পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এম মনিরুজ্জামান বলেছেন, ‘লাঠি-বাঁশির বিষয়টি কতিপয় জ্ঞানপাপী ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই বাঁশের লাঠি দিয়ে তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা হয়েছে, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন হয়েছে। এই বাঁশের লাঠি দিয়েই পাকিস্তানি হানাদারদের তাড়ানো হয়েছে। তাই লাঠি-বাঁশির ভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ নেই।’
আজ সোমবার দুপুরে যশোরের মুনশি মেহেরুল্লাহ ময়দানে জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ডিআইজি।
সন্ত্রাসী জঙ্গিদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ডিআইজি বলেন, ’স্বজন হারানোর বেদনায় এ দেশের আকাশ-বাতাস আর ভারি হতে দেব না। আমরা জানি, আপনার বাড়ি কোথায়, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোথায়, আপনার আত্মীয়-পরিজন কোথায়। আমার কলিজায় আঘাত করে যদি রক্ত ঝরান, সেটা শতগুণে আপনার কলিজায় বিঁধবে। আমরা জানি, কীভাবে প্রতিশোধ নিতে হয়। বাংলার ১৬ কোটি মানুষ জানে, কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয়।’
যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যদের মধ্যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, খুলনা, মাগুরা, বাগেরহাট, নড়াইল, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুণ্ডু, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডি এম শাহিদুজ্জামান, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আলহাজ আলী আকবর প্রমুখ বক্তৃতা দেন।
সভা শেষে জঙ্গি-সন্ত্রাসী প্রতিরোধে উপস্থিত জনতার হাতে বাঁশের লাঠি ও বাঁশি বিতরণ করা হয়।