সিটিসেল বন্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল বন্ধের (লাইসেন্স বাতিল) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তিনি আরও বলেন, গ্রাহকদের অপারেটর বদলের জন্য ৭ দিনে সময় দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে দিন গণনা শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, সিটিসেল কর্তৃপক্ষের কাছে লাইসেন্স ফি এবং তরঙ্গ ফি বাবদ ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।

তারানা হালিম বলেন, আজ যেহেতু সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অনুমোদনের জন্য সিদ্ধান্তের কপি পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
তিনি আরও বলেন, পাওনা আদায়ে মামলা মোকদ্দামা যা করার দরকার সরকার তা করবে।
সিটিসেল বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাওনা আদায়ে আমরা তাদের নোটিশ দিয়েছি, জবাব চেয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনও জবাব দেয়নি, পাওনাও পরিশোধ করেনি। ফলে দীর্ঘ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে আমরা এ সিদ্ধন্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
অন্যান্য অপারেটরদের পাওনার বিষয়ে তারানা হালিম বলেন, টেলিটক ও বিটিসিএল ছাড়া কোনও মোবইল ফোন অপারেটরের ( গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল) কাছে সরকারের পাওনা নেই। তবে টেলিটক ও বিটিসিএল’র কাছ থেকে কিভাবে পওনা আদায় করা যায় তার উদ্যোগ সমন্বয় করা হবে।
লাইসেন্স বাতিলের ফলে সিটিসেলে কর্মরত-কর্মচারীরা বেকার হলে সরকারের করণীয় কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে সরকারের পরামর্শ দেওয়া বা হস্তক্ষেপ করার কোনও সুযোগ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *