গুম-খুন নেতাকর্মীদের পরিবারের পাশে বিএনপি

দু’দফা সরকারবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে গুম-খুনের শিকার দলের নেতাকর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি।
দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও লন্ডনে অবস্থানরত সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ গত ২৪শে জুন থেকে এসকল পরিবারের কাছে যাচ্ছেন।
এছাড়া ঈদ শুভেচ্ছা কার্ডসহ উপহার সমাগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- একটি জায়নামাজ, তাসবিহ, আতর আর ঈদের জন্য বিস্কুট, সেমাই, দুধ, চিনি আর চকোলেট ইত্যাদি। সারা দেশের প্রায় আড়াইশ’ নিহত-গুম নেতাকর্মীদের পরিবারের জন্য এই উপহার সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এসকল নেতাকর্মীদের স্বজনদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবার ইফতার করবেন বলেও জানা গেছে। বিএনপি দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালের সরকার বিরোধী আন্দোলনে যে সকল নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন তাদের তালিকা করে এবারই প্রথম তাদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিএনপি।
আর এ তালিকা তৈরিতে সর্বাত্মক সহায়তা করেছে জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল নামের একটি সংগঠন। বিএনপি সূত্র জানায়, এর আগে এ ধরনের কয়েকটি উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু লন্ডনে চিকিৎসাধীন তারেক রহমানের নির্দেশে এবার সারা দেশে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচি বাস্তবায়ন চলছে। দলের এই কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আবেগে আপ্লুত পরিবারের স্বজনরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি।
২০১২ সালের ৬ই মে গাজীপুর জেলার বিএনপি কর্মী জামির হোসেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে নিহত হন। এরপর থেকে এই পরিবারটির পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। সহায়তার হাত বাড়ানো হবে বলে নানা সময়ে স্বপ্ন দেখানো হলেও এবারই প্রথম তাদের কাছে দলের পক্ষ থেকে উপহার দেয়া হয়েছে বলে জানান নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম।
তিনি বলেন, এই উপহার সামগ্রী পেয়ে অন্তত এতটুকু মনে হয়েছে- বিএনপি আমাদেরকে ভুলে নাই। জাতীয়তাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এবিএম মোশাররফ হোসেন গত ২৫শে জুন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় নিহত ইব্রাহিম খলিলের পরিবারের কাছে তারেক রহমানের এই উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, স্বজন হারানো পরিবার গুলোকে স্বজন ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের ক্ষমতা নেই শূন্যস্থান পূরণ করার। সন্তান হারানো মায়ের, স্বামী হারানো বোনের এবং পিতা হারানো সন্তানের। কিন্তু এই অসহায় মুখগুলো যখন কোন কারণে একটু আস্থার জায়গা খুঁজে পায় বা হতাশার মুখগুলোতে যখন এক পলক তৃপ্তির হাসি দেখা যায় আমাদের একটু চেষ্টায়। তখন আমরা সার্থক।
ইনশাল্লাহ আশা করি, দলের সকল গুম, পঙ্গু পরিবারের হাতে ঈদে আগে পৌঁছে যাবে এই ঈদ উপহার।

নাসিম/প্রবাসনিউজ২৪.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *