বাংলাদেশের মানুষেরা এখন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত। অথচ বাংলাদেশে কোন মুসলমান বাস করেনা। মুসলিমরাই পবিত্র রমজানের শেষে ঈদ পালন করে। ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় একটি মসজিদ নির্মান কাজ চলাকালীন সময়ে স্থানীয় মুসলমানেরা মসজিদে নামায পড়া শুরু করেন, স্থানীয় হিন্দুরা এই মসজিদ নির্মানের বিরুদ্ধে মামলা করে, পুলিশ এসে পিস্তলের মুখে নামাযীদের মসজিদ থেকে বের করে দেয়।
খুব ছোট ঘটনা। এটা কোন ব্যাপার না। দেশে যখন মুসলমান নাই তখন মসজিদ নির্মান করার কোন দরকার নাই। কিন্তু ঈদের কেনাকাটার করার দরকার আছে। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে ভারতের পুঁজিপতিরা প্রচুর পরিমানে পন্য ভারতের অংগরাজ্য ও ভারতের স্থায়ী বাজার বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। ঈদের কেনাকাটা চলছে। অথচ দেশে কোন মুসলমান নাই। কিছু নাম পরিবর্তন করা আবশ্যক। ঈদের কেনাকাটাকে পূজার কেনাকাটা হিসাবে নাম পরিবর্তন করা হোক। রোজা কে উপোষ হিসাবে নাম পরিবর্তন করা হোক। মসজিদগুলো সব ভেঙ্গে ফেলে মন্দির তৈরি করা হোক। তাহলে এত ভন্ডামীর কোন দরকার হবেনা।
ইফতার সেহরী ঈদের কেনাকাটা বাণিজ্য বন্ধ হোক। আর বারো মাসে তেরো পূজা চালু হোক। ব্যবসায়ীদের কোন ক্ষতি হবেনা। ভারতের অংগরাজ্য বাংলাদেশের কৃতদাসেদেরও কোন ক্ষতি হবেনা। ধর্মপ্রান মানুষেরা সব বাংলাদেশের জেলখানাগুলার কয়েদীদের মত বুঝে উঠতে পারবেনা কি থেকে কি হলো । ভারতের অংগরাজ্য বাংলাদেশের মুসলমানেরা ঈমান আনতে পারে নাই তাই বিলুপ্ত হয়ে গেলো ।
বাংলাদেশ পুলিশ মসজিদের ভেতর ঢুকে নামাযীদের উপরে নির্যাতন করেছে বহুবার। কেউ কিছু বলেনি। পুলিশের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। দেশে মুসলমানের সংখ্যা কম হবার কারণে এইসব নির্যাতিত নামাযীরা বিচার পাননি। বাংলাদেশের মাটিতে আলেম হত্যা করা হয়েছে । কেউ কিছু বলেনি। সবাই চুপচাপ থেকেছে। কারন বাংলাদেশে মুসলমানেরা সংখ্যালঘু।