যৌবন ধরে রাখতে এই কাজগুলো করুন

সাধারণত পরিমিত আহার এবং শরীরচর্চা করলে, যে কেউ পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সেও যৌবন ধরে রাখতে পারবেন। কীভাবে জীবনযাপন করলে বেশি বয়সেও তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব জেনে নিন-

সুগার-ফ্রি বাঁচুন
চা-কফি বা অন্য কোন পানীয়, চেষ্টা করুন চিনি ছাড়া খাওয়ার অভ্যাসটা রপ্ত করে নেওয়ার। তাতেই দেখবেন আপনার চেহারায় বয়সের ছাপ কম পড়বে। ত্বক বিশেষজ্ঞেরা বলেন, অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার যাঁরা খেতে ভালবাসেন, তাঁদের চেহারায় বয়সের ছাপ তাড়াতাড়ি পড়ে। কিন্তু এমনটা হয় কেন? কারণ, চিনি শরীরে প্রবেশের পর ত্বকের স্বাভাবিক দু’টো প্রোটিনের (কোলাজেন এবং ইলাস্টিন) কার্যপ্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। এই দু’টি প্রোটিন স্বাভাবিক বয়স প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ফলে অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে তাড়াতাড়ি।

প্রচুর ঘুমোন
কাজের চাপ থাকবেই। তাই বলে সারাদিনে প্রয়োজনীয় বিশ্রামটুকুও নেবেন না, সেটা হয় না! শরীরকে তরতাজা রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোন বিকল্প হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত সাত-আট ঘণ্টা টানা ঘুম খুব প্রয়োজন। চেষ্টা করুন রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে। এবং সকালে সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়তে। এতে সকালে অফিসে যাওয়ার আগে অনেকটা সময় পেয়ে যাবেন। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার সুফলটাও পাবেন হাতেনাতে।

শরীরচর্চা করুন নিয়মিত
সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কিছু খেয়ে সোজা চলে যান জিমে। ঘড়ি ধরে কসরত করুন। তবে মনে রাখবেন, শরীরচর্চা করার অর্থ কিন্তু কখনওই বডিবিল্ডিং নয়। ব্যায়াম কিংবা যোগাসন যা-ই করবেন, নিজের বয়সের দিকে খেয়াল রেখে। জিমে আপনার পাশের মানুষটি হেভিওয়েট ট্রেনিং করছেন বলে আপনাকেও সেটা করতে হবে— এমনটা কিন্তু নয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা শরীরচর্চা করলে শরীর-মন দুইই ভাল থাকবে। যার প্রভাব পড়বে চেহারায়। জিমে যেতে না চাইলে, সকালের শান্ত পরিবেশে বাড়ির পাশের পার্কে গিয়ে কয়েক চক্কর দৌড়েও নিতে পারেন।

ফাস্টফুড বাই বাই
যে কোন রকমের ফাস্টফুডকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। বদলে খান টাটকা  শাক-সব্জি। চেষ্টা করুন সেদ্ধ করা খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার। প্রয়োজন মনে করলে কোনও ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিতে পারেন। আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটাও পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, সিগারেটের তামাকের মধ্যে থাকা নিকোটিন ফুসফুস তো বটেই, শরীরের অন্যান্য অংশেরও ক্ষতি করে। এমনকী, দীর্ঘদিন যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের ফুসফুসের ভিতরের অংশে কার্বনের পুরু আস্তরণও পড়ে যায়।
ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার স্বাভাবিক ক্ষমতা কমে যায়।

কোথায় বয়স?
মনে রাখা দরকার, শরীরের বয়সটা আসলে স্রেফ কয়েকটা সংখ্যা। মনের বয়সটাই আসল! তাই মনের দিক থেকে তরুণ থাকার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে চেষ্টা করুন অল্প বয়সীদের সঙ্গে মেলামেশা করার। সময় পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন। মনে রাখবেন, বছরে অন্তত দু’বার বেড়াতে তো যেতেই হবে! কেউ সঙ্গে না থাকলেই বা কী আসে যায়? সোলো ট্রিপ কিন্তু নিজের সঙ্গে সময় কাটানোরও দুর্দান্ত বাহানা! দেখবেন, মনের বয়স আর বাড়ছে না মোটেই। সূত্র: এবেলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.