শিক্ষিকাকে ধর্ষণ

ধর্ষণের শিকার হয়ে নিবন্ধন পরীক্ষা দেয়া হলো না এক নারীর। মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ায় নিবন্ধন পরীক্ষা দিতে এসে আবাসিক হোটেলে নিজ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই খৃষ্টান নারী। বৃহস্পতিবার এ ঘটনার পর ওই শিক্ষিকা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গাইনী বিভাগে নিবিড় পর্যবেক্ষনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে রোববার তিনি কুষ্টিয়া মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে প্রধান শিক্ষককে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছন।

এদিকে গ্রেফতার এড়াতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম আত্মগোপন করেছেন। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামের মেয়ে আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন খৃষ্টান ধর্মীয় শিক্ষিকা তার বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কুষ্টিয়া আসেন। কুষ্টিয়া শহরের আলআমিন হোটেলে পাশাপাশি দুই রুমে রাত্রী যাপন করেন।

পরদিন শুক্রবার ভোরে প্রধান শিক্ষক প্রশ্নপত্র দেয়ার নাম করে দরজা খুলতে বললে ওই নারী দরজা খুলে দেয়। এসময় প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ওষুধ কোম্পানীর এক প্রতিনিধির সাহায্যে ওই নারীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান প্রধান শিক্ষক। এরপরে ভয়ভীতি দেখানো হলে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান নির্যাতনের শিকার ওই নারী। পরে শনিবার রাতে আবারও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। এখন শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে তিনি। হাসপাতালের বেডে বসে এমন ঘটনা আর কারো সাথে না ঘটুক সে কামনায় এ ঘটনার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন ওই নারী ও তার বাবা।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তরুন কান্তি ঘোষ জানান, নির্যাতনের শিকার ওই নারীর যোনিপথে আঘাতের চিহ্ন ও রক্ত ক্ষরনের আলামত পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষা নিরিক্ষার ফলাফল আসলেই জানা প্রকৃত ঘটনা যাবে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, পলাতক প্রধান শিক্ষককে ধরতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

২ thoughts on “শিক্ষিকাকে ধর্ষণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *