সেক্সি শব্দটি শুনলে প্রথমেই আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে নারীর একজোড়া স্তন। জন্মের পর থেকেই নারীপুরুষ সবাই সেই স্তুন চুষেই বেঁচে থেকেছে প্রায় তিন বছর। সেক্সি শব্দটা কি খারাপ শব্দ? মোটেই না। সেক্সি শব্দটি গালি নয়। কানাডাতে কেউ কারুকে সেক্সি বল্লে খুব খুশী হয়ে যায়। মনে করে তাকে সুন্দর দেখাচ্ছে বা যৌবনবতী দেখাচ্ছে অথবা কম বয়সী দেখাচ্ছে। সেক্সি থিং – হট চকোলেট এর একটা সুন্দর গান আছে।
সেক্সি সেক্সি সেক্সি। এই মন্তব্য আমি নিজেও শুনি বা শুনেছি অনেকবার । ওহ! ইউ লুক সেক্সি। হে! সেক্সি। সেক্সি ! স্বরসতীকে সেক্সি বলার ফলে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে সবকিছুই সম্ভব!
দেবী স্বরসতী একটি চরিত্র। একটি প্রতিমা। এবং নিঃসন্দেহে তিনি সেক্সি।
স্বরসতীকে যিনি সেক্সি বলেছেন তিনি কি ভুল কিছু বলেছেন? না। ভুল বলেননি। বরং দেবীর প্রসংশা করেছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে মামলা কেনো হলো?
ভারতের বেশীরভাগ জনসাধারণই হিন্দু। ভারতের কোন এলাকার কোন হিন্দু যদি দেবী স্বরসতীকে সেক্সী বলতো তাহলে হয়তো মামলা হতোনা। কারণ “সেক্সি” কুরুচিপুর্ন শব্দ না।
বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য তাই আজকাল ভারতের চাইতে বাংলাদেশের মানুষেরাই বেশী পুজাআর্চা করে। যিনি থানায় জিডি করেছেন তিনি একজন হিন্দু। প্রভুদের খুশী করার জন্য দেখা যাক আনিস আলমগীরের শাস্তি হয় কিনা। ডাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণসংযোগ বিভাগের শিক্ষক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে আনিত এই অভিযোগের সত্যতা প্রমানের জন্য তদন্ত চলছে।
এই সংবাদটি পড়ার সাথে সাথে আমার একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। সেটি ছিল ২০১৩ সাল। মহানবী হজরত মোহাম্মদ সাঃ কে অবমাননা করে কিছু ব্লগ করা হয়েছিল সেসময়। ব্লগারদের কোন শাস্তি হয়নি। বরং এই ব্লগারদের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করতে ঢাকায় আসে তাদেরকে পিটানো হয় এবং হত্যা করা হয় মে মাসের ৫-৬ তারিখে ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকার শাপলা চত্বরের চারিপাশে। নীচে আমি দুই ঘটনার ছবিই দিচ্ছি। বাংলাদেশে মুসলমান ছিল না তাই মহানবীকে কটুক্তি করলে তার প্রতিবাদ করতে যারা এসেছিল তাদের সমর্থন করতে সাড়া দেশ এক সারিতে এসে দাড়ায়নি তাই প্রতিবাদীদের রক্ষা করা যায়নি। বাংলাদেশ ভারতের অংগরাজ্য তাই প্রভু রাষ্ট্রের ধর্মের দেবদেবীকে শ্রদ্ধা দেখানো দাস রাজ্যের জনগনের একান্ত কর্তব্য। এছাড়া বাংলাদেশের পুলিশ, আইন আদালতের তেমন কোন কাজ নেই। পথে ধর্ষিতা মেয়ের টুকরো লাশ পাওয়া গেলে সেই মেয়ের পরিবারের সবাইকে উধাও হয়ে যেতে হয় ভয়ে। পথের উপরে মানুষকে ভিডিও ক্যামেরার সামনে হত্যা করা হলেও খুনীকে পুলিশ চিনতে পারেনা অথবা ভেবে নেয় ওরা দুষ্টামি করছিল অথবা বুঝতে পারেনি ‘দা দিয়া কুপাইলে মানুষ মরে যায়” অথবা মানুষ হত্যা করাটা কারু কারু জন্য সঠিক, অথবা মানুষ হত্যা করাটা তেমন কোন ব্যাপার না। আনিস আলমগীরের মত মানুষেরা আছে বলেই পুলিশেরা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছে।
সংসদে বলা হয়েছে “বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা এসেছিল। রং মেখে শুয়েছিল। পুলিশ দেখে দৌড়ে পালাতে গেছে। পুলিশ তাদের ধরে যার যার বাসাতে পৌছে দিয়া আসছে। ঘুম পাড়িয়েও দিয়েছে ঘুম পাড়ানীর গান শুনিয়ে।
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা