অবশেষে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চট্টগ্রাম মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১৫১ সদস্যের কমিটির কথা থাকলেও করা হয়েছে ২৭৫ সদস্যের ঢাউস কমিটি। তবে এরপরও নিজেদের কাঙ্ক্ষিত পদ-পদবি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ অনেকেই পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন।
প্রায় ২০ বছর পর গতকাল এ পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে গঠনতান্ত্রিকভাবে ১৫১ সদস্যের বাইরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ১২৪ জনকে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও এ কমিটির অপর পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সিনিয়র সহ-সভাপতি একজন, সহসভাপতি ২৯, যুগ্ম-সম্পাদক ১২, সহ-সাধারণ সম্পাদক ১৮, সাংগঠনিক সম্পাদক ৩, দফতর সম্পাদক ১, প্রচার সম্পাদক ১ ও কোষাধ্যক্ষ একজন। জানা গেছে, এ কমিটি নিয়ে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। দলীয় নেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দুঃসময়ে দলের নেতা-কর্মী আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তারা পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত ছিল। অনেকেই আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে হামলা, মামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই এটি দলের একটি পুরস্কার হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। নতুন কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক পদে দায়িত্ব পাওয়া সাবেক ছাত্র নেতা আহমেদুর রহমান চৌধুরী রাসেল ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমি এ দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নই। কাগজ হাতে এলেই আমি পদত্যাগ করব। এ নতুন কমিটির সঙ্গে কাজ না করে যুবদলের সঙ্গে কাজ করলে অনেক ভালো হবে।