অ্যাসাঞ্জকে নাগরিকত্ব দিলো ইকুয়েডর

সুইডেনে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠার পর ২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। তবে ধর্ষণের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন তিনি। অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা, তিনি সুইডেনে গেলে সুইডিশ সরকার তাকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ করবে। আর যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচারের নামে মৃত্যুদণ্ড দেবে। ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হলে সুইডেন বা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ না করার নিশ্চয়তা চান অ্যাসাঞ্জ। গত বছর সুইডিশ প্রসিকিউটররা ওই অভিযোগের তদন্ত বন্ধ করে দেন। তবে জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। উইকিলিকসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে মার্কিন কতৃপক্ষও অ্যসাঞ্জকে বের করে দিতে চাপ দিচ্ছেন।

সম্প্রতি অ্যাসাঞ্জের ‘বন্দি জীবনের’ অবসানে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা প্রত্যাশা করে ইকুয়েডর। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বের হলেই গ্রেফতারের ভয়ে সাড়ে পাঁচ বছর ধরে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জের বন্দিদশা ‘সমর্থনযোগ্য’ নয়। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় এর অবসান হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া ফার্নান্দা এসপানিসো বলেছেন, ইকুয়েডর এখন ‘তৃতীয় কোনও দেশ বা ব্যক্তি’র সন্ধান করছেন, যারা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জ ইস্যুটি নিয়ে চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। আন্তর্জাতিক ও যুক্তরাজ্যের সহায়তা ছাড়া কোনও সমাধান আসবে না বলে মনে করেন তিনি। তবে ইকুয়েডরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাজ্য।

বুধবার ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের এক মুখপাত্র জানান, ইকুয়েডর সরকার অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ জানিয়েছে। তবে সেটা প্রত্যাখান করেছে যুক্তরাজ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *