একজন পীর হাবিবুর রহমান। ‘পূর্ব পশ্চিম’ নামে একটা অনলাইন খুলেছেন, তাতে প্রতিনিয়ত বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট লেখা লিখে প্রচার করে থাকেন! এর আগে সংবাদ প্রতিদিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন, আমাদের সময়, মানবকন্ঠ, যুগান্তর, বাংলাবাজার পত্রিকায় বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করে বিএনপি ও জাতিয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমুলক লেখা লিখে নিজের যায়গা তৈরীর চেষ্টা করেন। তবে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ও আতলামির কারনে কোথাও টিকতে পারেননি। শেষে গতি হয় অনলাইন পোর্টালে।
হুইল চেয়ারে বসা তারেক রহমানের আট বছরের পুরতন একটা ছবি দিতে তিনি একটা মিথ্যা গুজব সংবাদ ছাপলেন। ফেসবুকের এক রেফারেন্স দিয়ে বলছেন- এটা নাকি নগদ ঘটনা! গত সপ্তাহে বিএনপির তিন নেতা এমকে আনোয়ার, তরিকুল ইসলাম, এবং মাহবুবুর রহমানকে নিয়ে ভুয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করলেন। নেতারা প্রতিবাদ লিখে পাঠালো। এরপরেও পীর সাহেবের কোনো লজ্জা হলো না! এরপরে ছাপলেন খালেদা জিয়ার সাথে পাকিস্তানেরে আইসএস আই এবং কাল্পনিক জঙ্গিদের বৈঠকের মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ। বিএনপি মহাসচিব নিজে সাংবাদিক সম্মেলন করে এইসব কাল্পনিক মিথ্যা সংবাদের জোরালো প্রতিবাদ করলেন। পীর হাবিব দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন না। তারপরও তিনি নিজে সাংবাদিক দাবী করেন!
সহকর্মীরা জানান পূর্ব-পশ্চিম অনলাইনে পীর হাবির তার অপকর্মের সাথী হিসাবে নিয়েছেন নব্বইয়ের গণআন্দোলনের সময়কার ছাত্রলীগ-সভাপতি জাহাঙ্গির সাত্তার টিংকুর বিধবা স্ত্রী খুজিস্তা নূর-ই-নাহারিন মুন্নিকে। হাবিব প্রধান সম্পাদক, আর মুন্নি সম্পাদক। মুন্নি নিজেও বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যাচার লিখে থাকে। তবে অনেকেই স্মরণ করেন- টিংকু রহস্যজনক আগুণে পুড়ে মারা গিয়েছিলো!
পীর হাবিh এবং মুন্নির পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রেসক্লাবে অনেক কানা কানি হচ্ছে আজকাল। এরই মাঝখানে বোমা ফাটালেন মুন্নির জামালপুরেরএক বান্ধবী। তিনি জানান, মুন্নির সাথে ‘লিভ টুগোদার’ করেন পীর হাবিব। এটা কিন্তু মুন্নির নিজের মুখের স্বীকারোক্তি! মুন্নি ঢাকা স্টক একচেঞ্জের পরিচালক, মডার্ন সিকিউরিটিজ নামক ব্রোকারেজ হাউজের এমডি। তার আছে হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স। ছেলে মেয়ে বড় হয়ে গেছে মুন্নির, একবারে ঝড়ঝড়া। এমন বেয়ারিং মুন্নির শরীর এবং হিসাব-বিহীন ব্যাংক ব্যালেন্স খরচের ফ্রি রাইড ব্যবহার করে থাকেন পীর হাবিব! তাইতার কোনো লজ্জা শরমের বালাই নাই!