বাংলাদেশে প্রতিদিন জঙ্গি জঙ্গি খেলা চলে। প্রতিদিন পুলিশে গুলি করে মানুষ হত্যা করে। বাংলাদেশের জেল ভর্তি নিরীহ মানুষ, পঙ্গু হাসপাতাল ভর্তি, থানা ভর্তি নির্যাতিত মানুষ ক্রসফায়ারের জন্য অপেক্ষা করছে, বাংলাদেশের জঙ্গি পুলিশ এইসব নিরীহ মানুষকে গ্রেফতাঁর করে এনে টাকার জন্য তাদের পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে আর টাকা না পেলেই তাদের ক্রসফায়ারে হত্যা করে। এইসব অভাবনীয় মৃত্যুর কথা বাংলাদেশের সবাই জানে। সবাই মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশের বাঁশখালীর গন্ডামারা গ্রামে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়, গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, গ্রামে পুলিশ পাঠিয়ে ঘিরে রেখে নিয়মিত গ্রামবাসীর উপরে অকথ্য নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নাজি কনসেন্ট্রশন ক্যাম্পের মত বা পালেস্টাইনের ক্যাম্পের মত বাংলাদেশের বাঁশখালীর গন্ডামারা গ্রামবাসীরা বাংলাদেশ পুলিশের নজরবন্দী ও নির্যাতণের ভেতরে বসবাস করছে।
বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতের বিএসএফ প্রতিদিন বাংলাদেশী গুলি করে হত্যা করে। বাংলাদেশে যেহেতু ভারতের প্রতিনিধি সরকার মনোনিত ও স্থায়ীভাবে প্রতিষ্টিত তাই বাংলাদেশের জনগন অনেকটা প্রজার মত যাদের কোন মানবাধিকার ও স্বাধীনতা নাই। বাংলাদেশের মানুষদেরকে কুকুর শেয়ালের মত যেখানে সেখানে গুলি করে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের খুনি পুলিশকে কেউ জঙ্গি বলেনা বা ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি গার্ড বিএসএফ কে কেউ জঙ্গি বলেনা।
সেদিন সুপরিকল্পিতভাবে গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে কিছু দেশী বিদেশী মানুষকে হত্যা করে যে জঙ্গি নাটক করা হলো সেই নাটক সম্পর্কে পিস টিভিতে জাকের নায়েকের কথাকে উদ্ধৃতি দিয়ে “রেস্টুরেন্টে আক্রমণকারী জঙ্গিদের” উস্কানীমূলকভাবে অনুপ্রাণিত (inspiring act of terrorism) করার অপবাদ দিয়ে বাংলাদেশে পিস টিভি ডাউনলোড ও সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে করে পিস টিভিই সন্মানিত হয়েছে। গনহত্যা বাংলাদেশে একটি স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশে গনহত্যা শুরু হয়েছে যা নাকি অদ্যবধি চলছে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব এরা থাকতে জঙ্গি ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য বাইরে থেকে আর কারু দরকার হবেনা। সীমান্তে ভারতের বিএসএফ আর বাংলাদেশের ভেতরে এরা ও এদের নেত্রীই দক্ষতার সাথে বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও গনহত্যা চালিয়ে যেতে পারবে। পিস টিভিকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করে পিস টিভির জন্য পিস ও সন্মান দেওয়া হয়েছে। Let Peace TV be in Peace.