হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। যাত্রীরা বিমানে ওঠার সময় কী ধরনের জিনিস সঙ্গে নিতে পারবেন, কী কী নিতে পারবেন না এমন সব তথ্য রয়েছে এতে। ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষায় নির্দেশনা লেখা রয়েছে। ইংরেজিতে লেখা নির্দেশনা বোঝা গেলেও বাংলা পড়ে বোঝার উপায় নেই যে কী বলা হয়েছে।
২০১৪ সালে হাইকোর্ট দেশের সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বর প্লেট, সব সরকারি দফতরের নামফলক (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে ইংরেজি বিজ্ঞাপন এবং মিশ্র ভাষা ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। দায়সারাভাবে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসরণ করতে গিয়ে অনেক স্থানেই যেনতেন বা ভুলভাল বাংলা ব্যবহার করা হচ্ছে।
দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলা ভাষার এমন ব্যবহারে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। রাইসুল আলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘বিমানবন্দর দিয়ে লাখ লাখ দেশি বিদেশি মানুষ যাতায়াত করেন। সেখানেই যারা বিকৃতভাবে বাংলা ভাষাকে উপস্থাপন করেছেন তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’
আদনান মুকিত নামের এক যাত্রী বলেন, ‘দেখে পরিষ্কার বোঝা যায় বাংলা অংশটুকু পুরো ভুল। এরপরও এটি পাবলিক প্লেসে লাগানো রয়েছে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় বিমানবন্দর পরিচালনা কর্তৃপক্ষ কতটা দায়িত্বশীল। হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে যেনতেনভাবে ভুলভাল বাংলা ব্যবহার বন্ধ করার। আশা করছি, এ কাজ যারা করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ প্রসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দররর উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এমন কোনও পোস্টার আছে কিনা তা আমার জানা নেই। আমি চেক করে দেখবো। হয়তো যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সে ঠিক ভাবে কাজ করেনি। বানান বা অন্য কোনও ভুল থাকলে অবশ্যই লাগানো ঠিক হয়নি।’