নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া বাজারে এক মাংস দোকানীর নিকট চাঁদা দাবীর ঘটনাকে কেন্দ্র কওে আওয়ামীলীগ-বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়ের অনন্ত আহত-৩০ জন আহত হয়েছে। পরে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হাসান ইমামের নেতৃত্বে সেনবাগ, সোনাইমুড়ি থানা পুলিশ এবং লক্ষীপুর থেকে র্যাব ও জেলা থেকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ১৩৫রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২জনকে আটক করে। এরা হচ্ছে: মহিন উদ্দিন (৩৫) ও আবদুল কাদের প্রকাশ বিপলু(২৮)।
ওই সংঘষের ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার তার ১১টা পর্যন্ত উপজেলা ছাতারপাইয়া বাজারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে:- মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে ছাতারপাইয়া গ্রামের তোফাজ্জল হক প্রকাশ তফা মেম্বারের নেতৃত্বে একদল লোক সোনাকান্দি গ্রামের মাংস ব্যাবসায়ী আবদুল কাদেরর নিকট (ঈদে যাকাত) দেওয়্রা জন্য ১শত শাড়ী ও ১শত লুঙ্গীর দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। এসময় ওই ব্যাবসায়ী তফা মেম্বারকে ৫হাজার টাকা দেয়। এসময় তফা ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দোকানীকে মারধর শুরু করে। এসময় তার চিৎকারে পাশ্ববর্তী দোকানের মালিক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমানের ভাই আলী করিম এর প্রতিবাদ করেন। এতে তফা মেম্বার ও তার লোকজন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আলী করিমকে মারধর শুরু করে। বিষয়টি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামীলীগ-বিএনপির দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এক পক্ষ চেয়ারম্যান গ্রুপ ছাতারপাইয়া বাজারের পূর্ব বাজারে ও তফা গ্রুপ পশ্চিম বাজারে অবস্থান নেয়। এরপর উভয়ের লোকজন একে অপরের ওপর ইটপাটকেল,কাছের বোতল ও লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তফা গ্রুপ ওই বাজারের বিএনপি সমথিত অন্তত ১০ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোক্কা এন্টারপ্রাউজ, আল্লাহ ভরসা ষ্টোর, ইশা টেলিকম, আল মদিনা ষ্টোর, আলী করিম ষ্টোরসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দোকানের স্যাটার খুলে পেলে দোকানগুলো ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।এছাড়াও ৮/১০ পল্লী বিদ্যুতের মিটারও ভাংচুর তফা গ্রুপের লোকজন। এসময় উভয়ের ইটপাটকেল ও বোতলের আঘাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী নুরুল হক মজুমদার (৬০), আওয়ামী লীগ নেতা তফাজ্জল হক ওরফে তফা মেম্বার (৪৫) ও বাজারের ব্যবসায়ী ছিদ্দিক উল্যাহ (৫০),দুলাল মেম্বার(৫০), শাকিল(১৮), তারেক(২০), রাজন(২২), খলিল(২৬), আলা উদ্দিন(২২),কামাল (৩২),আনোয়ার (৩০), ইব্রাহিম(২৬), বাবুল(২২),আহত হয়। আহতদের সেনবাগ,সোনাইামুড়ি ও নোয়াখালী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হারুন উর রশিদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে । পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এবং ঘটনাস্থলে পুলিশী টহলে রাখা হয়েছে।এঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।