হারিয়ে যেতে দিয়েন না যোগ্যতম অকেতুভয় সৈনিকদের

নাসিমুল গনি খানঃ ত্যাগী, যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের অবমুল্যায়ন এখন এই দলের অঘোষিত নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে … আমি আজ একজনের কথা বলবো- যার শত্রুরাও বলবে যে, উনি কাজ করেছেন এবং দুঃসময়ে দল এবং কর্মীদের ধরে রেখেছেন … তিনি হচ্ছেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাবেক সভাপতি – জাহাঙ্গীর আলম শিকদার …
আসুন দেখি উনি কোন কোন পদে ছিলেনঃ-
১৯৮২ সালে উনি ছিলেন বিএনপির একজন তৃনমুল কর্মী … ১৯৮৪- সভাপতি, সাবেক ২৮ নং ওয়ার্ড (বর্তমান-৪১), সুত্রাপুর থানা, জাসাস — ১৯৮৬- সাধারন সম্পাদক, বৃহত্তর সুত্রাপুর থানা, জাসাস— ১৯৮৮- সভাপতি, সুত্রাপুর থানা, জাসাস ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সুত্রাপুর থানা, বিএনপি– ১৯৮৯- একমাত্র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, ঢাকা মহানগর জাসাস ( সেই সময় সাধারন সম্পাদক ছিলেন বর্তমান বিএনপির প্রচার সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স ভাই) — ১৯৯১- সিনিয়র সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর জাসাস ও সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি জাসাস — ১৯৯৭- ২০১০ – সমাজকল্যাণ সম্পাদক , জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাসাস — ১৯৯৭- ২০১৩- যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, বৃহত্তর সুত্রাপুর থানা, বিএনপি ২০১০-২০১৬ যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাসাস ও সভাপতি, ঢাকা মহানগর দক্ষিন ।।
২০১০ সাল হইতে ২০১৬ পযন্ত দায়িত্বপালন কালীন সময় চট্রগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক উপকমিটির ১নং যুগ্ন আহবায়ক থাকাকালীন সময় চট্রগ্রাম বিভাগের ১৪টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে প্রত্যেকটি জেলা সফর করেন এবং ১৩টি জেলার কমিটি গঠন করেন । উক্ত কমিটির আহবায়ক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার জনাব আবু সালেহ ।
উনার সৃজনশীল কাজঃ-
দক্ষিন জাসাস সভাপতি থাকাকালীন সময় ৪টি সংকলন বের করেন – যার নাম ১। কমল থেকে জিয়া ২। আমি মেজর জিয়া বলছি ৩। জনতার জিয়া ৪। মুক্ত চিন্তা শৃঙ্খলিত ।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে – “মা কাঁদছে স্বাধীনতা” ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে “জিয়া শিশু কিশোর মেলা” হইতে “ রক্তে ভেজা শিশির” নামে ২ টি গানের সিডি দলের জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে থিমস গান ও ভিডিও প্রকাশ করেন যার গান গেয়েছেন জাসাসের শিল্পীরা… ( এখানে আমি কয়েকটি ভিডিও গানের লিংক দিচ্ছে আপনারা দেখতে পারেন)
1. https://www.youtube.com/watch?v=brII5JL5yog
2. https://www.youtube.com/watch?v=JPNwaYS-Ci0
3. https://www.youtube.com/watch?v=HxrmweT607o
4. https://www.youtube.com/watch?v=6LSfBU2XvTk
5. https://www.youtube.com/watch?v=T6UTTt_XPw8
6. https://www.youtube.com/watch?v=RCnuMd5geNg
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি বই লিখেছেন যার নাম – “শহীদ জিয়া আল্লাহর ওলী” ।
৭ই নভেম্বর- জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সঠিক ইতিহাস জাতীর কাছে তুলে ধরার জন্য বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের লেখা বই ও পত্রিকার কার্টিং একত্রিত করে একটি বইয়ের সম্পাদনা করেছেন যার নাম – “৭ই নভেম্বরের মহানায়ক জিয়াউর রহমান”
জিয়া শিশু কিশোর মেলা নামে একটি সংগঠন করে – সেই সংগঠন থেকে শিশুদের গান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা করেন এবং সকল অংশগ্রহণকারী শিশুদের পুরস্কার ও শহীদ জিয়াউর রহমানের ” ছোটদের জিয়া” নামক বই উপহার দেন যাতে বর্তমান শিশুরা শহিদ জিয়ার সম্পর্কে জানতে পারেন ।
http://probasnews24.com/2015/03/22/6142/
http://www.a1news24.com/details.php?a1news=NDU4ODQ=
http://www.cnanews24.com/archives/17210
গ্রেফতার ও কারাবরনঃ
১৯৮৭, ১৯৯০, ১৯৯৩ সালে অনেকবার কারাবরন করেন সেই সাথে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গ্রেফতার হয়ে ২ বারে সাড়ে তিন বছর হাসিনার কারাগারে বন্ধি ছিলেন ।
ভয়াবহ ১/১১ এর সময়ঃ-
বড় বড় নেতাদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি জিয়া পরিবাররের জন্য রাজপথে ছিলেন …জাহাঙ্গীর শিকদারসহ বেশ কয়েকজন গোপনে হান্নান শাহ্‌র বাসায় মিটিং করেন এবং বিএনপি ও জিয়া পরিবারের পক্ষে কথা বলার ও মাঠে নামার জন্য জনাব বিগ্রেডিয়ার আসম হান্নান শাহকে অনুপ্রাণিত করেন এবং সাহস দেন তারপরই জনাব বিগ্রেডিয়ার জেলারেল আসম হান্নান শাহর সংস্কারের বিরুদ্ধে পথ চলা …
এরপর একাধিকবার জনাব আসম হান্নান শাহকে নিয়ে পুরাতন ঢাকার নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করান …
সেই সময় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে একাধিকবার কথা বলেন ও টেলি কনফারেন্স ব্যাবস্থা করেন … যার কারনে প্রশাসন উনার পারিবারিক ও ব্যবসায়ীক অনেক ক্ষতিগ্রস্থ করেন ।
কাজের মুল্যায়নঃ
.
একসময় যখন শহীদ জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কথা উচ্চারন করতেও সাহস করতো না … তখন এই জাহাঙ্গীর শিকদার উত্তর আর দক্ষিন জাসাসকে একত্রিত করে ২দিন পর পরই প্রোগ্রাম করেছে … আর আমরা প্রোগ্রামে উপস্থিত ও নিউজ করতে করতে পাগল হয়ে যেতাম …
জাসাস এর নাম নিতে হলে কিছু নেতার নাম চলে আসে, যাহারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে, এই জালিম সরকারের অত্যাচার সহ্য করে, ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে, দলের তাগিদে বিভিন্ন সময় জাসাস এর অনুস্ঠান করেছেন, তাহাদের মধ্যে অন্যতম এই জাহাঙ্গীর শিকদার।
দলের প্রতি অন্তপ্রান একজন ও দলের প্রচুর প্রোগ্রাম করে যিনি আলোচিত ছিলেন তাকে বাহিরে রেখে গত ১৯শে জানুয়ারী করা হয়েছে জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটি … তাকে একটা সদস্য পদেও রাখে নাই বিএনপি নীতি নির্ধারকরা ..
অথচ যাকে জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে সেই হেলাল খান এর ১/১১ পেক্ষাপতে তার ভুমিকা ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ … ১/১১ সময় হেলাল খানের প্রতিষ্টান থেকে তৈরি করা হয়েছিলো দেশনেত্রী ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ভিডিও এবং হেলাল খান নিজেও একটা ভিডিওতে অভিনয় করেছেন …
আমি মনে করি বর্তমান জাসাস পকেট কমিটির চেয়েও অধিকতর খারাপ কমিটি … যারা এই কমিটি করেছে, তারা নি:সন্দেহে বিএনপিকে ধ্বংস করার নিমিত্তেই এই রকম কমিটি সাজিয়েছে … ধিক !!
আমি অনেকবার বলেছি বর্তমান বিএনপিতে যারা কাজ বেশী করবে তাদের স্থান হবে সবার পিছনে … আমি অনেক নেতাকর্মীদের চিনি যারা প্রতিটি আন্দোলনে জীবনবাজী রাখা কাজ করেছে এমনকি ১/১১ এর সময় এবং তার পরবর্তী আন্দোলনে কাজ করেছে ,জেল খেটেছে , পারিবারিক ভাবে লাঞ্ছনা ও ব্যাবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে – অথচ তারা বিএনপি থেকে তাদের কাঙ্ক্ষিত স্থান হয় নি … এমন কি তাদের সামনে যারা ১/১১ সময় দলের বিরোধীতা করেছে তাদের স্থান হয়েছে উনাদের থেকে অনেক উপরে …
কিছু দালাল ও অযোগ্য নেতাদের কারনে যোগ্যতম তৃনমুল কর্মীরা সরে যায় রাগে, অভিমানে … তখন ক্ষতি হয় দলের … আমার জানা এবং দেখা মতে অনেকেই আছেন যারা এখন রাগে অভিমানে সমর্থক হয়ে বসে আছেন অথচ তাদের দলের প্রতি ত্যাগ,শ্রম, বিনিময় বর্তমান দলের অনেক বড় বড় নেতাদের নেই …
তাই ফরমালিন যুক্ত নয় ফরমালিন মুক্ত কমিটি করুন … হারিয়ে যেতে দিয়েন না যোগ্যতম অকেতুভয় সৈনিকদের …………

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *