শাহজালালে ইমিগ্রেশন আরও সহজ, যাত্রীরা খুশি

ঢাকা: আসতে যেতে দুই দফা ইমিগ্রেশনের ধকল আর নেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এখন বিদেশ সফরে গেলে যাত্রীকে কেবল যাওয়ার পথেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ফেরার সময়ে দীর্ঘ লাইনে ইমিগ্রেশনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। এতে সময় বেঁচেছে যাত্রীদের। সঙ্গে কমেছে ধকলও।

নতুন এই উদ্যোগ গত ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বিমানবন্দরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ যাত্রীরা।

তাদের মতে, সারা বিশ্বেই নিজ দেশে ফেরার সময়ে ইমিগ্রেশন ফরম পূরণের প্রক্রিয়া উঠে গেছে অনেক দেশে। বাংলাদেশে এটি ছিলো একটি বাড়তি ঝামেলা। কেউ কেউ দীর্ঘ পথ জার্নি করে এসেও দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হতেন ইমিগ্রেশনের লাইনে। যা ছিলো স্রেফ অপ্রয়োজনীয়।

দেরিতে হলেও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে যে বিষয়টি সহজ করা হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট যাত্রীরা।

সোমবার এমনই এক যাত্রী টেলিফোন করে তার অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আসা এই যাত্রী বলেন, তিনি মনে করেন ইমিগ্রেশনের এই উদ্যোগ শাহজালাল বিমানবন্দরকে আরও যাত্রীবান্ধব করে তুললো।

দেশের বাইরে কোথাও যাওয়ার সময় আঙ্গুলের ছাপ, ছবিসহ অন্যান্য তথ্য নেওয়ার ব্যাপারে বিমানবন্দরে যে কড়াকড়ি রয়েছে তা জরুরি এবং প্রতিটি যাত্রীর জন্য অবশ্য পালনীয়। ফলে যাত্রীরা মনে করেন, ফেরত আসার সময় ইমিগ্রেশনে বাড়তি ঝামেলা না থাকাই বাঞ্ছনীয়।

এ বিষয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান বলেন, অনেকেরই দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা ছিলো এই অপ্রয়োজনীয় বিষয়টি তুলে দেওয়া হোক। আমরা সেটি কার্যকর করতে পেরেছি। এতে যাত্রীদের সময় বাঁচবে। দেশে ফিরে একটি ফরম জমা দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না।

কেবল তাই নয়, খরচও কিছুটা সাশ্রয় হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে ফরমটি পূরণ করতে হতো তা ছাপানোর খরচও রয়েছে যা এখন আর লাগবে না।

সারা বিশ্বে এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে যে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা তা বাংলাদেশেও পুরোপুরি কার্যকর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার পুরোটাই হবে আন্তর্জাতিক মানের।

তিনি বলেন, আরও বেশ কিছু ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে পুরো বিমানবন্দরকেই যাত্রীসেবার জন্য প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *