সোনাইমুড়ি ডাক দিয়েছে – সুমন টেইলরের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করুন

শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের সব দেশেই অসহায় মানুষ রয়েছে। তবে কাকে আমরা প্রথমে সাহায্য করবো সেই সিদ্ধান্তে সর্ব প্রথমে আমরা আমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াই, তারপর প্রতিবেশী তারপর দেশ তারপর বিশ্ব। মুসলিম উম্মা একটি জাতি। মুসলিম উম্মা একটি দেশ। মুসলিম উম্মা একটি বিশ্ব। ফেসবুকে যখন কেউ সাহায্যের আবেদন করে তখন যে সাহায্য চাইছে বা যার জন্য সাহায্য চাওয়া হচ্ছে তাদের আবেদন সঠিক কিনা সেটা যাচাই করা দরকার। অনেকেই মিথ্যা কথা লিখে আবেগপ্রবণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে ফেসবুক ব্যবহার করে। আপনার কস্টার্জিত উপার্জন আর আপনার সাহায্য করার ইচ্ছা, আবেগ ও ভালবাসা যাতে প্রতারিত হয়ে ঘৃণা, ক্ষোভ ও আক্রোশে রুপ না নেয় সেজন্য সাহায্য করার আগে যত্ন সহকারে খোঁজ খবর নিতে হবে।

বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ন জেলার নাম নোয়াখালী। নোয়াখালীর বেশীরভাগ মানুষই শিক্ষিত, ভদ্র, সৎ, কর্মঠ, সেক্সি, এবং সম্পদশালী। নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা খুব মিষ্টি। নোয়াখালীর মানুষের মধ্য সবচাইতে সুন্দর দিক যা তা হলো ঐক্য। বিশ্বের সব দেশেই যেমন ভারতীয় রয়েছেন, চীনের মানুষ রয়েছেন তেমনি নোয়াখালীর মানুষ রয়েছেন। যেজন্যই কোন নোয়াখালীর মানুষের যদি কোন বিপদ হয় তখন অন্যান্য নোয়াখালীর মানুষেরা সর্ব প্রথমে তার পাশে এসে দাঁড়ায়।

আজকে যার প্রসঙ্গে বলবো তিনি একজন বাংলাদেশী
নামঃ মোহাম্মদ সুমন।
রোগের নামঃ ক্যানসার
পেশাঃ দর্জী
ঠিকানাঃ
মালিক সওদাগরের বাড়ি
গ্রামঃ উত্তর শাকতলা
পোস্টঃ নদনা
থানা/উপজেলাঃ সোনাইমুড়ী

বাংলাদেশে কেউ যদি অসুস্থ হয় এবং অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যায় তখন থেকেই সে স্থায়ীভাবে রোগী হয়ে যায়। যেহেতু ডাক্তার ও হাসপাতালগুলো সেবার চাইতে ব্যবসা বেশী করে তাই প্রতিটি রোগীর কাছ থেকে প্রচুর পরিমানে টাকা আদায় করার জন্য রোগীকে জিম্মি করে ফ্যালে। শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন রোগীকে মানসিকভাবেও অসুস্থ করে ধরাশায়ী করে ফ্যালে। টাকা নিতেই থাকে কিন্তু রোগমুক্তির কোন খবর থাকেনা। রোগী দেখার সাথে সাথে রোগ সাড়াবার জন্য কত টাকা লাগবে তার একটা বিশাল অংকের হিসাব হাতে ধরিয়ে দেয়। এই  বিশাল অংকের টাকার পরিমাণ দেখে রোগী আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। যার টাকা দেবার ক্ষমতা আছে সে চিকিৎসার জন্য সিংগাপুরে বা ভারতে যায় আর যার টাকা নাই সে ফেসবুকে সাহায্যের আবেদন করে বসে থাকে।

সুমনের জন্য একটি পোষ্ট এভাবে দেওয়া হয়েছে। নীচের লিঙ্ক থেকেঃ
https://www.facebook.com/nizam.nodona
যা হুবহু নীচে তুলে ধরা হলো

পরিপাটি সাদাসিধে স্বভাবের মানুষ তিনি। সুন্দর একটি পরিবারকে গুছিয়ে রাখছিলেন। দর্জির কাজ করে আহামরি টাকা ইনকাম করা যায়না হয়তো, কিন্তু ভালভাবে সংসার চলছিল তার। দু’জন মেয়ে দেখতে পরীকেও হার মানায়। মনে হয় সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে তৈরী করেছেন।হঠাৎ একটা ঝড় আসে। ফুটফুটে দু’টো বাচ্চার ‘মা’ মারা যায়। (মারা যাওয়াটাও বেশ রহস্যের।)লোকটি ধীরেধীরে অসুস্থ হয়ে যায়। এই অসুস্থতার জন্য নিজের জায়গাজমি প্রায় সব বিক্রি করে দেয়।গত ৩-৪মাস ঢাকা মেডিকেলের বেডে শুয়ে আছে।লোকটির ক্যান্সার। চিকিৎসার ভার বহন করাও পরিবারের জন্য অসাধ্য হয়ে গেছে। বাড়ির ভিটেটা বিক্রি করা বাকী আছে এছাড়া সবকিছুই তার শেষ। পরিবার রাস্তায় নেমে সাহায্য চাইতে পারেনা, মুখ খুলে বলতেও পারেনা, কয়জনের কাছেই বা বলা যায়? আমার লিস্টে আমাদের এলাকার অনেক প্রবাসী ভাই আছে যারা চাইলে কিছু করা সম্ভব।একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই, ওই নিষ্পাপ দু’টো বাচ্চার কথা চিন্তা করে তাহলে আমাদের এলাকার “টেইলার সুমন” তার জীবন ফিরে পেতে পারে।
যোগাযোগ করতে পারেন Dreamless Shohag ভাইর সাথে। 01758735533
বিঃদ্রঃ কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশ নাম্বার লাগলে পরিবার থেকে নিয়েন।
ড্রিমলেস সোহাগ অর্থাৎ স্বপ্নহীন সোহাগ স্বপ্ন হারিয়েছে তার লিঙ্ক হলোঃ
https://www.facebook.com/purefakei
[ লিঙ্ক এর শেষে লেখা আছে পিউর ফাঁকি অর্থাৎ পুরাই ভুয়া ]। এমন একটি প্রফাইল থেকে যখন সাহায্যের আবেদন আসে তখন স্বাভাবিকভাবেই যেকেউ ভেবে নিতে পারে যে এই ঘটনা পুরাই মিথ্যা। কিন্তু সত্যও হতে পারে। সত্য কি আর মিথ্যা কি তা যাচাই করেই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসুন।

সত্য কি মিথ্যা সেটা জানার জন্য এই এলাকার যেসব মানুষ ফেসবুকে আছেন তারা সাহায্য করতে পারেন।
সাহায্য অনেকভাবেই করা যায়।
১ – প্রথমে দেখতে হবে যাকে এখানে অসুস্থ হিসাবে দেখানো হচ্ছে তেমন কেউ আদৌ আছে কিনা
২ – তারপর দেখতে হবে তেমন কেউ থাকলে সে আদৌ অসুস্থ কিনা
৩ – স্থানীয় ডাক্তার যারা ফেসবুকে আছেন, যাদের বাড়ী নোয়াখালী এবং যারা এই এলাকাতে বসবাস করেন তারা এই রোগীকে বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসার মাধ্যমে সাহায্য করতে পারেন
৪ – রোগীর রোগ নির্ণয়ের পরে সেই ডাক্তার বা ডাক্তারেরা সবাই্কে জানাতে পারেন মোহাম্মদ সুমনের আসলে কি রোগ হয়েছে, কেনো হয়েছে, আর কিভাবে তাকে রোগমুক্ত করা যেতে পারে, আর সেজন্য কি কি ওষুধ লাগবে, সেই ওষুধের আনুমানিক কত টাকা লাগতে পারে আর চিকিৎসার জন্য মোট কত খরচা হতে পারে।
৫ – কিছু মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে । এক দল সৎ মানুষের মহৎ প্রচেষ্টাতে সুমন ভাল হয়ে যেতে পারে।
৬ – জীবন ও মৃত্যু আল্লাহ্‌র হাতে। তবে আমরা একজন অসুস্থ মানুষের পাশে যেয়ে দাঁড়াতে পারি, চেষ্টা করে যেতে পারি। যন্ত্রনা লাঘব করতে পারি।

একজন মানুষ যখন দ্যাখে যে অনেক মানুষ তার পাশে আছেন তখন সে তার মনে  শক্তি পায়, সাহস পায় এবং সুস্থবোধ করতে শুরু করে। যখন একজন মানুষের পাশে কেউ থাকেনা তখন সে অসুস্থ না হলেও প্রতিদিন একাকী বিমর্ষ থেকে থেকে অসুস্থ হয়ে যায়।

পরিশেষে বলবো ক্যান্সার ভাল করার আদৌ কোন ওষুধ নেই। ভাল চিকিৎসা করলে কিছুদিনের জন্য ভাল থাকতে পারে। আমরা মোহাম্মদ সুমনকে হয়তো ক্যান্সার থেকে আরোগ্য করতে পারবোনা যদি আদৌ তার ক্যানসার হয়ে থাকে তবে সাহায্যের মাধ্যমে তার মনে শক্তি, সাহস ও ভাল থাকার অনুপ্রেরনা যোগাতে পারবো। একজন মানুষ হিসাবে অন্য একজন মানুষকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখা আমাদের মানবিক দায়িত্ব। আসুন চিকিৎসা বা টাকা সাহায্য দিয়ে মোহাম্মদ সুমনের পাশে এসে দাঁড়িয়ে সামনে যেক’টা দিন তার জীবনের আয়ু আছে সেক’টা দিন তাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *