পাকিস্তান আমলের মত সংখ্যালঘুরা নতুন করে আর কোনো পরিস্থিতির আলামত হতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
শনিবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অস্তিত্ব রক্ষার প্রত্যয়ে এবং সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ধর্মীয় সাংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ‘আইয়ুব খান যা করতো আমরাও তো তাই করছি। কারণ সংখ্যালঘুদের শতকরা হিসেবে আমরা তাদের প্রতিনিধিত্ব দিচ্ছি না। সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিতে গেলে বলে- এইখানে তো হিন্দু ভোট কম বিএনপি পাশ করে ফেলবে। কথা হচ্ছে, সংখ্যালঘুরা তাদের প্রতিনিধিত্ব চায়। তাদের প্রতিনিধিত্ব আমরা কেড়ে নিব কেন। এটা আমার দেশ। এখানে থাকবো, মরবো, সব করব। সোজা কথা। তাদের রাইট অব প্রতিনিধিত্ব করবেন না, ক্ষমতায়ন করবেন না, বুঝে বুঝে কথা বলবেন তা হতে পারে না। সংখ্যালঘুরা আর কোনো পরিস্থিতির আলামত হতে চায় না।’
‘ভারতের গণতন্ত্র এতটাই সেকুলার, এতটাই স্পেশালাইজড সেখানে কোনো রিফিউজিকে পাকিস্তান বা বাংলাদেশে আসতে দিবে না। তাদের গণতন্ত্রের দর্শন তারা ধরে রেখেছে। আমাদের গণতন্ত্র শুধু সংখ্যালঘু খেদায় (বিতারিত করা)। এটা মাহাবুবও (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) করে, নাসিমও( আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য) খেদায়।’
‘এদেশের গণতন্ত্রের সৌন্দর্যটাই যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে সাম্প্রদায়িক শক্তি তো মাথাছাড়া দিবেই। আমরা আর আলামত হতে চাই না। এই অবস্থায় আমরা ঐক্যবদ্ধ না হয়ে পারি না। জমায়াত শুধু আওয়ামী লীগ আর বিএনপিই দিতে পারে। আর বামেরা (বামপন্থি রাজনৈতিক সংগঠন) আরও বামে (দুর্বল) সরে গেছে।’
জাতীয় সংলাপ আয়োজনের সম্পর্কে সুরঞ্জিত বলেন, ‘এখানে সব দলের প্রতিনিধিরা এসেছে। তাদের (সংখ্যালঘু) দাবিকে সমর্থন করতে। এটা একটা বিরল নজির। কারণ সংখ্যালঘুদের দাবি নিয়ে এতোগুলো দল এর আগে কখনও সংলাপে বসেনি।’
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্তের সঞ্চালনায় জাতীয় সংলাপে আরও বক্তব্য রাখন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে. মাহাবুবুর রহমান, জনসংহতি দলের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সুলতানা কামাল, উদীচীর সভাপতি কামাল লোহানী, মেজবা কামাল, শাহরিয়ার কবির ও জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
Apu Shaiful Alam liked this on Facebook.
Ariful Islam Jony liked this on Facebook.
Abdul Mannan Mannan liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Atikur Rahaman liked this on Facebook.
Addul Nur liked this on Facebook.