বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ব্লগ-সাইট সামহোয়্যার ইনের ওপর নিয়ন্ত্রণের আরোপের কথা স্বীকার করেছে সরকারী কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেছেন, বেশ কয়েকজন ব্লগারের ইউআরএল ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের লেখা পড়া না যায়।
কর্মকর্তা বলেন কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে, কিছু কিছু লেখা বাংলাদেশের “স্বার্থ-বিরোধী এবং ধর্মীয় উস্কানিমুলক” যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করতে পারে।
মূলত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শেই কিছু ইউআরএল ব্লক করতে ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠান বা আইএসপি গুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সামহোয়্যার ইনের কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন, সরকার তাদের ব্লগসাইটটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
ব্লগ কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির এক লিখিত নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি আইএসপি থেকে সামহোয়ার ইন ব্লগের প্রবেশাধিকার স্থগিত করা হয়েছে।
কিন্তু ব্লগসাইটে ঢুকে দেখা গেছে, আজও সেখানে অনেক ব্লগার নিজেদের মতামত পোষ্ট করেছেন।
সামহোয়্যার ইন ব্লগের মূলপাতায় একটি নোটিসে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের চার তারিখ থেকে ব্লগারদের একটি বড় অংশ সামহোয়্যার ইন ব্লগে প্রবেশ করতে পারছেন না।
ব্লগটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, আগে যেখানে দৈনিক ছয় থেকে আটশো ব্লগ পোষ্ট হতো, সেখানে এখন দিনে সর্বোচ্চ চারশো ব্লগ পোষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন বিটিআরসি কেন কয়েকটি আইএসপি থেকে সামহোয়ার ইন ব্লগে প্রবেশাধিকার স্থগিত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে সেটি তারা ধারণা করতে পারছেন না।
এ নিয়ে বিটিআরসি থেকে তাদের কোন চিঠি দেয়া হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গুলশান ফেরদৌস জানা বলেন, বিভিন্ন আইএসপির কাছে বিটিআরসি যে চিঠি দিয়েছে সেখান থেকে তিনি জানতে পেরেছেন সামহোয়্যার ইন ব্লগের আয়-ব্যয়ের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
এ বিষয়গুলো নিয়ে তারা বিটিআরসি’র সাথে আলোচনা করতে চান।
দশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ব্লগসাইট সামহোয়্যার ইনের রেজিস্টার্ড ব্লগারের সংখ্যা দুই লক্ষ।
গুলশান ফেরদৌস জানা বলেন, প্রতিদিন অন্তত পঞ্চান্ন হাজার মানুষ তাদের ব্লগে পড়েন।
Sohel Biplob liked this on Facebook.
Atikur Rahaman liked this on Facebook.