ঢাকা : চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নীপা ওরফে মাহিয়া মাহিকে স্ত্রী দাবিকারী শাহরিয়ার ইসলাম ওরফে শাওনের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১৬ জুন দিন ধার্য করেছে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (০৫ জুন) ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম সামছুল আলম এ তারিখ ধার্য করেন।
গত ৩১ মে ঢাকা সিএমএম আদালত এ আসামির জামিন আবেদন নাকচ করায় ট্রাইব্যুনালে এই জামিনের আবেদন করা হয়।
গত ৩১ মে শাওনের আইনজীবি মো. বেলাল হোসেন শাওনের সঙ্গে মাহিয়া মাহির বিয়ে বিয়ের কাবিননামা আদালতে উপস্থাপন করেন।
এই আইনজীবী জানান, ২০১৫ সালের ১৫ মে শারমিন আক্তার নীপা ওরফে মাহিয়া মাহির সঙ্গে পারিবারিকভাবে শাওনের বিয়ে হয়।
বাড্ডা কাজী অফিসের কাজী মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন এই বিয়ে পড়ান। তাই আইনানুযায়ী সে তার স্ত্রী হওয়ায় এবং মুসলিম আইনানুযায়ী স্বামী বর্তমান থাকায় তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। যেহেতু বৈধভাবেই পূর্বের বিয়েটি হয়েছে তাই মামলাটি করা বেআইনি।
এর আগে গত ২৭ মে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মাহিয়া মাহি এ মামলাটি করেন। এরপর গত ২৮ মে গ্রেপ্তার হয় শাওন।
মামলায় বলা হয়, গত ২৫ মে তার (মাহিয়া মাহির) বিয়ে হয়।
গত ২৭ মে তার বন্ধু আসামি শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তার কিছু ছবি কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ অবস্থায় দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট ও তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে তারা এসব করছেন। শাহরিয়ার ছাড়াও তার (শাহরিয়ার) বন্ধু হাসান, আলামিন, খাদেমুল ও শাহরিয়ারের খালাতো ভাই রেজওয়ান এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে মাহির ধারণা।
সূত্র জানায়, নায়িকা মাহির সঙ্গে স্কুলজীবন থেকে শাওনের পরিচয়। তারা উত্তরায় একই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। মাহির সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধরেই একসময় তাদের মধ্যে প্রেম হয়। দু’জনের মধ্যে সে সময় অন্তরঙ্গ সম্পর্কও ছিল। গত ২৫ মে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে মাহির বিয়ে হয়। এতে শাওন ক্ষুব্ধ হয়ে মাহিকে স্ত্রী দাবি করে তার সঙ্গে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।