উপায়হীনতা রোগের রিকল্প সারিবদি সালসা – বিএনপি

প্রজন্মের প্রতিচ্ছায়াদের কেনো মনে হয় বিএনপি ছাড়া আর কোন উপায়েই ক্ষমতাই যাওয়া সম্ভব নয়? কেনো মনে হয়না যে আসলে বিএনপি আর আওয়ামীলীগ একই ধরণের দুইটি রাজনৈতিক দল? কেন মনে হয়না? প্রজন্মের প্রতিচ্ছায়ারা শুধু আকাশ আর মাটি দ্যাখে আশে পাশের চারিদিকে দেওয়ালে দেওয়ালে ফাটল । দেওয়ালে সাটা মানুষের কঙ্কাল বেড়িয়ে আসতে চাইছে ইট-সুরকী-সিমেন্ট-বালি ভেদ করে। দুইটি প্রধান রাজনৈটিক দলের পেছনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো পুঁজিপতি (বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী, প্রতিবেশী রাষ্ট্র আর তাদের বন্ধুরা রাস্ট্রেরা) আর তাদের মুষ্টিতে খেলা করে কোটি কোটি মানুষের মৌলিক অধিকার ভাত কাপড় বাসস্থান শিক্ষা স্বাস্থ্য স্বপ্ন । বিএনপি ক্ষমতাই ছিল বহুবার। কি করেছে? ষ্ট্রের? বিএনপি ক্ষমতাই গেলে আমলারা কেউ ঘুষ খাওয়া বন্ধ করবেনা। যেসব খুনী পুলিশ আর র‍্যাবে এত দিন আওয়ামীলীগের পক্ষে বিএনপি-জামাতের সদস্যদের ক্রসফায়ারে দিয়েছে সেইসব পুলিশেরা কেউ চাকুরী ছেড়ে দেবেনা। রক্ষীবাহিনীদের মত কারু বিচার হবেনা। সবাই তখন বিএনপীর পেছণের সাড়িতে দাঁড়িয়ে যারা কলকাঠি নাড়ছে সেইসব পুঁজিপতিদের ইশারাই ভাগ বাটোয়ারা করে মানুষ হত্যা করবে। ইয়াবা বিক্রি করবে। ক্রসফায়ার বন্ধ হবেনা। শেখ মুজিব ক্রসফায়ারের জনক। খালেদা জিয়া ক্রসফায়ারের দাই মা। মূলতঃ বিএনপি বা আওয়ামীলীগ এরা কোন রাজনৈতিক দল নয়। পালাক্রমে ভারতের সেবা করার জন্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে এই দুই দলকে বেশীরভাগ সময়ে আওয়ামীলীগে ক্ষমতাই থাকে আর বিএনপি থাকে স্টান্ডবাই। আওয়ামীলীগ ভাল খেলা দিচ্ছে তাই বিএনপি এখনো ওয়েটিং লিস্টে আছে। স্টান্ডবাই- এক্সট্রা খেলোয়াড়। আওয়ামীলীগে ঠীকভাবে কথা না শুনলেই বিএনপিকে ক্ষমতাই নিয়ে আসা হবে। তারপর আওয়ামীলীগকে মেরামত করে বিএনপিকে কাশিমপুরে পাঠানো হবে।

আওমীলীগের জন্য বিএনপি একটি প্রতিযোগী। এক ঘরে দুই দালাল। ভারতের দুই কাঁধে ভারতের দুই দালাল। ছোটবেলা থেকে দেখছি মহাশংকর প্রজাতী বাঙ্গালীরা তাদের অস্তিত্ব, ব্যক্তিত্ব, সব খুইয়ে “উপায়হীনতাই” ভুগছে। কারু কোন উপায় নেই অসভ্যতার গুহা থেকে বেড়ুবার। কোর্টের সামনে মূর্তির মাথায় কাপড় দিয়া কোর্টের ভেতরে বসে খুনীদের রেহা করে আর নিরপরাধেরে জেলে ভরে, রিমান্ডে নেয়, বিচারপতি-বিচারকেরা সব উলঙ্গ হয়ে টাকা খায়। টাকা দিয়ে সবাই বিচার ক্রয় করে । বাইরে চুপচাপ মূর্তি উলঙ্গ থাকবে না কাপড় পড়বে – কাপড় পড়লে সেটা মাথায় না পাছায় সেটা নিয়ে আন্দোলন হয় কিন্তু ১৫৫০০০০ রাউন্ড গুলি খরচা করে মানুষ হত্যা করলে লাশের হদিস মেলেনা তখন বলা হয় রুপকথার রং মেখে শুয়ে ছিল।
প্রজন্মের প্রতিছায়ারা বসে বসে স্বপ্ন দ্যাখে গণতন্ত্রের। ক্ষমতাই যাবার। তারপর আওয়ামীলীগের বদলে নিজেরা ক্রসফায়ারে মানুষ হত্যা করার। প্রজন্মের প্রতিচ্ছায়ারা উপায়হীনতাই ভুগে। একমাত্র ভারতই পারে আওয়ামীলীগকে বাদ দিয়ে ভারতের সেবাতে বিএনপিকে নিয়োগ করতে । প্রজন্মের প্রতিচ্ছায়ারা এর থেকে বেশী ভাবতে পারেনা। ওরা স্বপ্ন দ্যাখে নিরপেক্ষ নির্বাচনের। ওরা স্বপ্ন দ্যাখে আন্দোলনে যাবার। ঘরে ভারতের পন্য, ভবিষ্যৎ নেত্রীর হাত শেখ হাসিনার পা এ, রাজপথে দলের তৃণ্মূলের উলঙ্গ আর রক্তাক্ত লাশ ময়লা কাপড়ের মতো ভ্যানে ছুঁড়ে মারে পুলিশ আর প্রজন্মের ধোঁয়া মোছা পাতলুন পরা প্রতিচ্ছায়ারা স্বপ্ন দ্যাখে আন্দোলণের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন করে সেই একই নেত্রীকে সংসদে ওদের প্রতিনিধি হিসাবে পাঠাবার যে নাকি স্বামীকে ফিরে পেতে শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে আবেদন করেছিল।  অবাক হবার কোন কারণ নাই।

আপোষহীনেরা যখন আপোষ করে তখন অবাক হবার কিছু নাই।
বিএনপি আওয়ামীলীগে যখন ছেলের সাথে মেয়ের বিয়া দেয় তখন কারু মনে প্রশ্ন জাগেনা আসলে “আপোষহীন” শব্দের অর্থ বদলে গেছে কিনা
বিএনপির সদস্য বাবাকে না পেয়ে ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হলে একজন মা তার ছেলের লাশ পড়তে দেখেছে তখনও বিএনপি আর আওয়ামীলীগের ঘরে সানাই বেজেছে, ক্লাবে তাস খেলা আর হুইস্কি চলেছে।
কিছু বদল হয়নি শুধু কিছু শিশু বাবা হারিয়েছে
কিছু বদল হয়নি শুধু কিছু মা তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান হারিয়েছেন
কিছু বদল হয়নি শুধু স্ত্রী তার স্বামী হারিয়েছেন । সবাই বিএনপির নেত্রীর মত হাসিনার পা ছু’য়ে স্বামীকে ফিরে পাবার জন্য ভিক্ষা চাইবার সুযোগ পাননি। পা ছুঁতে যাবার আগেই স্বামীর লাশ ভেসে উঠেছে নদীর হাটুজলে বা খালে বিলে বা রাস্তার পাশে।

তারপর স্বপ্ন দেখেই চলে প্রজন্মের প্রতিচ্ছায়ারা
কারু মনে প্রশ্ন জাগেনা – আসলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ, সাংস্কৃতির শত্রু কে? প্রতিবেশী না প্রতিবেশী রাষ্ট্র ?
কারু মনে প্রশ্ন জাগেনা – তারা আসলে এতো উপায়হীণ কেনো? কারণ তারা ভাবে সব তো ঠিকই আছে। ঘোমটাও আছে দুইজনের মাথায় শুধু সাদা আর কালো। সাদাজনে এসে গদি নিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

কারু মাথায় এই প্রশ্ন আসেনি
আসলে বাংলাদশের শত্রু কে?
আসলে বাংলাদেশীদের শত্রু কে?
বাংলাদেশীরা নিজেরাই নয়তো?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *