একটি রিয়্যালিটি শো’য়ের ‘অডিশন’ দিতে গিয়ে করাচির সেই সুন্দরী—আসমা রাজপুত দাবি করলেন, এমনই নাকি তার ‘রূপ মাহাত্ম্য’ যে, খোদ প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফও মুগ্ধ! প্রথমে অবশ্য নওয়াজদের নাম উচ্চারণ করতে চাননি আসমা। পরে উপস্থাপকের প্রশ্নের মুখে দুই রাষ্ট্রপুরুষের নাম জানান তিনি।
বিষয়টি সমালোচনার গুঞ্জন উঠলে চাপে পড়েন আসমা। পরে ব্যাক্তিগতভাবে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে পোস্ট করে আসমা বলেন, নওয়াজ শরিফ আমার সঙ্গে লাইন মেরেছিল। আমি সেই কথাই ওই রিয়েলিটি শো’তে বলেছিলাম। আমি মিথ্যা বলিনি। মিথ্যা বলার কোন দরকার আমার নেই।
আসমা জানিয়েছেন, একবার ‘বিজনেস ক্লাসে’ ইসলামাবাদ যাচ্ছিলেন তিনি। বিমানে উঠে দেখতে পান, নওয়াজ শরিফও তার সহযাত্রী। আসমার দাবি, বিমানে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই নওয়াজের ‘মুগ্ধ’ দৃষ্টি তার গোচরে আসে। চোখাচোখি হতেই নওয়াজ মৃদু হাসেন। আসমাও হাসিতেই জবাব দেন। কিছুক্ষণ পরে শুরু হয় আলাপ-পরিচয়। আসমার দাবি, কথায় কথায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আসমা সাড়া দেননি।
ওই ঘটনার প্রমাণ তার কাছে রয়েছে বলে দাবি করলেও সাক্ষাতের দিনক্ষণই নিশ্চিত করে বলতে পারেননি আসমা। প্রথমে তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি পাঁচবছর আগে ঘটেছিল। তখন নাকি নওয়াজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু উপস্থাপক তার এই তথ্য ভুল বলে জানিয়ে দেওয়ায় আসমা পাল্টা জানান, তিনি দিন-ক্ষণ-বছর সব গুলিয়ে ফেলেছেন। ঘটনাটি নাকি কিছুদিন আগেই ঘটেছে!
আসমার দাবি, তার রূপে মুগ্ধ ছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফও। তার ব্যক্তিত্বে আপ্লুত ছিলেন আসমাও। মেয়েদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলা উচিত, নওয়াজের তা প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে শেখা উচিত বলে মন্তব্যও করেছেন ওই তরুণী। কিন্তু কবে, কোথায়, কীভাবে মুশাররফের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, সে সম্পর্কে কিছু জানাননি আসমা।
ফেসবুক প্রোফাইল বলছে, তিনি নিজেকে শিল্পী হিসাবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। তবে বিনোদনের জন্য ‘যা খুশি তাই’ করতে পারেন।
নিন্দুকেরা বলছেন, স্রেফ লোকের নজর কাড়তেই আসমা এসব দাবি করেছেন। তবে কিনা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের নামে যা-ইচ্ছে-তাই বলার পরিণতি ভাল না-ও হতে পারে!
ভিডিও: