ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ”এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে” ময়মনসিংহ বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয় আজ। ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন’ এর ময়মনসিংহ বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ জয়িতা সংবর্ধনা পেলেন সেলিমা বেগম। তিনি শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে এই সংবর্ধনা পান। তার জন্মস্থান ময়মনসিংহ জেলায়। তিনি বর্তমানে ‘ব্যাংক এশিয়ার’ ময়মনসিংহ ব্রাঞ্চের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।
এছাড়াও আরো নয় নারীকে ৫টি বিষয়ের উপর এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। তারা হলেনঃ ১। নাছিমা আক্তার (শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে), ২। সূচিস্মীতা নাসরীন (অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী), ৩। জয়ন্তী কৈরী (অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী) ৪। মোছাঃ রাশেদা বেগম (নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী), ৫। মাহমুদা ফেরদৌস (নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী), ৬। মল্লিকা আক্তার (সফল জননী নারী), ৭। নূর-ই- ফেরদৌস (সফল জননী নারী) ৮। রাশিদা ফারুকী ( সমাজ উন্নয়ন অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী)। ৯। লাইলী আনজুমানআরা বেগম ( সমাজ উন্নয়ন অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ চুমকি (এমপি) মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ফাতেমা জোহরা রানী-মাননীয় সংসদ সদস্য (৩১৯,ম-১৯), নাছিমা বেগম – এনডিসি, সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর, উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, সাহিন আহমেদ চৌধুরী, মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন পিপিএম, ডিআইজি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ, ময়মনসিংহ। সভাপতি ছিলেন জনাব জি.এম. সালেহ উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ বিভাগ।
শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বক্তিতা কালে প্রধান অতিথি মেহের আফরোজ চুমকি (এমপি) বলেন, দিনদিন সামাজিক ও মানসিক কারনে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পাড়ছে না-অন্যতম কারন হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার সাথে সাথে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়, নারীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সরকার মেয়েদের জন্য উপবৃত্তি দিচ্ছে যেন টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে না দেয়। নারীদের সকল প্রতিবন্ধকতা দুরকরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ৪০ লক্ষ নারী শ্রমিক গার্মেন্টসে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও আমাদের সরকার ২ কোটি নারিকে সাভলম্বি করতে উদ্দোগ নিয়েছে। নারীদের
বিগত ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে সরকারের অর্থায়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ‘‘জয়িতা’’ শীর্ষক এই কর্মসূচি চালু করেন।