সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফ্রি ফোন – শান্তি, সভ্যতা ও নিরাপত্তা

২০০৮ সালেও আমার মোবাইল ফোন ছিলনা। কানাডাতে বাস করেও আমি মোবাইল ফোন ব্যবহার করিনি। সারাদিন অফিসে থাকি। আমাকে ফোন করার কেউ নাই বা ছিলনা তাই মোবাইল ফোনের কোন দরকার হয়নি।  ছেলের স্কুল দূরে থাকার কারণেই আমি ছেলের জন্য ও আমার নিজের জন্য দুইটা মোবাইল নিয়েছিলাম সেটাও ২০০৯ সালে। মোবাইল যদি না থাকতো তাহলে কি কি সমস্যা হতো ? মোবাইল থাকার ফলে কি কি লাভ হয়েছে?

ফেসবুকের ফ্রি ফোন ব্যবহার করা যায় মোবাইল বা ল্যাপটপের মাধ্যমে।

সেদিন আমেরিকা থেকে আমার এক ভাই ফোন করেছিলেন। আমি তখন বাসের দরজাতে দাঁড়িয়েছিলাম । সামনেই আমার স্টপ। নেমে যাবো । ঠিক তখনই ভাইয়রে ফোন এলো। আমি ফোন উঠিয়ে বল্লাম, ভাই আমি নেমেই আপনাকে ফোন করছি। ফোন যখন ব্যাগে রাখতে যাবো ঠিক সেই মুহূর্তে ভীষন জোরে বাসটি টার্ন নিতে যায় এবং টার্ন না নিয়ে ব্রেক করে থেমে যায় সামনে অন্য গাড়ী ক্লিয়ার হয়নি বলে। আর সাথে সাথে আমি প্রায় ছয়ফুট দূরে  পেছন দিক থেকে ছেঁচড়ে যেয়ে পড়ি। আমার পতন ছিল খুব আকস্মিক। খুব সাংঘাতিক। ঠিক ছয়টা সিটের পেছনে যেয়ে আমি পড়ি। এই ছয়টা সীটের স্টিলে যদি মাথা লাগতো তাহলে আমার মাথা ফেটে যেতো আর শেষে যখন আমি মেঝেতে পড়লাম তখনও সিটের কোনে লেগে আমার মাথা ফেটে চৌচির হতে পারতো। স্পিড যা ছিল তাতে আমার মাথা কোনভাবেই বাঁচার কথা ছিলনা। কিন্তু আমার মনে হলো শেষ মুহূর্তে কে যেনো আমার মাথা তুলে ধরলো। এত বড় পতন আর এত সামান্য ব্যাথা পেয়ে আমি বাকরুদ্ধ আর সাংঘাতিকভাবে  আবেগপ্রবণ হয়ে গেলাম। এম্বুলেন্স এলো। প্যারামেডিক সব চেক করে বললো যে আমার কোন ক্ষতিই হয়নি। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আমি প্রতিদিন ভাবি – সেদিন যদি আমি ফোনটা রিসিভ না করতাম তাহলে ফোন আসার আগে যে হাতল ধরে ছিলাম সেটাই ধরে থাকতাম আর পড়ে যেতাম্ না। আর এইভাবে যদি আমি বেঁচে না যেতাম তাহলে সেদিন আমার মাথায় আঘাত পেয়ে আমি চিরকালের জন্য পঙ্গু হয়ে পড়ে থাকতাম। আমি মৃত্যুকে ভয় করিনা। আমি মৃত্যুকে স্বাগত জানাই প্রতি মূহুর্তে। কিন্তু পঙ্গুত্ব চাইনা। ব্রেইনে আঘাত পাওয়া মানেই অনেক ধরণের জটিলতার সূত্রপাত হওয়া । যেমন ভুলে যাওয়া রোগ।  খুব সামান্য ভাবেই শরীরের নানা জাগাতে কেটে ছিঁড়ে গেছে, মাথার এক পাশ ফুলে গেছিল, অনেক দিন পরে কালশিটা দেখা গেছে। কনুইয়ে এখনো ব্যাথা আছে। মারাত্মকভাবে আঘাত লেগেছে কনুই এবং পায়ের একটা অংশে। ছিড়ে গেছে কনুই আর পায়ের একটা জাগা। ফলে প্রচন্ড ব্যাথা হয়েছে। কিন্তু আমি যেভাবে পড়ে গেছিলাম সেইভাবে পড়লে আরো মারাত্মক ব্যাথা পাবার কথা ছিল । যা হয়েছে তা কিছুই নয়।

দূরে যারা আছেন তারা একবার একটা টেক্সট পাঠাবেন ফোন করার আগে। টেক্সট করে জেনে নেবেন ফোন করা যাবে কিনা। কাল আমি ফেসবুকের এক বন্ধুর কাছ থেকে একটা ফোন পেয়েছি। আমি তখন অফিসে থেকে বের হয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ছেলেটা ভিডিও কল করেছিল আমাকে। খালি গা । কম্বল দিয়ে ঢাকা। আমি লাইনটা কেটে দিলাম । তখন সে আবার কল করলো। আবার লাইন কেটে দিলাম তখন সে আবার কল করলো। তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম – তুমি কেনো বার বার আমাকে ফোন করছো। সে বললো সে আমাকে দেখতে চায়। সেজন্য সে ফোন করছে।  বাংলাদেশে তখন ভোর রাত । আমার এখানে বিকেল। ভোর রাতে ফেসবুকের ফ্রি ফোনে একজনের ইচ্ছা হলো একজন মানুষ যে নাকি কানাডা থাকে তাকে কল করতে। আমি জানিনা এই কল যদি ফ্রি না হতো তাহলে সে আমাকে ফোন করতো কিনা।

আমি যখন কারুকে ফোন করি তখন আমি জানি সে কো্থায় আছে বা কি করছে বা কি করতে পারে। কারুকে খুব ভালভাবে না জেনে আমি কল করিনা। অথবা যাকে আমি কল করছি সে যদি আমার কল প্রত্যাশা না করে তাহলেও আমি তাকে কল করিনা। সেটা স্বাভাবিক ভদ্রতা। আমার একজন বন্ধু যে খুব ভালভাবে আমাকে জানে যে আমার ফোন প্রত্যাশা করে তাকে আমি ফোন করলে সে কিছু মনে করবেনা। অথবা সে আমাকে ফোন করলে আমি কিছুই মনে করবোনা। সে আমার বন্ধু, সে আমার ভালমন্দের সাথে পরিচিত, সে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। একজন ফেসবুক বন্ধু যে আমাকে চিনেনা যার কোন ধারনা নেই আমি কোথায় আছি, কি অবস্থায় আছি, কি করছি, সে আমাকে আগে থেকে না জানিয়ে হঠাৎ কিভাবে ফোন করতে পারে?

আমার উপর কি তার কোন অধিকার আছে?
আমাকে বিরক্ত করার কি তার কোন অধিকার আছে?

ফেসবুকের বন্ধু হলেই কি ফেসবুকের ফ্রি ফোন ব্যবহার করে যাকে খুশী তাকে ফোন করা যায়?
এই ছেলেটা আগেও আমাকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছে। আমি জানতে চেয়েছিলাম কেন সে আমাকে ফোন করে? সে বলেছে সে আমাকে তার বন্ধু মনে করে এবং সে আমার সাথে যৌন ফোনালাপ করতে ইচ্ছুক। আমি তাকে বলেছি – যৌন ফোনালাপ করার জন্য যে দক্ষতা দরকার তা আমার নাই। যৌন ফোনালাপ যারা করে তারা অনেক টাকা পায়। জীবিকা নির্বাহের জন্য আমি যদি যৌন ফোনালাপ করেই কাটাতাম তাহলে আমি সারাদিন বাসাতেই থাকতাম এবং টাকার বিনিময়ে আজেবাজে কথা বলতাম সারাদিন। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির দরকার ছিলনা । হিসাবরক্ষকের কাজ করার দরকার ছিলনা। যৌন ফোনালাপ যারা করে তারা একজন প্রফেশনাল একাউন্টেন্টের থেকে অনেক বেশী টাকা পায়। কিন্তু সেটা করার জন্য যেসব কথা জানার দরকার হয় তা আমার জানা নাই। আমি ফেসবুকে যেসব গালিগালাজ করি তা কোন যৌনকর্মী বা যৌনফোনালাপে পেশাজীবি করেন না – কারণ গালিগালাজ করলে তাকে কেউ টাকা দিয়ে কল করবেনা। যৌনকর্মী ও যৌনফোনালাপের পেশাজীবিরা গ্রাহক ধরে রাখার জন্য অনেক ভাল ব্যবহার করে (আমার ধারনা – যুক্তি হলো ব্যবসা ধরে রাখার জন্য ভাল কাস্টমার সার্ভিস দিয়ে থাকে)।

আমি যখন পথে হাটছি বা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি বা অফিসে কাজ করছি বা বাসাতে ঘুমাচ্ছি তখন যদি কেউ ফোন করে বিরক্ত লাগে। অনেক বিরক্ত লাগে। এই লোকটি যে আমাকে ফোন করেছে সে আমাকে চিনেনা।  আগে কোন দিন টেক্সটও করেনি। হঠাৎ করে সে ফোন করে আমাকে বলে আমি নাকি তাসলিমা নাসরিনের মত কথা লিখি। আমি তাসলিমা নাসরিনকে খুব সামান্য জানি। তাসলিমা নাসরিণের খুব বেশী লেখা পড়িনি। তবে তাসলিমা নাসরিনের ইন্টারভিউ শুনেছি ও কিছু লেখা পড়েছি। তাসলিমা নাসরিন একজন পেশাজীবি ইসলাম বিরোধী লেখিকা। অর্থাৎ ইসলামের বিরোধিতা করার জন্য সে বিদেশের কোন সংস্থার কাছ থেকে টাকা পায় তার লেখা পড়ে আমার সেটাই মনে হয়েছে। বিখ্যাত হবার জন্য বা জীবিকা নির্বাহ করার জন্য ইসলামের বিরোধিতা করে — আমি ইসলামের বিরোধিতা করিনা । কেউ যদি আমাকে টাকা দিতো তাহলেও আমি সেটা করতাম না। ইসলাম সম্পর্কে আমি কম জানি। এত কম জ্ঞান নিয়ে একটা এত বড় দর্শণের বিরোধিতা করার জন্য ক্ষমতা আমার নাই। বাকী থাকলো তাসলিমা নাসরিনের যৌনালাপ – সেটাও পড়লাম সেদিন । তাসলিমা লিখেছে — তাসলিমার মাসিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এখন Lubricant  লাগিয়ে সে ধুমসে সেক্স করবে। সেই স্টাটাসের নিচে হাজার হাজার লাইক আর মন্তব্য। সব কিছু পড়ার ইচ্ছা বা সময় আমার ছিলনা। তাই পড়িনি। প্রতিদিন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মাসিক বন্ধ হচ্ছে – এটা খুব স্বাভাবিক জীবন চক্র। স্টাটাস দেবার বিষয় না। জীবণের একটা পর্যায়ে এসে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক। অনেক মানুষ যাদের মাসিক বন্ধ হয়নি তারাও লুব্রিকেন্ট লাগিয়ে মিলিত হয় -এটাও কোন গুরুত্বপূর্ন বা শিক্ষনীয় বিষয় না। ফেসবুক ব্যবহারকে অপব্যবহার বলা যেতে পারে। অপরিচিত একজন মানুষকে ফেসবুকের ফ্রি ফোনের মাধ্যমে ফোন করাটাকে আমি তাসলিমা নাসরিনের লেখার “বিষয়গুলোর” মতই অদরকারী ও অপব্যবহার বলে মনে করি।

ফ্রি ফেসবক ফোন ব্যবহারে যারা হস্তমৈথুন করে অন্য দিকের অনুমতি ব্যাতিরেকে তাদেরকে আমি পশু বলবোনা। আল্লাহ্‌র সৃষ্টি সব পশুই নীতি মেনেই যৌনকর্ম সমাধা করে । শুধু কিছু মানুষ নামের কুলাঙ্গারের যৌন ক্ষুধা এতই তীব্র যে এরা যখন সাহসের অভাবে বাইরের যেকোন মানুষকে ধরে তাদের উপরে উঠে যেতে পারেনা তখন তারা ফেসবুকের ফ্রি ফোন করে একে তাকে নক করে দ্যাখে যদি কাজ হয় তাহলে হলো আর না হলে অন্য আর একজনকে বিরক্ত করে দেখবে। এভাবেই ফেসবুকের ফ্রি ফোন অপব্যবহার করা হয় ।

বাংলাদেশের মানুষের লজ্বা নাই।
বাংলাদেশের মানুষের মধ্য মানুষের জন্য শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নাই।
বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে মানবিকতা নাই।
একজন পশু কখনো আর একজন পশুর ফাঁসি চায়না
একজন পশু অন্য একজন পশুকে ধর্ষন করেনা
একজন পশু অন্য একজন পশুকে তখনই খায় তখন তার খাদ্য থাকেনা
একজন মানুষ তার পেটের ক্ষুধা ও যৈব ক্ষুধা মেটাতে সেই সব কিছুই করতে পারে যা বিশ্বের কোন পশুই করেনি। পশুদের অসভ্য বলা হয়। কেনো বলা হয় আমি জানিনা। পশুরা কেউ জংগল থেকে উঠে এসে ফেসবুকের ফ্রি ফোন ব্যবহার করে যাকে অনলাইনে পাবে তাকে ফোন করেনা। বাংলাদেশে যখন ভোর রাত কানাডাতে তখন বিকেল। ছাপোষা কেরানী – সারাদিন অফিসে ঘানি টেনে রোদে পূরে বা তুষারে কাঁপাকাপি করতে করতে ঘরে ফিরছি তখন ফেসবুকের ফ্রি ফোনে অপরিচিত মানুষের কম্বলের নিচে নগ্ন দেহের কথা মনে হলেই অনেক বমি আসে। বাসের ভেতরে অনেক মানুষ বমি করার উপায় নেই। সভ্যতা, মানবিকতা, দায়িত্বজ্ঞানবোধ, ভদ্রতা, সৌজন্যতাবোধ এইগুলা বাংলাদেশে নাই – সেটা জানি। বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কি শিক্ষা দেওয়া হয় আমি জানিনা তবে মানুষ হবার জন্য কোন রকমের শিক্ষা দেওয়া হয়না তা বুঝতে পারি।

কোন জিনিষ ফ্রি হলেই যে সেটা অপব্যবহার করতে হবে এমন কোন কথা নাই। মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব। সেজন্য অন্যান্য সৃষ্টি থেকে মানুষের দায় দায়িত্ব অনেক বেশী। একজন মানুষ হবার জন্য অন্য একজন মানুষের সুবিধা অসুবিধা বোঝার মত বিবেচনা করার মত মানসিকতা থাকতে হবে। আপনার বীর্যপাতের সময় হলেই আপনি যেকোন মানুষকে ফোন করতে পারেন না। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সভ্যতা থেকে বিচ্যুতি। আপনার বীর্যপাত আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এজন্য বিয়া করুন বা যৌনকর্মীদের কাছ  থেকে দেহ কিনুন বা অনলাইন যৌনকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করুন আমি তাদের চিনিনা আপনার সমস্যা সুতারাং সমাধান আপনাকেই করতে হবে। আমি দুঃখিত । এই সম্পর্কে আমার কোন অভিজ্ঞতা বা ডিগ্রী নাই। আমি বড় জোর আপনাকে ব্লক করে দিতে পারি। এখনো দেইনি কারণ আমি চাই আপনারা যারা আমাকে অকারণে ফোন করেন তারা এই লেখাটি পড়ুন, ভাবুন, দায়িত্বশীল হতে শিখুন এবং অন্যের উপর আপনার অধিকার সম্পর্কে জানুন। আপনি ইচ্ছা করলেই একজনকে ফোন করতে পারেননা যদি না সে আপনাকে ফোন করার অনুমতি দেয়। “অনুমতি” শব্দটা মনে রাখবেন। বউয়ের সাথে সঙ্গম করতে গেলেও “অনুমতি” নিতে হয় তা মৌখিক হতে পারে বা বডি ল্যাংগুয়েজ হতে পারে। যদি দুইটার একটাও না করে সঙ্গম করেন অর্থাৎ বউয়ের মৌখিক বা সাংকেতিক অনুমতি ছাড়া সঙ্গম করাটাকে ধর্মীয়ভাবে ও আইনতঃ ধর্ষন হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। আপনার বউ একজন মানুষ, এবং সে আপনার সম্পদ না বা বীর্যপাতের গর্ত না যে নিজের খেয়াল খুশী মত ফেললেন। সব কাজেই “অনুমতি” নেওয়ার দরকার রয়েছে। এই দুনিয়াতে যেহেতু আমরা কেউ কোন কিছুর মালিক নই তাই এই দুনিয়ার সব কিছুই ব্যবহার করার জন্য হয় আল্লাহ্‌র কাছে না হয় যাকে ব্যবহার করার কথা ভাবছেন সেই মানুষের কাছে “অনুমতি” নিতে হয়।

“অনুমতি” নিয়ে কোন কিছু ব্যবহার করাকেই বলে দায়িত্বশীলতা, ভদ্রতা, সভ্যতা ও সৌজন্যতাবোধ । অনুমতি ছাড়া কোন কিছু ব্যবহার করাকে বলে “ধর্ষন”, “অভদ্রতা”, কারু অবস্থার সুযোগ নিয়ে অপব্যবহার করা, নোংরামী, চুরি ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।

সভ্য হোন । ফেসবুকের ফ্রি ফোন ব্যবহার করার জন্য যার সাথে কথা বলবেন তার কাছ থেকে অনুমতি নিন আগে টেক্সট করুন । সে যদি অনুমতি দেয় সময় জানতে চান, কোন সময় ফোন করা উচিৎ, কখন এই ব্যক্তি ফ্রি থাকবে সেটা জেনে নিয়ে ফোন করুন। আপনি যখন কারুকে ফোন করার কথা ভাবছেন তখন আপনি খুব সুখে আছেন অথচ এমন হতে পারে যাকে আপনি ফোন করবেন সে বিদেশেই থাকে কিন্তু এই মুহূর্তে সে চাকুরী হারিয়েছে, এই মূহুর্তে সে শ্বাস নিতে পারছেনা , হাফাচ্ছে, বা এম্বুলেন্সে হাসপাতাল যাচ্ছে বা বিষন্নভাবে একাকী কাঁদছে বা ঘুমাচ্ছে বা ব্যস্ত আছে। সে হয়তো আপনার মত সুখে নেই। আপনি জানেন না সে কেমন আছে। ছেলে বা মেয়ে – এটা সবার জন্য সমানভাবেই প্রযোজ্য।

নিজে ভাল থাকুন অন্যকে ভাল থাকতে সাহায্য করুন এবং সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়ে তুলুন যেখানে আমি, আপনি এবং ওরা সবাই সুখে শান্তিতে থাকতে পারবে যার যার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে।

আয়শা মেহের
সম্পাদিকা – প্রবাসনিউজ২৪
টরেন্টো, কানাডা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *