ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি এক কিশোর নিহত হয়েছেন। আবদুল কাদের নামের ওই কিশোরের বয়স মাত্র ১৭। হাই স্কুলের পড়া শেষ করে শিগগিরই কলেজে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল তার। একটি ফুটবল ম্যাচ দেখে বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে নিহত হন কাদের। খবর টাইমস অব ওমানের।
কাদের এবং তার বন্ধু সাইদ (১৭) ফুটবল ম্যাচ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা যে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন সেটার লাইসেন্স ছিল না। এমনকি দু’জনের কারো মাথায়ই হেলমেটও ছিল না। বাড়ি ফেরার পথে একটি গাড়ির সঙ্গে তাদের বাইকের ধাক্কা লাগে। কাদেরকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া সাইদকে খৌলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনার শিকার দুজনেই বাংলাদেশি। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওমানে বাস করছেন। ওই দুই কিশোর মাসকাট ক্লাবে একটি ফুটবল ম্যাচ দেখার পর বাড়ি ফেরার পথে একটি গাড়ির সঙ্গে তাদের বাইকের ধাক্কা লাগে। তারা বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট থেকে স্নাতক শেষ করে ভালো কোনো কলেজে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যে বাইকে করে তারা বাড়ি ফিরছিল সেটা ছিল সাইদের বাইক।
কাদেরের বাবা-মা বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন। তারা সেখানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। কাদেরের মৃত্যুর কথা জানার পরপরই তারা ওমানের উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন।
ওমান রোড সেফটি এসোসিয়েশনের (অআরএসএ) প্রধান নির্বাহী আলি আল বারওয়ানি বলেন, ‘আমি এই দুর্ঘটনার খবর শুনে খুবই আহত হয়েছি। এই দুর্ঘটনা আমাদের জন্য একটি সতর্কতা। দেশে মোটরসাইকেলে চলাফেরা করা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে এমন আবহাওয়ায় কমবয়সী ছেলেরা বাইকে চলাফেরা করতে খুব আনন্দ পায়। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়গুলোও আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।’
কাদেরের পরিবাবের প্রতি শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এমন অসময়ে কারো মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই খুব দুঃখজনক। এ বিষয়ে কোনো কথাই ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’