নয়াদিল্লি ভরা আদালত ৷ বহুদিন ধরে আটকে থাকা এক বিচারের সাজা শোনানোর শেষ তারিখ ৷ বিচারক নিয়ম মাফিক সাজাও শোনাতেও শুরু করলেন আইনি কায়দা মেনে ৷ ২০০৮ সালে ৩০ বছরের এক যুবক নিজের দামী গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ নিয়েছিল দুই ব্যক্তির ৷ সেই মামলারই সাজা শোনানোর সময় এসেছিল ৷ কিন্তু গোটা আদালত হতবাক ৷ বিচার শোনাতে গিয়ে দিল্লি আদালতের বিচারক হঠাৎই টেনে নিয়ে আসলেন গো হত্যার সাজার মেয়াদের কথায়৷ গলায় আক্ষেপের সুর ৷ বিচারক সঞ্জীব কুমার স্পষ্টই জানালেন, ‘এ দেশের অদ্ভুত বিচার ৷ গরু মারলে বেশি সাজা, মানুষ মারলে কম !’
আক্ষেপের সুরেই বিচারক বলে গেলেন আরও, বেয়াড়া চালকদের শাস্তি দিতে তেমন কোনও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নেই এদেশে । অথচ গরু হত্যা করলে অনেক বেশি সাজা ভোগ করতে হবে। গো-হত্যা করলে দেশের একেক রাজ্যে সাজার নিয়ম একেক রকম ৷ কোনও রাজ্যে ৫ বছরের জেল হয়। কোথাও ৭, কোথাও আবার ১৪ বছর। কিন্তু বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে কোনও মানুষকে পিষে দিলে তার সাজা মাত্র ২ বছর। রোজ যাঁরা নিজস্ব কাজে পথে চলাফেরা করছেন, তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়.
বিচারক সঞ্জীব আরও বলেন, দেশের আইন বেপরোয়া চালকদের ক্ষেত্রে কঠোর নয়, অথচ গরুর মৃত্যুর ক্ষেত্রে তা অনেক বেশি কার্যকরী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪-এ ধারা অনুযায়ী দুর্ঘটনার শাস্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি একটু ব্যাপারটা নজরে আনুন ৷ তবেই না নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশ স্লোগান তখনই কার্যকর হবে !
সুত্র-নিউজ১৮