ভারতে গোয়েন্দা নজরদারিতে বাংলাদেশিরা

পাকিস্তান ও আফগান নাগরিকদের পাশাপাশি এবার ভারতে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকদের।

দেশটির গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় এই তিনটি দেশের নাগরিকদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।

ডেইলি মেইল তার প্রতিবেদনে জানায়, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইএসের সমর্থনে প্রতিবেশী দেশ থেকে কোন প্রভাব যেন ভারতের যুব সমাজে না পড়ে তার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। সুন্নি জিহাদি গ্রুপ ইসলামিক স্টেট বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় মৌলবাদ বিরোধী পরিবেশ তৈরীতে কাজ করছে মোদী সরকার।

সিএনএন তার প্রতিবেদনে জানায়, আইএসের আবাসস্থল হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এক অফিসিয়াল নোটে বলা হয় পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে মৌলবাদের উত্থানের কারণে আমাদের নতুন পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। গেল বছর দেশটির সর্বোচ্চ সংখ্যক ভ্রমণকারী ছিল বাংলাদেশ থেকে। তাই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

চলতি বছরে দিল্লি পাকিস্তান থেকে আসা ভিসা আবেদনের অর্ধেকের বেশি প্রত্যাখ্যান করেছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ত্রি-মুখি পদ্ধতি গ্রহণের কথা জানায় দিল্লি। দেশটির সংগঠনগুলোর নেতৃত্বকে লক্ষ্য করা, বিশেষ বাহিনী গঠন ও নিজ দেশের জনগণকে দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যমে সামর্থ্য যোগানো- এই তিনভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করা হবে।

গত বছর ভারত থেকে বেশ কিছু তরুণ আইএসে যোগ দিয়েছে। আইএসে যোগ দিতে পারে বা সমর্থন করে এমন প্রমাণিত হওয়ায় আটক হয়েছে আরো ৪৯ জন তরুণ।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক পরিসংখ্যানে জানায়, মৌলবাদ মোকাবেলায় সবচাইতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে তেলেঙ্গানা রাজ্য। এরপরেই এ তালিকায় আছে মহারাষ্ট্র। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মির এবং পশ্চিম বঙ্গকে মৌলবাদ মোকাবেলায় আরো এগিয়ে আসতে হবে বলেও জানায় তারা।

এদিকে মন্ত্রণালয় থেকে আরো জানানো হয়, যেহেতু আমাদের সংস্কৃতি এক। তাই প্রতিবেশী দেশগুলোর মৌলবাদী মানসিকতার প্রভাব ভারতেও পড়বে। এ বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়। ডেইলি মেইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *