপূর্ন বিয়ে করে তাদের মেয়েকে সুখী রাখবে এবং বছর শেষে একটি ফুটফুটে নাতীর মুখ দেখাবে। এই ফুটফুটে নাতী হবার কোন সম্ভবনাই থাকবেনা যদি এই মেয়েজামাই যৌনমিলন না করে। কাজটা খারাপ না। তারপর দশ লাখ টাকার বিয়ে যদি তালাকে শেষ হয় যায় । জামাই একা হয়ে যায় আর মেয়ে একা হয়ে যায় তাহলে তারা অস্থায়ীভাবে হস্তমৈথুনের আশ্রয় নেবে বা নিতে পারে।

পাঠকেরা এইবারে খুব ক্ষিপ্ত। বুঝতে পারছি।

শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!
আমি তারে পারি না এড়াতে সে আমার হাত রাখে হাতে;.
সব কাছ তুচ্ছ হয়, পন্ড মনে হয়, সব চিন্তা
— প্রার্থনার সকল সময় শূন্য মনে হয়, শূন্য মনে হয়!
সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে!
কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে সহজ লোকের মতো!
[ বোধ – জীবননান্দ দাস ]

যৌনতার মাঝে মানবতাবোধ, ভালবাসা, প্রেম, ইত্যাদি টানাটানি করা ঠিক না। মানবতাবোধ থাকলে কেউ প্রেমিকের টাকা খুজতোনা। প্রেম থাকলে কেউ প্রেমিকার বাপের টাকা খুজতোনা, সুন্দর চেহারা খুজতোনা, ভালবাসা, প্রেম, মানবতাবোধ বহুদিন আগে গত হয়েছে ধরনি থেকে। এখন যা আছে তা হলো মোড়ক – মোড়কের নীচে অন্য মাল। মোড়কের নীচে আছে “মিথ্যাচার”

যাই হোক ফিরে আসি হস্তমৈথুনে।
পুরুষের হস্তমৈথুনে যে সমস্যা হতে পারে তার নাম ইরেকটাইল ডিসফানশালিটি Erectile Dysfunctionality  অর্থাৎ দৃঢ়তাই প্রতিবন্ধকতা । ( রবীন্দ্রনাথের পরে আমিই সর্বপ্রথমে এইধরনের বাংলার আবিস্কার করলাম) যাই হোক এই প্রতিবন্ধকতা অনেক কারনেই হতে পারে। বিষন্নতার কারণে, হৃদরোগের কারণে, ঠিকভাবে ঘুম না হবার কারণে, বহুমূত্ররোগের কারণে, অথবা এই নানা রকমের ব্যাধি থেকে আরোগ্য পেতে যখন পুরুষেরা বিভিন্ন ধরনের অষুধ সেবন করেন, সেইসব ওষুধ সেবনের ফলে দৃঢ়তাই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে (Erectile Dysfunctionality  )

খুব কুৎসিত টপিক। আমাকে দেশ থেক বহিস্কার করা উচিৎ। আসলে আমি জানতাম একদিন পাঠকেরা এমন করবে সেজন্য নিজেই দেশ থেকে বহিস্কৃত হয়ে এসেছি বহুদিন আগেই। সব চাইতে মজার বিষয় হলো মানুষ যদি মানুষকে ভালবাসতো তাহলে উপরোক্ত অনেক রোগই মানুষের হতোনা।

মানুষ মানুষকে ভালবাসলে বিষন্নতাই ভুগতোনা।
মানুষ মানুষকে ভালবাসলে বিনিদ্র রাত কাটাতে হতোনা।
মানুষ মানুষকে ভালবাসলে হৃদরোগ, বা স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা কম হতো।

ভালবাসা নেই বলেই এমন হয়। ভালবাসা থাকলে মানুষ মানুষের পাশে থাকতো এবং ভাল সাথী হতো ফলে হস্তমৈথুনের মত কঠিন কাজ করার দরকার হতোনা।

সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে।
কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে
সহজ লোকের মতো; তাদের মতন ভাষা কথা
কে বলিতে পারে আর; কোনো নিশ্চয়তা
কে জানিতে পারে আর? শরীরের স্বাদ
কে বুঝিতে চায় আর? প্রাণের আহ্লাদ
সকল লোকের মতো কে পাবে আবার।
সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর
স্বাদ কই, ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে,
শরীরে মাটির গন্ধ মেখে,
শরীরে জলের গন্ধ মেখে,
উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে
চাষার মতন প্রাণ পেয়ে
কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর ’পরে?
স্বপ্ন নয়—শান্তি নয়—কোন্ এক বোধ কাজ করে
মাথার ভিতরে।

[বোধ – জীবনানন্দ দাস ]

হস্তমৈথুন একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার। হস্তমৈথুনের আবিস্কার হয় কবে আমার জানা নেই। এই সম্পর্কে গবেষনা করিনি । তবে প্রাকৃতিক কারণে মানুষের যখন যৌনইচ্ছা জাগে তখন স্বাভাবিকভাবেই  একজন নিঃসঙ্গ মানুষ সেই অনুভূতি অনুভব করতে চায় যা সে অনুভব করতে পারতো যদি তার একজন যৌন সাথী থাকতো ।  পোষ্ট হস্তমৈথুন সিন্ড্রোম খুব নির্মম। একাকীত্ব অনেক কষ্টের। আর খারাপ একজন সাথী পাশে থাকা আরো বেদনাদায়ক। এমন হতে পারে – পাশে একজন সাথী আছে এবং সেই সাথী ফেসবুকে বা অন্যান্য মিডিয়ার মাধ্যমে অন্য কোন মানুষের সাথে যৌন মিলনের চিন্তাভাবনা করছে। সেইক্ষেত্রে এক ছাদের নীচে দুইজন বসবাস করা হয়ে উঠে অবমাননাকর এবং যন্ত্রনাদায়ক।

অনেক পুরুষ ভাবে, যেহেতু সে উপার্জন করতে বাইরে যায় এবং যেহেতু তার সাথী যিনি ঘরে থাকেন আর ঘরে তার শ্রমের   মূল্যায়ন যেহেতু করা হয়না সেহেতু সে মনে করে যেভাবেই তার যৌন সুখ হবে সেভাবেই সে এই সুখ উপভোগ  করার অধিকার রাখে আর সেটা যদি তার ঘরের সাথিকে উপেক্ষা করেও হয় তবুও সেটা কোন সমস্যা নয়। অন্যদিকে ঘরের সাথীটি সব কিছু জেনে বুঝে কিছুই বলতে পারেনা যেহেতু সে এক ধরনের সামাজিক প্রচলিত ফাঁদে আটকা পড়ে আছে। সে একটি মেশিনের মত। তার যোনি একটি গর্তের মত ব্যবহৃত হয় যখন দরকার হয় তখন । চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে। আর এই চাওয়া পাওয়ার সাথে যদি বল প্রয়োগ করা হয় তাহলে তাকে বলে নিঃশব্দ, সামাজিক, বৈধ ধর্ষণ। ধর্ষিতা হয় নারী, তার মন ও তার যোনি। যে গল্পই বলা হোক না কেনো, নারীরা পুরুষের মত চলুকবলুকমরুক যাই করুকনা কেনো সব নারীপুরুষই জানে মোটামুটি সাড়া বিশ্বই পুরুষ শাসিত। সুতারাং মেয়েরা হস্তমৈথুন করতে পারে সেটা অনেক পুরুষেরই অজানা। অথবা জানলেও জানার ইচ্ছা পোষন করাটাকে পুরুষেরা অবমাননাকর বলে মনে করে। কানাডার সব প্রদেশেই পুরুষ পতিতা ভাড়া পাওয়া যায়। আমি কখনো ভাড়া করিনি। না করার কারণ হলো “ভয়”।

কানাডার পুরুষ পতিতারা বেশীরভাগ সময়েই সমকামী নারীপুরুষের জন্য কাজ করে ফলে এরা এইচআইভি এইডস দ্বারা সংক্রামিত থাকার সম্ভাবনা ৯৯% আর এই কারনেই আমি ফ্রি সোসাইটির সুযোগ সুবিধা বঞ্চিতা। ফ্রিডম বা স্বাধিনতার সাথে আসে অসুস্থতা। পাঁচ মিনিটের সুখের জন্য আমি এইচআইভি এইডস এর যন্ত্রনাভোগ করে জীবনের ইতি ঘটাতে চাইনা। সব দুঃখ, কষ্ট, ব্যাথা, বেদনা, ছ্যাকা সহ্য করেও সুস্থভাবে নিজের পায়ে হেঁটে কবরে নেমে যাবার ইচ্ছা পোষন করি।

তার অর্থ কি বাংলাদেশে এইচ আইভি এইডস নাই?
আছে। বাংলাদেশে পুরুষ পতিতা আছে এবং এইচ আইভি এইডস আছে। বাংলাদেশে যেটা নাই তা হলো রিপোর্টিং, সার্ভে, এইসব কিছু যা আছে সবই ভুয়া। বাংলাদেশে যেটা নাই তা হলো সত্যতা। মোটামুটি সরকারী বেসরকারী সব রিপোর্টই ভুয়া। সবাই মিথ্যা কথা বলতে ভালবাসে। সবাই মিথ্যা লিখতে ভালবাসে। মিথ্যা সান্তনা পেতে ভালবাসে। মিথ্যা শান্তনা দিতে ভালবাসে। মেকী হাসি, মেকী খুশী, মেকী গল্প, মেকী, মেকী মেকী – এক ভুয়াই ভুয়াই আচ্ছন্ন দেশ বাংলাদেশ।  এক মিথ্যা থেকে অন্য মিথ্যা – যুগ যুগ ধরে অক্টোপাসের মত মিথ্যারা জড়িয়ে থাকে বাংলাদেশীদের জীবনে আর মরনে।

বিশ্বের অনেক নারী ও পুরুষের ধারণা যৌনতা শুধুমাত্র পুরুষের জন্য। মেয়েরা এ ব্যাপারে শুধু মেশিনের মত পা উঠিয়ে দিতে পারে বা পুরুষের চাহিদা অনুযায়ী তাদের দেহ সরবরাহ ও ভোগের উপাদান হিসাবে সহযোগীতা করে যেতে পারে।  নারীকে ভোগ্যপন্য হিসাবে ব্যবহার করার মন মানসিকতা নিয়ে বিশ্বের অনেক অনেক অনেক নারীপুরুষের জন্ম হয়। এইসব প্রসঙ্গে অনেকেই সোজাসুজি চলে যায় নারী স্বাধীনতা প্রসঙ্গে। যদিও আমরা সবাই জানি নারী বা পুরুষ কেউই একাকি কিছুই করতে পারেনা – প্রকৃতির সব কিছুই টিকে থাকার জন্য প্রকৃতির অন্যান্য অনেক কিছুর উপরে নির্ভরশীল।  সেক্ষেত্রে “স্বাধীনতা” শব্দটি  প্রয়োগ করার কোন অবকাশ নেই। নারীপুরুষ উভয়েই জন্ম নেবার জন্য নারীর ভ্রূণ ও যোনির উপরে নির্ভরশীল । পুরুষ এবং নারীর মিলনে নারীর ভ্রূণে নারী বা পুরুষ শিশুর জন্ম নিয়ে, বিকশিত হতে, আকার নিতে,  লাগে দীর্ঘ নয় মাস।  এর আগে বা পরে কোনভাবেই কোন পুরুষ শিশু বের হয়ে এসে নারী ধর্ষন করার বা নারীকে পন্য হিসাবে ব্যবহার করার অগ্রাধিকার পায়না। যেকোন লিঙ্গের একটি শিশুকে নারীর উপরে নির্ভর করতে হয় জন্মের জন্য, লালন পালনের জন্য এবং পরিশেষে যৌন মিলনের জন্য। সৃষ্টির অবদানে পুরুষের যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করার জন্যই পুরুষেরা কায়িক শ্রম দেয় এবং বাইরে কাজ করে ঘরে খাবার নিয়ে আসে।

যেসব নারী বা পুরুষ নিঃসঙ্গ তাদের জন্যই হস্তমৈথুন। হস্তমৈথুনের জন্য অনেকেই পর্ন মুভি বা ছবি ব্যবহার করে। সাড়া বিশ্বে পর্ন ব্যবসা বিলিয়ন ডলার কর্পোরেট ব্যবসা এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য পর্ন ছবি, মুভি নারীপুরুষ সবার জন্য।  সাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেশাদার পর্ন শিল্পিরা রয়েছেন তাদের নৈপুন্য দেখাবার জন্য এবং সাড়া বিশ্বের নিঃসঙ্গ নারীপুরুষকে তারা অক্লান্তভাবে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।

সেক্ষেত্রে বিশেষ কোন মহিলার দেহের ছবি কেউ যদি চায় তাহলে ভাবতে হবে। সেদিন আমাকে একজন একটি ইমেইল দিয়ে জানিয়েছে – সে নাকি একজন মহিলার নগ্ন চ্যাটের ছবি দেখে ফেলেছে বলেই সেই মহিলা তার সম্পর্কে বদনাম করছে।  সাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতে অনেক ছেলেই তাদের প্রেমিকার নগ্ন ছবি , ভিডিও ইত্যাদি করে রাখে পরে সেগুলো নিয়ে সেইসব মেয়েদেরকে ব্ল্যাকমেইল করে।

পেশাদার পর্নস্টারদের এত সুন্দর সুন্দর ছবি ভিডিও থাকতে নিঃসঙ্গ একজন মহিলার উলঙ্গ দেহের ছবির কি দরকার?

দেশ বিক্রী হয়
বিবেক বিক্রী হয়
বউ বিক্রি হয়
প্রেমিকা বিক্রি হয়
মানুষ বিক্রি হয়
সব কিছুই বিক্রি হয় জমির মত, পানির মত, রক্তের মত, কিডনির মত, চালের মতো, ডালের মতো, চিংড়ীমাছের মতো

তাহলে এত দিন ধরে এত কষ্ট করে এত লেখাপড়া করলাম কেনো?
শ্রম বিক্রি করবো ভেবেছিলাম সেজন্য
কারণ দেহ তো মিশে যায় মাটিতে
শুধু মন থেকে যায় মনে
সম্পুর্ন একাকী একবুক ভালবাসা নিয়ে হৃদয়হীন সংসারে অনন্তকাল ধরে।

নারী বা পুরুষ কোন পতিতাই পতিতা নয়
পতিতা হলো সমাজ আর
সমাজের যেসব মানুষ যারা এইসব মানুষকে পতিতা হতে বাধ্য করেছে তারাই আসল পতিতা।
পতিতা তারা যারা নারী বা পুরুষ পতিতাদের দেহ ভাড়া করে।

অবহেলা ক’রে গেছি ; যে নক্ষত্র – নক্ষত্রের দোষ
আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা
আমি তা ভুলিয়া গেছি ;

তবু এই ভালোবাসা – ধুলো আর কাদা – ।
মাথার ভিতরে

স্বপ্ন নয় – প্রেম নয় – কোনো এক বোধ কাজ করে ।
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চ’লে আসি ,
বলি আমি এই হৃদয়েরে :
সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয় !
অবসাদ নাই তার ? নাই তার শান্তির সময় ?
কোনোদিন ঘুমাবে না ? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে না কি ? পাবে না আহ্লাদ
মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!
[বোধ

– জীবনানন্দ দাশধূসর পান্ডুলিপি

 

আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা

 

[  আমি কখনো তাসলিমা নাসরীনের লেখা বই পড়িনি তবে এই লেখিকার সমালোচনা পড়েছি। একবার উনার ফেসবুক প্রফাইলে যেয়ে দেখলাম উনার লেখার নীচে অগুনিত মন্তব্য। একবার আমি উনার ইউটিউবে একটি ইন্টারভিউ দেখেছিলাম।  আমার মনে হয়েছে এককালে তাসলিমা নাসরীন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং এর বেতনে কাজ করেছেন ভারতের প্রপোগান্ডা মেশিন হিসাবে। বাংলাদেশের অনেক বুদ্ধিজীবি, কবি, লেখক এই সংস্থার জন্য কাজ করেছে বা করে থাকে।

এভাবেই ভারত দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশে তাদের পরক্ষ উপনিবেশ রাখতে সমর্থ হয়েছে। মগজ ধোলাই, প্রপোগান্ডা, সমাজের গুরুত্বপূর্ন সমস্যাগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি চিন্তাভাবনা অন্যদিকে সরিয়ে নেবার জন্য, বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ, সাংস্কৃতিকে সম্পুর্নভাবে পঙ্গু  করে দেবার জন্য বাংলাদেশের অনেকেই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার জন্য কাজ করে থাকে। তাসলিমা নাসরিন, দাউদ হায়দার,ইত্যাদিরা সেজন্যই এত সমালোচিত  ছিল এককালে ]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *