বেনোজলে ভেসে আসা ভারতীয় হাতীটির জীবন যেকোন বাংলাদেশীর জীবনের চাইতে মূল্যবান

ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশী হত্যা করে। ভারতের সীমান্তে বাংলাদেশীদের জন্য Shoot to kill policy   অর্থাৎ দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া আছে। যেকোন সময় ভারতের বর্ডার গার্ডরা বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশীদের উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারে, নির্যাতন ও হত্যা করতে পারে। পালেস্টাইন ও ইসরায়েলের সীমান্তের মত ভার তও বাংলাদেশের সীমান্তে দেওয়াল তৈরি করা হচ্ছে। এই দেওয়ালটির নাম মৃত্যু দেওয়াল বা  Wall of Death.  পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ভারত আর এই বন্যার পানিতে বাংলাদেশের অন্তত ১৬টি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। জুলাই মাসে শুরু হওয়া এ বন্যায় সরকারি হিসেবেই ৩৪ লাখের বেশি মানুষ দুর্গত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের জেলা জামালপুরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পানি উঠেছে। ২৮শে জুলাই যমুনার পানি বিপদসীমার ১২১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর প্রভাবে জামালপুরের নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চল তলিয়ে যায়। বহু বাড়ি-ঘর এমনকি প্রধান সড়কও পানিতে তলিয়ে গেছে এ বন্যায়। পানি বন্দী হয় দেড় লাখের বেশি পরিবার। পানি কমতে শুরু করলেও পয়লা আগস্ট জেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন ঘুরে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে পানি দেখা যায়I ফসলি জমি, মাঠ-ঘাট সবই ছিল পানির নিচে। সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ আর্মী বা সরকারী বা বেসরকারী কোন সংস্থাকে বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষদের উদ্ধার করার জন্য বা সাহায্য করার জন্য এগিয়ে যেতে দেখা যায়নি। বন্যা দুর্গতদের ফোটো ঊঠানোর জন্য অনেকেই গেছে। বাংলাদেশ পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্যের মত রয়েছে ফোটো সাংবাদিক বাণিজ্য । এইসব ফটো সাংবাদিকেরা মানুষের দুর্গতির ছবি উঠিয়ে পাশবিক আনন্দ উপভোগ করে। বিভিন্ন জাগাতে মানুষ জবাইয়ের বা গুলি করে মানুষ হত্যা করার বা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করার ফটো উঠিয়ে তা পত্রিকাতে প্রকাশ করে এইসব ফটো সাংবাদিকেরা আনন্দ উপভোগ করে এবং বসদের খুশী করে। এরা সেদিন বন্যা দুর্গতদেরও ফোটো সেশনে দাঁড় করিয়ে ফটো উঠানোর চেষ্টা করলে দুর্গত এলাকার মানুষেরা ফটো না উঠিয়ে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করে। এই বন্যার পানিতে ভারতীয় একটি হাতী ভেসে আসে আর এই হাতীটিকে উদ্ধার করার জন্য ভারত থেকে বিশেষ এক্সপার্টরা আসে এবং বাংলাদেশের ভারতের কৃতদাস ও এইসব এক্সপার্টদের সহায়তায় হাতীটিকে উদ্ধার করা হয়। এই হাতীটির জীবন বাংলাদেশের যেকোন মানুষের জীবনের চাইতে মূল্যবান।

elephant



elephant1

বাংলাদেশের সুন্দরবনের কাছে রামপালে একটি ভারতীয় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্টিত করা হয়েছে । এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে উৎপাদন শুরু হলে
বাংলাদেশের সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষের জীবনের যখন কোন মূল্য নাই তখন সুন্দরবন রক্ষা করা ও সুন্দরবনের প্রানীদের জীবন রক্ষা করার কথা চিন্তা করা হাস্যকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *