স্ত্রী হত্যার ছক নিজেই কেটেছিলেন এসপি বাবুল আক্তার!

ঢাকা: স্ত্রী মিতু হত্যা পরিকল্পনার ছক নিজেই কেটেছিলেন এসপি বাবুল আক্তার। পুলিশের হাতে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে একথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর মধ্য দিয়ে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু আক্তার হত্যা মামলার তদন্ত নতুন চাঞ্চল্যকর মোড় নিলো।

সূত্র জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজে পরিকল্পনা করে স্ত্রীকে হত্যা করিয়েছেন বাবুল আক্তার। চট্টগ্রামের দামপাড়ার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক ছিলো, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল জানিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করে সূত্র।

কঠোর গোপনীয়তায় বাবুল আক্তারের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এর আগে, শুক্রবার (২৪ জুন) গভীর রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় পুলিশ। খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম এসপি বাবুল আক্তারকে নিয়ে যান বলে প্রাথমিক সূত্র জানায়।

পরে রাত আড়াইটার দিকে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ‍মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে শুরু হয় ব্যাপকভিত্তিক তদন্ত। তারই ধারাবাহিকতায় বের হয়ে আসে ঘটনার পেছনের ঘটনা।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে মিতু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া চারজনের প্রত্যেককে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটক চারজনের মধ্যে দুজনই বাবুল আক্তারের সোর্স।

সূত্র জানায়, আটকের পর চারজনের আলাদা আলাদা করে জবানবন্দিও নেওয়া হয়। ওই জবানবন্দিতে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেন। তখনই তারা খুনের নির্দেশদাতা হিসেবে বাবুল আক্তারের কথা সুনির্দিষ্ট করে জানান। মূলত এরপরই পুলিশ বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে।

শনিবার সকাল থেকে ওই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *