ঢাকা : অভিযোগের সূত্রপাত ২০১৩ সালে। আদালতের দ্বারস্থ হন ২৭ বছর বয়সী এক তরুণী। বিয়ের পর স্বামীর কর্মস্থান কেরলের কোচিতে ছিলেন তিনি। অভিযোগ জানান, সেখানেই যৌন হেনস্থার শিকার হন।
আদালতকে তরুণী জানিয়েছেন‚ স্বামীর কর্মস্থানে নিয়মিত বৌ পাল্টাপাল্টি বা Wife-Swapping পার্টি হতো। তিনি এক নারী সঙ্গে স্বামীকে আপত্তিজনক অশ্লীল অবস্থায় দেখে ফেলেন। ওই নারী ছিলেন স্বামীর সহকর্মী‚ এক নৌ কর্মকর্তার স্ত্রী।
এরপর তার স্বামী তাকেও জোর করেন‚ ওয়াইফ সোয়্যাপিং পার্টিতে যেতে এবং বৌ বদলানোর খেলায় অংশ নিতে। কিন্তু স্বামীর এ কথায় রাজি হননি তরুণী। আর তাই স্বামীর উসকানিতে তার চার সহকর্মী তাকে গণধর্ষণ করে। আর মুখ বন্ধ করার জন্য তাকে উন্মাদিনী প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন স্বামী।
এই নির্মম অভিজ্ঞতা নিয়ে সেই তরুণী প্রথমে কোচি বন্দর পুলিশের কাছে যান। তারপর নৌবাহিনীর প্রধাননের কাছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। কোথাও তার কথা শোনা হয়নি। শেষে তার অভিযোগ পৌঁছায় প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরে। তখন টনক নড়ে সরকারের। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন।
সেই মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে কেরল পুলিশকে। বিশেষ তদন্ত দল করে এই মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। এবং সেটিও তিন মাসের মধ্যে। যদিও তরুণী আবেদন করেছিলেন এই মামলার তদন্ত করুক সিবিআই। কিন্তু সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
এখন প্রশ্ন উঠছে, যাদের হাতে দেশের উপকূল রক্ষার ভার‚ তারাই কিনা নিজেদের সহকর্মীর স্ত্রীকে নিয়ে এসব খেলা খেলেন?
Mohammed Eaysin Sardar Sunny liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
MD Sadek liked this on Facebook.
Elias Mia Elias Mia liked this on Facebook.
Tofajjal Hossain Rana liked this on Facebook.
Rizwan Mahmud liked this on Facebook.
Sumon Aminul liked this on Facebook.