পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীকে খুন

গাজীপুরে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় খুন হন স্বামী গার্মেন্ট শ্রমিক জিয়াউর রহমান। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার সকালে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহতের স্ত্রী নূরুন্নাহার (৩৫), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলের সুফিগিলা গ্রামের আঃ সাত্তারের ছেলে মো. শামীম (২৫) ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভাবনাতলা গ্রামের মো. হারেছের ছেলে মো. শাহীন (২৭)।

জয়দেবপুর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, জিয়াউর রহমান গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নাওজোর এলাকার শেনন সোয়েটার লি. কারখানায় ফিনিশিং ইনচার্জ পদে চাকরি করতেন। স্ত্রী ও ৮ বছরের এক ছেলে সন্তান নিয়ে ছয়দানা মালেকের বাড়ি এলাকার অহর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

গত ২২ জুন সন্ধ্যায় জিয়াউর রহমান বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পর দিন ২৩ জুন সিটি কর্পোরেশনের সালনা ফরেস্ট অফিসের পাশের একটি ড্রেন থেকে জিয়াউর রহমানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর দিন নিহতের ছোট ভাই শাহিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, জিয়াউর রহমান যে বাসায় ভাড়া থাকতেন তার পাশেই শামীমের একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। পাশাপাশি থাকার সুবাদে শামীমের সঙ্গে নুরুন্নাহারের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি স্বামী জিয়াউর রহমান টের পেলে জিয়া স্ত্রীকে শাসন করেন।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় শামীম। এ নিয়ে শামীমের সঙ্গে জিয়াউর রহামনের দ্বন্দ্ব হলে বাড়িওয়ালা বিষয়টি মিটমাট করে দেন। কিন্তু শামীম নুরুন্নাহারকে সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী শামীম তার দুই সহযোগী শাহীন ও তার অপর একজনকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জিয়াউর রহমানকে ইজিবাইকে করে সালনা এলাকায় নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে।

মামলার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আল আমিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সালনা ফ্লাইওভারের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *