আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না চাইলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সাথে সম্পাদকমণ্ডলীর জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এ সময় আ স ম আব্দুর রবের বাসায় চা-চক্রে পুলিশি বাধা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি, আ স ম আব্দুর রব ভাই আমার নেতা ছিলেন। তার সাথে যোগাযোগ রয়েছে। তার বাসায় উল্টাপাল্টা কিছু ঘটে থাকলেও অবশ্যই খবর পেতাম। তেমন কিছু ঘটেনি। তারপরও আমি খবর নিবো।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে নতুন নতুন ধারা তৈরি হবে। গণতন্ত্রের দিক বিবেচনায় এটা চলুক সেটা আমরাও চাই। শেষ না দেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
বিএনপিকে উপহাস করে তিনি বলেন, বিএনপির রূপকল্প বা ভিশন-২০৩০ মানেই বিভিন্ন জেলায় জেলায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীষণ মারামারি।
গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক একটি দল। আমাদের ঘরোয়া গণতন্ত্র, তর্ক-বিতর্ক নিয়ে, সঠিক তথ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করুন। তথ্য যাচাই না করে রঙ চড়ানোর দরকার আছে কি? আভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের সমালোচনা আমরা করবো। কেউ কেউ এমন বিষয় নিয়ে আসেন, যেগুলো তথ্য নয়। আংশিক সত্যও আসে না। আপনারা পার্টির মূখপাত্রের সাথে কথা বলে নিবেন। আমি কোনো নিউজ করার পক্ষে নই, গঠনমূলক সমালোচনা করলে আমরা দল হিসাবে শুদ্ধ হতে পারি। গণমাধ্যমকে আমরা শত্রু মনে করি না।
সারাদেশে ৩১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় খুব ভালোভাবে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলে খবর আসে না। এটা যদি বিএনপি করতো তবে বড় করেই খবর প্রকাশ হতো।
আগস্ট মাসের কর্মসূচি পালনের নামে ভুয়া সংগঠন বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে কেউ যেন চাঁদাবাজি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো: আবু কাওসার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, যুব মহিলা লীগের লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।