ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় শনিবার দিবাগত রাতে গোয়েন্দা পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার একজন আসামী নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম শরিফ ওরফে হাদি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান।
লেখক-ব্লগার হত্যাকাণ্ডে পুলিশ যে ছয়জন সন্দেহভাজন জঙ্গির ছবি প্রকাশ এবং পুরস্কার ঘোষণা করেছিল তার মধ্যে শরিফও ছিল। তাকে সেখানে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত শরিফসহ তিনজন মোটরসাইকেল থেকে পুলিশকে গুলি করলে পুলিশ পাল্টা গুলি করে। এসময় একজন গুলিবিদ্ধ হয় কিন্তু বাকি দুজন পালিয়ে যায়।
শরিফকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একজন শীর্ষ সংগঠক হিসেবে উল্লেখ করে পুলিশ বলছে, অভিজিৎ রায় ছাড়াও ব্লগার নীলাদ্রী নীলয় হত্যা, প্রকাশক আহম্মেদ রশীদ টুটুল হত্যা চেষ্টায় সে সরাসরি উপস্থিত ছিল।
এছাড়াও সমকমী অধিকার কর্মী জুলহাজ মান্নান হত্যাসহ আরো কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে শরিফ প্রশিক্ষকের ভূমিকা পালন করে বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাঈনুল ইসলাম জানান, রাত আনুমানিক তিনটার দিকে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।