পৃথিবীতে যমজ সন্তান জন্ম হওয়ার কথা কম বেশি প্রায়ই শোনা যায়। চিকিৎসকদের মতে, সম্প্রতি একসঙ্গে তিনটি সন্তান জন্ম নেয়ার প্রবণতা আগের থেকে তুলনামূলক হারে বেড়ছে। যমজ সন্তান জন্ম নিলে তাদের আচার আচরণে মিল না থাকলেও চেহারায় সামাঞ্জস্যতা পাওয়া যায়। আচার আচরণ দেখেই মা তাদের সন্তানকে সনাক্ত করতে পারে। কিন্তু যাদের তিনটি সন্তান জন্ম হয় এবং তাদের চেহারার একটুও উনিশ বিশ খুঁজে পাওয়া যায় না তখন কি হবে একবার ভেবে দেখেছেন। এমনি তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মার্কিন নারী বেকি জো এলেন। তার সন্তানের নাম যথাক্রমে রোমান, রোহান এবং রোক্কো।
বেকির ভাষ্যমতে, ‘ আমার যখন সাত মাস তখন আমার গর্ভ অন্যদের তুলনায় বেশ বড় ছিল। আমার আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে এসেছিল আমার তিনটি বাচ্চা হবে। ডাক্তররা বলেছেন এক্ষেত্রে একটি বাচ্চা মারা যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এসব শুনে আমার মধ্যে ভয় কাজ করতো কিন্তু আমার স্বামী এবং আমার মা আমাকে সবসময় সান্তনা দিতো।’ অবাক হলেও সত্য জন্ম নেয়া তিন ভাইয়ের চেহারা দেখতে একই রকম। কোনভাবেই তাদের আলাদা করে চেনার উপায় নেই। বেকি বলেন, ‘ আমার অপরেশেনের পর চিকিৎসকরা আমাকে যখন বললো আমার তিনটি সন্তান বেশ সুস্থ আছে তখন আমার খুশির অন্ত ছিল না।’ আমি ওদরে বোন ইন্ডিয়ানাকে ফোন দিয়ে যখন বলি তোমার একটি নয় দুটি নয় তিনটি ভাই হয়েছে সে ও বেশ খুশি হয়।’
এদিকে তিনটি শিশুকে এক সঙ্গে রেখে বিপাকে পড়তে হয় চিকিৎসকদের। কখন কোন জনকে ঔষধ দেয়া হয়েছে তা নিয়ে গরবর করে ফেলতেন তারা। এরপর তারা তাদের গায়ে নম্বর লিখে রাখতো। চিকিৎসকরা বলেন পৃথিবীতে দুইশ মিলিয়নের মধ্যে একজনের এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আর এরকম সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। হাসপাতাল থেকে তাদের যখন বাসায় নেয়া হয় তখন প্রতিবেশিরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে তাদের বাসার উপর যমজ তিন ভাইকে দেখার জন্য। আর একসঙ্গে তিনটি ভাই পেয়ে মহা খুশি তাদের বোন তিন বছরের ইন্ডিয়ানা।
তবে মা বেকি তাদের বাসায় নিয়ে পড়লো বিপাকে। কোন কিছুতেই তিনি তাদের আলাদা করতে পারছিলেননা। কোনটা যে কে, মা হয়েও তাই বুঝে উঠতে পাছিলেন না তিনি। এদের সনাক্ত করার জন্য শেষমেষ তাকে আবারও চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হয়। চিকিৎসক তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। এদিকে নিজের বোঝার সুবিধার জন্য বেকি তাদের সন্তানদের গায়ে কালো চিহ্ন দিয়ে রাখতেন। তার মতে, ‘রোহান ভাইদের মধ্যে একটু উজ্জল, এরপর রোমান এবং রোক্কো একটু কম উজ্জল।’ বেকি আরো বলেন, ‘আচরণের দিক থেকে রোহান ও রোক্কো একটু বেশি চঞ্চল আর রোমান একটু চুপচাপ। তবে যতই যা বলি তারা যখন একসঙ্গে মেঝেতে হামাগুড়ি দিয়ে খেলতে বসে তখন আমি আবার তাদের চিনতে ভুল করি। আর এতে আমি, আমার স্বামী এবং মেয়ে বিরক্ত না হয়ে বরং অনেক হাসতে থাকি।’
M A Alam Masud liked this on Facebook.
Rezina Akhter liked this on Facebook.
Abdul Kader liked this on Facebook.
Atikur Rahaman liked this on Facebook.
Armaan Bappy liked this on Facebook.
Cmi Sagor liked this on Facebook.
Aysha Khaled liked this on Facebook.
Jaynal Abedin liked this on Facebook.
মোঃ সাদিকুর রহমান সিপন liked this on Facebook.