লাঞ্ছনার আতঙ্কে জাসাসের নতুন কমিটির নেতারা , রক্ত ঝরার আশঙ্কা

জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে বিরোধ এখন তুঙ্গে। যেকোন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ঘটতে পারে বড় ধরনের সংঘর্ষ। আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন এমন নেতাকর্মীদের বাইরে রেখে বিশেষ মহলের পছন্দের লোকদের দিয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) কমিটি গঠিত হয়েছে- এমন অভিযোগে চলছে গৃহদাহ। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। লাঞ্ছিত করা হয়েছে নতুন সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খানকে। এ নিয়ে আতঙ্কে আছেন নতুন কমিটির নেতারা।

বঞ্চিত নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘পকেট কমিটি’ বাতিল করে ত্যাগী ও যোগ্যদের দিয়ে কমিটি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এদিকে খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ২য় মৃতুবার্ষিকীর জন্য বড় নেতাদের আশ্বাসে আগামী শুক্রবার পযন্ত আন্দোলন বন্ধ রেখেছে পদ বঞ্চিত নেতারা । আগামী শনিবার থেকে আবারও চলবে আন্দোলন এমনই শোনা যাচ্ছে।

একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, শনিবার থেকে হাডলাইনে চলে যাবেন বঞ্চিত নেতারা। এতে যেকোন ধরনের বড় সংঘর্ষ হতে পারে , চিহ্নিত কয়েকজন বড় নেতা অপমান অপদস্থও হতে পারেন এমনকি রক্ত ঝরার আশঙ্কা রয়েছে ।

উল্লেখ্য ২০১০ সালে এম এ মালেক ও কণ্ঠশিল্পী মনির খানের নেতৃত্বে জাসাসের কমিটি করা হয়। ছয় বছর পর গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. মামুন আহমেদকে সভাপতি ও চিত্রনায়ক হেলাল খানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩০ সদস্যের (আংশিক) জাসাস জাতীয় নির্বাহী কমিটি করা হয়।

জিখান/প্রবাসনিউজ২৪.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *