সেনা অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা সত্ত্বেও রাখাইন রাজ্যে সংশয়

অবশেষে রোহিঙ্গা অধ্যূষিত রাখাইন রাজ্যে চলমান সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে মিয়ানমার। এশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়া এবং ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, কতৃপক্ষ রাখাইন পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা আসার কথা জানিয়ে সেনা অভিযান বন্ধের ঘোষণা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে। তবে শীর্ষ দুজন সেনাকর্মকর্তা ‘শান্তি ও নিরাপত্তা’র স্বার্থে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে বলে রয়টার্স জানিয়েছে, যা সংশয়ের জন্ম দিয়েছে।

এ বছর অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের সমন্বিত হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর তার দায় চাপানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর। আর তখন থেকেই শুরু হয় সেনাবাহিনীর দমন প্রক্রিয়া। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দাবি, এরপর থেকেই রাখাইন রাজ্যে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ইসলামি চরমপন্থা দমনে কাজ করছেন বলে দাবি করছিলেন তারা। আর চলতি সপ্তাহের বুধবার মিয়ানমারে নবনিযুক্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং তুনকে উদ্ধৃত করে স্টেট কাউন্সেলর কার্যালয় থেকে  প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল হয়েছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ শেষ হয়েছে। কারফিউ শিথিল করা হয়েছে এবং শান্তি রক্ষার্থে কেবল পুলিশ নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

বুধবার মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তা ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রাখাইন অভিযানের পরিসমাপ্তি নিশ্চিত করেছে। তবে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে সেনাবাহিনী নিয়োজিত আছে বলে তারা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ এরইমধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার অভিযোগ এনেছে। তাদের বিরেুদ্ধে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডেরও অভিযোগ তোলা হয় দুই দফায়। সংঘর্ষে রাখাইন রাজ্যের মৃতের সংখ্যা ৮৬ জন বলে জানিয়েছে তারা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত ঘরহারা হয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। পালাতে গিয়েও গুলি খেয়ে মৃত্যু হয়েছে তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *