আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ ও পরিস্থিতি ২০১৪ সালের মতো হলে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সর্বোচ্চ নীতি- নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, নির্বাচন একটা হচ্ছে শোনা যাচ্ছে। অথচ এমন কোন আলামত দেখি না। তবে ২০১৪ সালের মতো একই পরিস্থিতি থাকলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। আজ দুপুরে নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার মুক্তির দাবিতে জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর রায় বলেন, পালিয়ে থাকবেন না, আইনের আশ্রয়ে যান। জেলে থাকা সম্মানজনক, কিছুটা নিরাপদও। আন্দোলন-সংগ্রাম যেহেতু নাই সে কারণে জেলখানায় থাকাই ভাল। পালিয়ে থাকার চেয়ে জেলে খরচ কম। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, এত সুন্দর জেলখানা বানাইছেন আর আপনারা সেখানে থাকবেন না এটা কি করে হয়? শুধু আমরা যাবো তা তো হতে পারে না। এ পথে আমরা তো যাচ্ছি যাবো, আপনাদেরও আসতে হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে ল-ভ- করছেন, দুর্যোগ খুবই কাছে। আলীবাবার চল্লিশ চোররা একসঙ্গে জেলখানায় যাবেন। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েও পারেননি মন্তব্য করে গয়েশ্বর রায় বলেন, একের পর এক নাটক, মিথ্যা বলে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। তিনি বলেন, শুনলাম শেখ হাসিনা সৌদি আরব যাবেন। ওখানে গিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে বলবেন। কিন্তু কোন লাভ হবে না। কারণ, বিএনপি ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইমলামের জন্য কি করেছেন, তা সৌদি আবর জানেন।
প্রতিবাদ সভায় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে দিলে নিজেও বাঁচবেন না, দলও বাঁচবে নাÑ এ শঙ্কায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। তারা ভয় পেয়ে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এজন্য গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে। বিএনপি ষড়যন্ত্রের দল না, ষড়যন্ত্র করেও না দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যেতে চায় না বিএনপি।
সভাপতির বক্তব্যে জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, সরকারের কোন ষড়যন্ত্রই আর মেনে নেয়া হবে না। আমরা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। রাজপথে থেকে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেবো। কিন্তু সরকার বিরোধী আগামীর আন্দোলনে একজন যোগ্য সেনাপতির প্রয়োজন।
প্রতিবাদ সভায় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান, জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক খালেদা এনাম মুন্না বক্তব্য রাখেন।
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Jonaid Gafur liked this on Facebook.
MD Sabbir Sun liked this on Facebook.
Rafiqul Islam liked this on Facebook.