শুধু যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা চিৎ হই তা কিন্তু সঠিক নহে – জাতীয়তাবাদী চেতনাতেও দেখা যায় আমরা অচেতন হই। কথিত আছে জাতীয়তাবাদীরা ভদ্ররনোক। আহা!! হুহু!! মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অস্থির দেশদ্রোহীদের চেয়ে নোংরামীতে জাতিয়তাবাদী চেতনায় চিৎ যারা তারা কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। সেই একই গালি সেই একই নোংরা ভাষার ব্যবহার আর সেই একই কুৎসিত চরিত্র।
এর কারণ হলো আওয়ামীলীগ আর বিএনপীর কোন পার্থক্য নেই। ভারতের রাজ্যসরকার হিসাবে আওয়ামীলীগকে ভারত মনোনিত করেছে কারণ আওয়ামীলীগের নেতা শেখ মুজিবই ভারতের রাজ্য সরকার হবার জন্য প্রথম আগ্রহ প্রকাশ করে আগরতলাতে যেয়ে। সেই জনপ্রিয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা আর ভাসানীর গণআন্দোলনে পাওয়া শেখ মুজিবের মুক্তি ছিল পূর্ব বাংলাকে ভারতের কলোনী ও বাজার করার প্রথম সোপান। সপরিবারে শেখ মুজিব রং মেখে শুয়ে থাকার পরে যারা ক্ষমতায় আসে তারা নতুন বোতলে পুরানা আলীবাবা চল্লিশ চোর।
দুই ভাগে বিভক্ত । উপরে ত্রিপিস স্যুট আর ভেতরে কদর্য নর্দমা প্রবাহিত।
বিএনপীর ও আওয়ামীলীগ – চোরেরা সব দুইভাগে বিভক্ত। একভাগ ভারতের পছন্দ। অন্যভাগের উপরে ভারত আস্থা আনতে পারেনা তাই খালেদা জিয়া বিভিন্ন কূটনীতিবিদের সাথে বসে বসে ইফতার করে আর ভারতের রাজ্য সরকার তার হানাদার বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দিয়ে জেল ভর্তি করে। নতুন বানানো জেলখানাতে এখন লোকে লোকারণ্য। বেশ সুরভিত কুসুমবণের মত আলোকিত। রমজান মাসে বাংলাদেশের সংবাদপত্রে চোখ বুলাতে গেলেই ২৫শে মার্চের ভয়াল রাতের কথা স্মরণে আসে। বিশ পচিশজন স্বশস্ত্র র্যাবের পায়ের কাছে একটি নিরস্ত্র যুবকের লাশ। যুবকের মাথায় অনেক গুলি করে খুলি থেকে মগজ বেরুচ্ছে আর ফটো সাংবাদিকেরা তা সুন্দর করে ধারণ করে বিভিন্ন পত্রিকাতে গর্বভরে পোস্ট করেছে। এই হানাদার বাহিণীরা কেউ পাকিস্তান থেকে আসে নাই। এই হানাদার বাহিনীর কেউ ভারত থেকেও আসে নাই । একেবারেই হোমমেড ভাই। গ্রামে গ্রামে ঢুকে শেখ মুজিবের রক্ষীবাহিণীর মত বাংলাদেশ পুলিশ নিরীহ মানুষ গ্রেফতার করে নতুন তৈরি জেলে ভরছে। যারা গ্রেফতার হচ্ছে রমজান মাসে তাদের পরিবার পরিজন কি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে সে খবর বসুন্ধার পরিবার রাখেনা, খালেদা জিয়া রাখেনা, ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসও সেখবর রাখেনা, ইউএস প্রেসিডেন্ট পদপার্থী হিলারি ক্লিনটনও সে খবর রাখেনা তবে জাতিয়তাবাদী দলের লোকেরা আশা করে হিলারী ইউএস প্রেসিডেন্ট হলে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।
গত পনেরো দিনে পাঁচ হাজারেরও বেশী নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পরেই শুরু হয় বাণিজ্য। পরিবারগুলোর কাছে টাকা দাবী করে পুলিশ। আর টাকা না পেলে ক্রসফায়ারে হত্যা করে। আওয়ামীলীগের সাথে বিএনপীর যেমন কোন পার্থক্য নেই ঠিক তেমনি বাংলাদেশ পুলিশের সাথে জঙ্গীর কোন পার্থক্য নেই। ্মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অস্থির যারা তাদের কদর্যতার সাথে জাতিয়তাবাদী চেতনায় চিৎ বিএনপীর নেতাকর্মীদের কেউকেউ নোংরামীতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠছে। তার কদর্যভাষার ছবি দেওয়া গেলো।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলে একটা রুপকথা ছিল। রুপকথা তো ঠাকুরমায়ের ঝুলিতেই ঝুলে ছিল। এখন মুখ হা করলেই বুলেট ঢুকে যায় আর ঘাড় নীচু করলেই কোপ। হয় বুলেট না হয় কোপ — যেভাবেই হোক জীবন যাতনার পরিসমাপ্তি ঘটাতে আজকাল আর দীর্ঘ সময় লাগেনা। তাই পদলেহন না করলেই জীবিতদের সমস্যা হয়ে যায় ওরা কদর্য হয়ে উঠে। পদলেহন না করলেই ক্ষমতাবানেরা গুলি চালায়, ভুয়া মামলা দেয়, গ্রেফতার বাণিজ্য করে আর ক্ষমতাহীনেরা কদর্য গালিগালাজ করে।