পুরাতন ঢাকার পরীক্ষিত পরিজন — তাজউদ্দিন আহম্মেদ তাজু

৫ই জানুয়ারীর সেই প্রহসনের নির্বাচনের আগে ও পরে জিয়ার সৈনিকেরা সারাদেশে অগ্নিগর্ভ বানিয়ে দিয়েছিলো … রাজধানী নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকারও পরও বিচ্ছিন্ন ভাবে আন্দোলন করেছে জিয়ার অকেতুভয় সৈনিকরা … যারা সেই আন্দোলনে ছিলেন তাদের পরিবার গুলি ৭১ এর মতো বিভীষিকাময় দিনযাপন করছেন … তেমনি এক জিয়ার সৈনিকের বাড়িতে প্রতিদিন হায়েনা প্রশাসনের হামলা স্বীকার … বাড়ীর পরিবারের সদস্যরা কেউ কারও খবর জানে না … জিয়ার সৈনিক জানে না তার স্ত্রী , ছেলে, মেয়ে কোথায় আছে কেমন আছে … স্ত্রী জানে না তার স্বামী, ছেলে,মেয়ে কোথায় … ছেলে ও মেয়ে জানে না তার বাবা,মা,ভাই কোথায় … এমনই এক অনিশ্চিত অবস্থায় প্রায় ৩৫ দিন পর জানতে পারলো তারা সবাই নিরাপদে ও সুস্থ … তারপরও দমে যায় নি সেই জিয়ার সৈনিক । এখনো সমান তালে দলের কাজ করে যাচ্ছেন ।

বি,এন,পির জন্য জীবন বাজি রাখা সেই পুরাতন ঢাকার রাজপথ থেকে গড়ে উঠা সময়ের সাহসী পরীক্ষিত অতি পরিচিত মুখ তাজউদ্দিন আহম্মেদ … যাকে সবাই লম্বা তাজু বলে … পুরানো ঢাকার কয়েকজন বাঘা জাতীয়তাবাদী সৈনিকদের ভিতরে যার নাম নিতেই হয় সেই তাজউদ্দিন তাইজুর নাম দল মত নির্বিশেষে সমর্থন না করে উপায় নেই।
হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে তাজউদ্দিন আহম্মেদ তাজু কোতোয়ালী ও বংশাল থানা এলাকার সেনাপতি দায়িত্ব পালন করায় রোষানলে পড়েন এই হায়েনা সরকারের … এরপরই তার বিরুদ্ধে গুলশান, বনানী, মিরপুর, মোঃপুর, চকবাজার, কোতোয়ালী ও বংশাল থানায় ৭০টি মামলা …

১৯৯০ সাল এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের তাজউদ্দিন তাজু একজন সাধারন কর্মী বয়স খুবই অল্প… নয়াবাজার ঢাকা মহানগর বিএনপি অফিস বাড়ির কাছে হওয়ায় দলের মিছিল-মিটিং ও মশাল মিছিলে অংশ নিতেন নিয়মিত। মিছিলে স্লোগানও ধরতেন সামনে থেকে। তার এই সাংগঠনিক দক্ষতার জন্যই অতি অল্প বয়সে তুলে দেওয়া হয় বর্তমান ৩২ ,পুর্বের ৬৮ নং ওয়ার্ডের মুলদলের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব …কোতোয়ালী, বংশাল , লালবাগ থানার কিছু অংশের তৃনমুল কর্মীদেরকে সংঘবদ্ধ করে তাদের বিপদ-আপদ ছাড়াও যেকোন কাজে সবসময় অগ্রনী ভুমিকা পালন করার ফলে … ১৯৯৪ সালে বৃহত্তর কোতোয়ালী থানার আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক নির্বাচত হন তাজউদ্দিন আহম্মেদ তাজু …
ভয়াবহ ১/১১ সময় তিনি সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সাথে সাক্ষাত করে দলের কাজ শুরু করেন – কঠিন সেই সময়ে নয়াবাজার বিএনপি অফিসে মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে সাথে নিয়ে দুস্থদের মাঝে চাল, ডাল কর্মসুচি – খাদ্য বিতরন ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেন …১/১১তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন বন্ধি তখন তার সুস্বাস্থ্য ও মুক্তির জন্য তাজউদ্দিন তাজু সকলকে নিয়ে ১ দিনের রোজা কর্মসুচী সফলভাবে পালন করেন ।

বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, নয়াবাজার কার্যলয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে দোয়া ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসুচি গত ১৬ বছর যাবত অদ্যবধি সকল মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে গ্রেপ্তারি পাড়োয়ানাকে তোয়াক্কা না করে, সরকারী প্রসাসনিক বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও স্থানীয় সকল নেতা-কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে তাজউদ্দিন আহম্মেদ তাজু নেতৃত্বেই সফলভাবে হয়ে আসছে ।

তাজউদ্দিন আহম্মেদ তাজু ঢাকার স্থানীয় সোজা কথা খাঁজ ঢাকাইয়া ও আদি ঢাকা শহরের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান । তার পরিবারের দাদার দাদা থেকে বসবাস এই আদি ঢাকায় ….সেই কারন তাদের পরিবারের ঢাকায় অনেক আত্বীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অবস্থান করেন … তাই তাজুর মত জনপ্রিয়, কর্মীবান্ধব, আন্দোলনমুখি, ত্যাগী নেতার দ্বারাই সম্ভব এই হায়েনা সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়া ……।

প্রচার বিমুখ এই জিয়ার সৈনিককে বংশাল-কোতয়ালী থানার শীর্ষ নেতৃত্বে নিয়ে আসলে স্থানীয় বিএনপি আরো বেশী গতিশীল, সংগঠিত ও যেকোন কর্মসূচী পালনে আরো বেশী কার্যকর হবে বলে স্থানীয় তৃনমূল বিএনপি নেতা-কর্মীদেরও এটা ধারণা ……।

বর্তমান সময়ে মহানগর রাজনীতিটা অনেকটা জটিল হয়ে পড়েছে … লবিং করে পদ নিতে হয় … আরও আছে বিশেষ করে ওমুখ ভাই কিংবা ইজম তৈরির রাজনীতি … এই সব কিছুকে উদ্ধে রেখে সরকার বিরোধী আন্দোলন এবং দেশের কেন্দ্রস্থলের এই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটকে শক্তিশালী করার দিকটি মাথায় রেখেই নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে …কারন ঢাকায় আন্দোলন সফল না হলে ফলাফল শূন্য—সেই হিসাবে তাজউদ্দিন আহম্মেদ তাজু অত্যান্ত শক্তিশালি ঢাকা মহানগরী দক্ষিন এলাকাগুলিতে … আর পুরাতন ঢাকার নেতৃত্ব দিতে হলে লম্বা তাজুর কোন বিকল্প নাই …

এই অবৈধ সরকারকে পতন ঘটাতে হলে মঞ্চে/পোষ্টারে/পকেট ও আত্মীয়তার মানদণ্ডে দাড়িয়ে নয় তাজউদ্দিন আহম্মেদ তাজুর মতো তৃনমুল ত্যাগী-নির্যাতিত নেতাদের যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হলেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আগামীর আন্দোলন সফল হবে । আর ইনশাআল্লাহ্‌ এই সরকারের পতন হবেই হবে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *