চাঁদাবাজি ও সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রলীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হামজা রহমান অন্তর শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
শনিবার রাতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে অন্তরকে আগামী ১০ কার্যদিবস অর্থাৎ ৮ অগাস্টের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তাকে।
জানা যায়, গত ২২ জুলাই দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জাবিতে ছাত্রলীগ নেতার নির্দেশে ক্যান্টিন বন্ধ’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে হামজা রহমান অন্তরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে শহীদ রফিক-জব্বার হলের ক্যান্টিন বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ ছিল। সংবাদটি দেখে অন্তর ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এবং ওই পত্রিকার জাবি প্রতিনিধি আরিফুল নেহালের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদের ভিডিও তৈরি করে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। কয়েকজন সাংবাদিক এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে অন্তর তাদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।
এ বিষয়ে আরিফুল নেহাল বলেন, “আমি নিশ্চিত হয়ে এবং সতর্কতার সাথে প্রতিবেদন লিখেছি। অনন্তের সাথে আমার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর তার আচরণ ছিল খুবই আক্রমণাত্মক। ”
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, “ভবিষ্যতে যাতে এ ধরণের কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই আমরা এই সতর্কতামূলক বার্তাটি দিয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যদি সুনির্দিষ্টভাবে তা প্রমাণিত হয় তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ”
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হামজা রহমান অন্তর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, “আমি কোনো নোটিশ পাইনি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজি কিংবা কারো সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগও নেই। ”
প্রসঙ্গত, হামজা রহমান অন্তরের বিরুদ্ধে এর আগেও হলের ক্যান্টিনে বিনা অর্থে খাওয়া, অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং যৌন হয়রানির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সাময়িক বহিষ্কৃত হওয়ার ঘটনা রয়েছে।