বাংলাদেশ। একদা সুন্দর এখন কদাকার একটি দেশ। একদা এই দেশে কিছু দেশপ্রেমিক মানুষ বসবাস করতেন। তাঁরা কেউ নেই। আগে, পরে, অদ্যবধি আদি ও অকৃত্রিম দাস, দালাল আর মিরজাফরেরাই বাংলাদেশে বসবাস করে। এই দেশে কেউ দেশপ্রেমিক হয়ে জন্মালে এবং তা কোনভাবে প্রকাশ পেলে এইসব দাস, দালাল ও মিরজাফরেরা তাদেরকে হত্যা করে ফ্যালে।
প্রসঙ্গঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্ধু রাস্ট্র ভারত। ভারতের অংগ রাজ্য বাংলাদেশ। আর সেকারনেই বাংলাদেশের দাস, দালাল ও মিরজাফরেরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে খুব আগ্রহী। কথিত আছে হিলারী যদি প্রেসিডেন্ট হয় তাহলে ভারত হয়তো তাদের অংগরাজ্য বাংলাদেশের রাজ্য সরকারে দালাল ও রাষ্ট্রদ্রোহী পরিবর্তন করতে পারে। বাংলাদেশে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল রয়েছে, তাদের নাম যথাক্রমে
এ টিম – দালাল,রাস্ট্রদ্রোহী, ও সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল প্রাক্তন পাকিস্তান ও বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। ভারত এই দলের নেতা বা নেত্রীকেই বাংলাদেশে তাদের রাজ্য সরকার হিসাবে নিযুক্ত করে রাখে।
মাঝে মাঝে অবস্থা বদলাতে বা টেস্ট বদল করতে বা হাওয়া বদল করতে
বি টিম – আইয়ুব খানের বুনিয়াদী গণতন্ত্র স্টাইলে গঠিত, দেশের চোর ডাকাত লুটেরাদেরকে ত্রিপিস স্যুট পরিধান করিয়ে, আর্মীদেরকে জামাই আদোরে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে ও বিশাল ব্যবসায়ী বানিয়ে দেশ গড়ার নামে একটি দল গঠন করা হয় পরবর্তীকালে যে দলকে টিম বি হিসাবে ভারতের অংগরাজ্যের রাজ্যসরকার হিসাবে কমিশন দেওয়া হয়। এই দলের নাম বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপি।
এই দুইটি টিম এ ও টিম বি ব্যাতিরেকে আর যেসব রাজনৈতিক দল আছে তাদেরকে ভারত এই দুইটা দলের খাদ্য ও খাদ্য নিস্কাষনের কাজে ব্যবহারের জন্য টিকিয়ে রেখেছে।
জামা তে ইসলাম নামের দলটি দালালী ও মিরজাফরের ভূমিকাতে ১০০% স্কোর করলেও ভারত এদেরকে রাজ্য সরকার হিসাবে মনোনিত করেনা কারন এরা ইসলাম ভাঙ্গিয়ে খায়। মুজিব, ভুট্টো, ইয়াহিয়া, ইন্দিরা যখন বাংলাদেশে গনহত্যা চালিয়েছিল তখন এই জামাতে ইসলামী দলটি তাদের দালালী স্ট্রাটেজীতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনির সাথে ছিল। পরবর্তীকালে বিএনপীর সাথে থেকেই আবার আওয়ামীলীগের সাথে চলে যায় সেই একই কারণে যে কারণে এরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে ছিল। কারণ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও পাকিস্তান/বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পার্থক্য শুধু একজাগাতেই সেটা হলো ভাষা। কিন্তু ভূমিকা এক । পাকিস্তান হানাদার বাহিনী গনহত্যা চালিয়েছে নয় মাস। পাকিস্তান/বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গনহত্যা, লুট, ধর্ষন, চালাচ্ছে ১৯৭২-২০১৬ সাল পর্যন্ত এবং চালিয়ে যাবে। কারণ বাংলাদেশের দাসেরা এই দলের হাতে খুন, লুট, ধর্ষিতা হতে ভালবাসে।
ফেসবুকে প্রায়ই বিভিন্ন দাসেরা স্টাটাস দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবার জন্য। মার্কিন যুক্তরাস্ট্র হলো একটি দেশ যারা গণতন্ত্রের একমাত্র সরবরাহকারী রাস্ট্র। এরা গনতন্ত্র আবিস্কার করেছে এবং বিভিন্ন দেশে ফ্রি সরবরাহ করে থাকে। বিনিময়ে সেই দেশের সম্পদ লুট করে। আফ্রিকাতেও মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ও বৃটিশরা গনতন্ত্র সাপ্লাই দিয়া পুরা আফ্রিকা লুট করে নিজেদের দেশকে সমৃদ্ধ করেছে। আর আফ্রিকাতে ফেলে এসেছে দারিদ্র, এবং এইচ আইভি এইডস (poverty and HIS/AIDS)। বেশিদিন আগের কথা না মার্কিন যুক্তরাস্ট্র যখন ৯/১১ নাটকের মাধ্যমে গনতন্ত্র সরবরাহ করেছে আফগানিস্তানে ও ইরাকে। এর পরে গণতন্ত্র সরবরাহ করেছে লিবিয়াতে, এখন গনতন্ত্র ঝরছে সিরিয়াতে।
এইসব দেশে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের গণতন্ত্র সরবরাহ করার কারণ হলো এইসব দেশে প্রচুর খনিজ সম্পদ রয়েছে। আফগানিস্তানের নীচে দিয়ে যে ট্যানেল তৈরি করা হয়েছে তা দিয়ে এই এলাকার বিভিন্ন দেশ থেকে তেল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্রি করতে সহজ হবে। আফগানিস্তান, পাকিস্তানে প্রচুর পরিমানে খনিজ সম্পদ পাওয়া গেছে। ফলে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র সোভিয়েতকে হটিয়ে দিয়ে তালেবানদের মাধ্যমে এই এলাকা দখল করে পরে তালেবানদের লাশের উপরে প্রস্রাব করে এখন মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তানে তাদের মনোনিত দালাল সরকার কায়েম করেছে এবং ভিয়েতনামের মতই আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে। মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ইরাকে ব্যাপক গণতন্ত্র সরবরাহ করে। তিন মিলিয়ন মানুষকে লাশ ও আড়াই মিলিয়ন মানুষকে গৃহহারা হতে হয় এই গনতন্ত্র পাবার জন্য। এইসব দেশে গণতন্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে হিলারি সরাসরি যুক্ত রয়েছেন।
ইসলামিক স্টেট সিরিয়া ও ইরাক (আইসিস) এর জন্মদাত্রী মাতা দেশ হলো মার্কিন যুক্তরাস্ট্র এবং হিলারী ক্লিনটন। অবশ্য বাংলাদেশের দাসেদের জন্য সেটা একটা গর্বের ব্যাপার। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশে দাস সম্পদ ছাড়া আর কোন সম্পদ নাই। হিলারির পূর্ব পুরুষেরা সব লুটেপুটে নিয়ে গেছে বহু আগেই। সেজন্য মার্কিন যুক্তরাস্ট্র বাংলাদেশ গণতন্ত্র সরবরাহের ঠিকা ভারতের হাতে দিয়া রাখছে। আর ভারত তাদের দালাল হিসাবে আওয়ামীলীগকেই বেশী বিশ্বাস করে।
সেদিন আওয়ামীলীগের এক নেতা ও মন্ত্রী অর্থাৎ ভারতের রাজ্যসরকার ভারতের ফেন্সিডিলের প্রভাবে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায়কে “ মালাউন” বলেছে বলে মালাউন শব্দকে এখন একটি প্রমোশন দেওয়া হচ্ছে।
“আমরা সবাই মালাউন,আপনি?” এই রকম একটা শ্লোগান বুকে লাগিয়ে অনেক দাসেরা ফেসবুকে দাঁড়িয়ে গেছে। এর আগে কান ধরে বসে গেছিল। এর পরে কি হবে বলা যায়না। দাসেরা প্রভুদের ভাষা বুঝে আর কারুকে বুঝেনা।
হিলারি বা ট্রাম্ফ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বদলের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বদল হয়না। বিএনপীতে শনির দশা চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বন্ধু ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে যারা সাহায্য করেছে তাদের ভেতরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদী আরব, ইউনাইটেড আরব আমিরাটস অন্যতম। পুঁজিপতিরা বুঝে মুনাফা। পুঁজিপতিরা হিন্দু, মুসলমান, ইহুদী, খ্রিষ্টান বুঝেনা।
বাংলাদেশের অবুঝ দাসেদের তবু মন মানেনা। সবাই হিলারির ছবি পোস্টাই। ইস! যদি হিলারি প্রেসিডেন্ট হয় তাইলে খালেদা ম্যাডাম রুমাল হাতে ড্রয়িং রুমে বসেই ভারতের রাজ্য সরকার নিযুক্ত হয়ে যাবে আর বিএনপির চোর, ডাকাতদের ত্রিপিস স্যুটে সুযোগের বাতাস লাগবে।
দূঃখের বিষয় হইল হিলারী ক্লিনটন একজন আমেরিকান মহিলা। আমেরিকাতে মহিলাদের ব্যবহার করা হয় পন্য হিসাবে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নয়। সাড়া বিশ্ব পুরুষ শাসিত। পুরুষেরা যখন মনে করে একজন মহিলাকে সাইনবোর্ড বানিয়ে পেছনে বসে লুটপাট করা সুবিধা কারণ মহিলা লোভী তার নাকে টাকা শুখালেই সে লেগে থাকবে সাইনবোর্ড হয়ে তখনই এই মহিলাকে রাস্ট্রপ্রধান বানায়। একজন মহিলাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে মেনে নেবার মত পরিবেশ ও মন মানসিকতা মার্কিন নাগরিকদের নেই কারণ এই দেশ উন্নত হয়েছে সাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পদ লুটের মাধ্যমে। ঘৃণা, সাম্প্রদায়িকতা, অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করে অন্য দেশ দখল, লুট, অন্য দেশের মানবাধিকার ও স্বাধীনতা লংঘন করাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি। আফগানিস্তানে মুজাহেদীনের লাশের উপরে প্রস্রাব করা, আবু গারিব জেলখানাতে নির্যাতন, গুয়ানতানা মো বে কিউবাতে মার্কিন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প নির্যাতন, ইরাকে নারী ও শিশু ধর্ষন, বিগত ৭০ বছর ধরে পালেস্টাইন দখল করার জন্য ইসরায়েলকে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্বরতাগুলোর অন্যতম। এইসব বর্বরতা ঘটার জন্য মার্কিন সিনেট ভোট দিয়েছে। হিলারী তাদের একজন।
হিলারী জিতুক আর ট্রাম্ফ – বাংলাদেশের দাস ও দালালদের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছেনা। সত্যকে মেনে নিয়ে নিজ নিজ দাসত্ব সুখে মগ্ন হয়ে থাকাই ভাল।
আয়শা মেহের
সম্পাদিকা
প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা।