কারাগারে মোমবাতি বানাবেন শশীকলা

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ছায়াসঙ্গী শশীকলা কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা আগ্রাহারা কারাগারে গতকাল বুধবার প্রথম রাত কাটিয়েছেন।

হিসাববহির্ভূত সম্পত্তি রাখার মামলায় সাজা পাওয়া শশীকলাকে আগামী চার বছর এই কারাগারেই কাটাতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

শশীকলাকে কারাগারের একটি ছোট কক্ষে রাখা হয়েছে। সেখানে একটি ফ্যান আছে। তাঁকে একটি বালিশ, একটি কম্বল ও একটি চাদর দেওয়া হয়েছে।

কারা সূত্র জানায়, শশীকলাকে অপর দুই নারী বন্দীর সঙ্গে কক্ষ ভাগাভাগি করতে হবে। তাঁকে মেঝেতে ঘুমাতে হবে। তিনি প্রতিদিন দুটি করে সংবাদপত্র পাবেন।

কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাজা ভোগকালে কারাগারে বসে মোমবাতি বা আগরবাতি বানাবেন শশীকলা। মজুরি হিসেবে দৈনিক ৫০ রুপি পাবেন তিনি। কারাগারে কোনো ‘ডে অফ’ নেই।

কারাগারে ঢোকার সময় শশীকলার নামে তিনটি শাড়ি ও ব্লাউজ ইস্যু করা হয়েছে। তিনি একটি ঘড়ি ও সোনার একটি চেইন জমা দিয়েছেন।

কারাগারের একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘ ভ্রমণে শশীকলা একটু ক্লান্ত ছিলেন। তাঁর রক্তের চাপ একটু ছিল। রাতে ভাত, সাম্বার ও সঙ্গে করে আনা ফল খেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ওষুধও খেয়েছেন।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন জানানো হয়, কারাগারে শশীকলার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা, টিভি, বোতলজাত জল ও ধ্যানকক্ষের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তাঁর সেবায় একজন নারী কারাকর্মী রাখারও আবেদন করা হয়। কিন্তু এসব দাবি নাকচ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

হিসাববহির্ভূত সম্পত্তি রাখার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়েও দোষী সাব্যস্ত হন শশীকলা। সুপ্রিম কোর্ট বাড়তি সময় না দেওয়ায় গতকাল চেন্নাই ছেড়ে বেঙ্গালুরু গিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন আত্মীয় সুধাকরণ ও ইলাবরসি। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

জয়ললিতার ছায়াসঙ্গী ছিলেন শশীকলা। জয়ললিতার মৃত্যুর পর শশীকলা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *