লালমনিরহাট: প্রবাদে বলা হয়, যতো দোষ, নন্দঘোষ! কেউ কোনো দোষ করলেই নাম হয় নন্দঘোষের। ছাত্রলীগও বুঝি তাই? কিন্তু না, নন্দঘোষের ওপর মিছামিছি দোষ চাপানো হয়নি। এলাকায় সত্যি সত্যি বাদাম চুরির ঘটনা ঘটেছে। কম না কিন্তু, সাত বস্তা বাদাম। আর চুরির পর সেই বাদাম পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে।
জেলার হাতিবান্দা উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম বাঁধন ওই বাদাম চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এমন অভিযোগে তার নামে মামলা করেছেন বাদামের মালিক হাতিবান্দার উত্তর পারুলিয়ার আফজাল হোসেন।
তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন দাবি করেছেন, দায়ের করা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাদাম চুরির সঙ্গে জড়িত জাহেদুল ইসলাম ও মোরশেদুল ইসলাম নামে দু’যুবককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। রবিউল ইসলাম বাঁধনসহ বাকি আসামিদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২০ জুন রাতে উত্তর পারুলিয়ার আফজাল হোসেনের সাত বস্তা বাদাম চুরি হয়। বাদাম চুরির এ ঘটনা তিনি মৌখিকভাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আলম রোকনকে জানান। চেয়ারম্যান রোকন গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় বাদাম চুরির সঙ্গে জড়িত জাহিদুল ও মোরশেদুলকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন।
পরদিন বাদামের মালিক আফজাল হোসেন বাদী হয়ে বাঁধন ও তার বাবা ওবায়দুর রহমানসহ সাত জনকে আসামি করে মামলা করেন। আফজাল হোসেনের দাবি, বাঁধনের বাড়িতে চুরি যাওয়া বাদাম পাওয়া গেছে। এজন্য তাদের আসামি করা হয়েছে।